ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া :

পেকুয়ায় শত শত নারীরা বিক্ষোভ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়ল। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানাতে পাহাড়ী শত শত নারী সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এ সময় দুর্গম পাহাড়ী জনপদের এ সব নারী জড়ো হন। তারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে আনীত ষড়যন্ত্রমুলক অভিযোগ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাঁধভাঙ্গা প্রতিবাদে সোচ্চার হন। তারা জানায়, মানুষের অধিকার নিয়ে যিনি কাজ করেন যার আন্তরিক নেতৃত্বের কারনে আমরা নারী-পুরুষ নির্ভয়ে পাহাড়ে বসবাস করছি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে। কিছু দুষ্কৃতিকারী ও মিথ্যাবাদী আমাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তারা কাল্পনিক সংবাদ প্রকাশ করে সমাজ, রাষ্ট্র ও জনগনকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তথ্যের বিভ্রাট ঘটিয়ে সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা চলমান রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মনগড়া মন্তব্য তাকে নিয়ে প্রকাশ করছে। সেটি অত্যন্ত দু:খজনক ও মনগড়া অপপ্রচার। বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাহাঙ্গীর আলম বিপুল ভোটে ২ নং ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জনগনকে যে ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটির বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে। উন্নয়ন কাজে তিনি ব্যাপক উদার। ত্রান সামগ্রী বিতরনে তিনি স্বচ্ছ। ভিজিএফ, ভিজিডি ও সরকারের উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে কারও কাছ থেকে একটি টাকাও নেননি। অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সৎ জনপ্রতিনিধি। তবে তিনি একজন প্রতিবাদী। পাহাড়ে একসময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিল না। প্রায় সময় অপরাধ কর্মকান্ড লেগে থাকত। বিশেষ করে চুরি,ডাকাতি, ধর্ষন ও খুন খারাবী ছিল নিত্যকার ঘটনা। কোন রমনী ও গৃহবধূর নিরাপত্তা ছিল না। কিছু উচ্ছৃংখল সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে মানুষের জানমাল নিয়ে খেলত। জাহাঙ্গীর আলম এ সব কঠোর হস্তে দমন করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মাঝে নিরাপত্তাভাব প্রকাশ দুরীভূত হয়েছে। দখল, বেদখল হ্রাস পেয়েছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উৎপাত হ্রাস পেয়েছে। মানুষের নির্বিঘেœ চলাফেরার পথ সুগম হয়েছে। যারা নিপীড়ন ও নির্যাতন চালাত তারা বারবাকিয়া ও পাহাড়ী এ সব এলাকা থেকে বিতাড়িত হয়েছে। ছনখোলারজুম, হারকিলারধারা, আবাদিঘোনা, পূর্ব পাহাড়ীয়াখালী, কাটামোড়া, পূর্ব ধনিয়াকাটা, লাইনেরশিরা, সংগ্রামের জুমসহ বারবাকিয়া ও টইটংয়ের দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় সহনশীল অবস্থা তৈরী হয়েছে। এক সময় এ সব এলাকায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ছিল না। জাহাঙ্গীর মেম্বার অত্যন্ত প্রতিবাদী ও সাহসিকতার সাথে আমরা নারী-পুরুষকে নিরাপত্তা দিতে অত্যন্ত দায়িত্বশীল। তবে কিছু কুচক্রীমহল এ সবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা চাই প্রতিবাদ থেমে যাক। এ দিকে বারবাকিয়া ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচারে ব্যস্ত রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে ঢালাও ভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদ ও এ সব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ধিক্কার জানাতে এলাকাবাসী সোচ্চার হয়েছে। তারা এ সব অপপ্রচারের জবাব দিতে প্রেস ব্রিফিংসহ প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসুচী হাতে নেয়। ৬ জুলাই শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিং আহবান করে। এ সময় বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীদের আমন্ত্রন জানানো হয়। স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বারবাকিয়া ইউনিয়নের ছনখোলারজুম জামে মসজিদের পূর্ব পার্শ্বে মাঠে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্টিত হয়। এ সময় প্রায় ২ হাজারের অধিক নারী-পুরুষ প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হয়েছেন। প্রেস ব্রিফিং শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বারবাকিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আনিসুল করিম, ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: ছরওয়ার। সমাজ কমিটির সভাপতি জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও আ’লীগ নেতা মো: বাহাদুরের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন হযরত মাওলানা কাটামোড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও: আহমদ হোসাইন, বায়ুতুল্লাহ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও: আলী হোসাইন, ছনখোলা জামে মসজিদের ইমাম নুরুল আলম, আবাদিঘোনা বায়তুল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম মাও: একরামুল হক, সমাজ সেবক মুন্সী মিয়া, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টীর মংলা রাখাইন, আয়ূব আলী। এ সময় নারীদের পক্ষে বক্তব্য দেন পারেছা বেগম, রেহেনা বেগম, উছামু রাখাইন, তাছি রাখাইন, দৌমাং রাখাইন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিলখালী যুবলীগ সভাপতি শেখ ফরিদ, শ্রমিকলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, মৎস্যজীবি লীগ নেতা আবদুল্লাহ শিব্বির, শেকাব উদ্দিন, দুধু মিয়া, আবুল কালাম, বেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। প্রেস ব্রিফিং ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ কর্মসুচী পালিত হয়। এ সময় বিপুল পরিমান নারী-পুরুষ পাহাড়ী সরু সড়ক ছনখোলাম জুম পাহাড়ীয়াখালী সড়কে জড়ো হয়। তারা হাত উচিয়ে প্রচন্ড প্রতিবাদ মুখর হন। এ সময় তারা শ্লোগানে মুখরিত হয়েছেন। নারীরা সড়ক প্রদক্ষিন করেছেন। ছনখোলামজুম মাঠ থেকে সড়ক প্রদক্ষিন করে কিছু অংশ তারা বিক্ষোভে নেমে পড়ে পড়ে। এ সময় জাহাঙ্গীরের উপর কিছু হলে জ্বলবে আগুন পাহাড়ে, নারী-পুরুষ ভাই ভাই নেতা মোদের জাহাঙ্গীর ভাই। তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও অপপ্রচার মেনে নেব না।

পাঠকের মতামত: