ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় হারবাংয়ে ছড়াখালে সেলো মেশিন বসিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে জেলা প্রশাসনের অধীন বালু মহালের অংশের এলাকার তিনটি পয়েন্টে ছড়াখালে সেলো মেশিন বসিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, একমাস ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল প্রশাসনের অগোচরে এভাবে বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অপরদিকে বালু উত্তোলনের কারনে বর্তমানে ছড়াখালের তীর এলাকার বিপুল পরিমাণ জনবসতি ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেঅ দিয়েছে। অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে দাপটশালী হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসি অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। অন্যদিকে অভিযুক্তরা অবাদে বালু বিক্রির কারনে সরকারিভাবে ইজারা নেয়া মহালের বালু বিক্রি করতে গিয়ে ইজারদাররা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন, উপজেলা প্রশাসনের অগোচরে গত একমাস ধরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অধীন চকরিয়া উপজেলার ৩ নম্বর বালু মহালের অংশের এলাকা হারবাং ইউনিয়নের তিনটি পয়েন্টে ছড়াখালে সেলো মেশিন বসিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। বর্তমানে হারবাং বাজার এলাকার অদুরে উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মসলাপাড়া ব্রীজের পাশে একটি ও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাল ব্রীজ পয়েন্টে দুইটি সেলো মেশিন বসিয়ে স্থানীয় জিয়াবুল গং ও ভেট্টা গং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

অপরদিকে বালু উত্তোলনের কারনে বর্তমানে ছড়াখালের তীর এলাকার বিপুল পরিমাণ জনবসতি ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়েছে। অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে দাপটশালী হওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসি অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।

জানা গেছে, অভিযুক্তরা অবাদে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু বিক্রির কারনে সরকারিভাবে ইজারা নেয়া মহালের বালু বিক্রি করতে গিয়ে মহাল ইজারদাররা বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। মহাল ইজারাদার পক্ষের লোকজন সরকারি মহালের বালু বিক্রির মাধ্যমে রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের কাছে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##

পাঠকের মতামত: