ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় ননদ হত্যার ঘটনায় ভাবীকে আসামী করে মামলা

পেকুয়া অফিস :
পেকুয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী রিনা আক্তার(২০)কে হত্যার ঘটনায় পেকুয়া থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। ভিকটিমের বড় ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৭ মে রাতে এ মামলাটি রুজু করে। পেকুয়া থানা পুলিশ সেটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। যার নং ১২/১৮। হত্যা মামলায় বাকপ্রতিবন্ধী রিনা আক্তারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা আফরোজা ও ভাবীর ভাই উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের সবজীবনপাড়া গ্রামের জালাল আহমদের পুত্র নুরুল হোসাইনসহ ২ জনকে আসামী করে। গত ১৪ মে রাতে বাকপ্রতিবন্ধী রিনা আক্তারকে বিষপান করানো হয়। পানির তৃষ্ণা দেখা দেয়। এ সময় ভাবী তাহমিনা আফরোজ ননদকে গ্লাসে করে পানি দেয়। পানি পান করার কিছুক্ষন পর বিষক্রিয়া দেখা দেয়। নাকে মুখে ফেনা আসছিল। প্রচন্ড বমিভাব দেখা দেয়। মারাত্মক অস্থির অবস্থায় তাকে পেকুয়া নুর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতে চমেক হাসপাতালে রেফার করে। ২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় ভাবীকে স্থানীয়রা আটক করে ঘটনার দিন রাতে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। বাদী জানায়, সবিক্রন নামক কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে তার ছোট বোন রিনাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। মা পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত। অপরদিকে ছোট বোন রিনা বাকপ্রতিবন্ধী। এ ২ জন আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা আফরোজার বুঝা ছিল। এর সুত্র ধরে নিস্পাপ ছোট বোনকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে।

পাঠকের মতামত: