ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় এক প্রবাসীকে মারধর করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পুলিশ!

স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া :

পেকুয়ায় এক প্রবাসীকে আটকিয়ে মারধর করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের রাহাতআলী পাড়া এলাকার গোলাম নবীর ৩ পুত্র সৌদিয়াআরবে প্রবাস জীবন কাটে। পারিবারিক বসতবাড়ির মালিকানা নিয়ে তিন ভাই ও এক বোনের দীর্ঘ দিন বিরোধ চলছিল। সদ্য নির্মিত পাকা বসতবাড়ির আধিপত্য নিয়ে সহোদরদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ সুত্র ধরে প্রবাসী তিন ভাই ও এক বোনের বিচার শালিস থানা কোর্টে পর্যন্ত গড়ায়। প্রবাসীর স্ত্রীর হুকুমে পুলিশ গভীর রাতে ভাসুর ও চাচাতো ভাসুরকে আটক করে। এ সময় তারা ২ জনকে আটকিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় পুলিশ। কোন ওয়ারেন্ট ও মামলা ছাড়া গভীর রাতে প্রবাসীকে আটকিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশের এ আচরনে উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করে সচেতনমহল। আটকের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় দেখা দেয়।

স্থানীয়রা আরো জানায়, এ ধরনের হয়রানি সাধারণ মানুষের উপর সরকারী পুলিশ বাহিনীর নিকৃষ্ট বর্বরতা। ঘটনাটি ঘটে গত ১ মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের রাহাতআলী পাড়া এলাকায়। পুলিশ হয়রানির শিকার আবু তাহের(৩৯) ও কামাল হোসেন(৩৫)। আবু তাহের ওই এলাকার গোলাম নবীর পুত্র ও কামাল হোসেন ইমাম শরীফের পুত্র। এদের মধ্যে ১ম জন সৌদি প্রবাসী। গত ১ মাস আগে তিনি দেশে আসেন। পারিবারিক সূত্রে জানায়, ১ টি ১ তলা পাকা ভবন নিয়ে গোলাম নবীর ৪ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ৩ ভাই ও ১ বোন এক পক্ষে। অপরদিকে প্রবাসী আবু শামার সাথে এদের বিরোধ। তিন চার মাস আগে নির্মিত হয় এ ভবনটি। তারা সবাই পৈত্রিক ভিটায় এ ভবন নির্মাণ করতে অর্থের যোগান দেয়। তবে বর্তমানে ভবনটি প্রবাসী ভাই আবু শামা দখলে নেয়। সম্প্রতি গোলাম নবীর দুই ছেলে আবু তাহের ও আবুল বশর বিদেশ থেকে বাড়িতে আসে। তারা আবু শামাকে ওই বাড়ির একক আধিপত্য ছেড়ে দিতে চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে আবু শামার স্ত্রী ও ভাসুরদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এ সুত্র ধরে ওই দিন রাতে আবু শামার স্ত্রী পারভীন আক্তার পুলিশ নেয় বাড়িতে। পেকুয়া থানার এস,আই সুব্রত রায় ওই দিন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রাহাতআলী পাড়া থেকে আবু শামার বড় ভাই প্রবাসী আবু তাহের ও তাদের চাচাতো ভাই কামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। আবু তাহেরের মা নুরুন্নাহার জানায়, আমার সব ছেলেদের হক ধ্বংস করে ছেলে আবু শামা তার স্ত্রীকে দিয়ে বাড়ি দখলে রেখে দেয়। আমার ছেলে মেয়ে ও আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আবু তাহের জানায়, আমার বিরুদ্ধে মামলা ও ওয়ারেন্ট ছিলনা। রাতে পুলিশ সুব্রত আমার বাড়িতে এসে জোর করে বের করে। এক পর্যায়ে মারধর করে গাড়িতে উঠায়। শেষে তাকে টাকা দিয়ে আমি ও আমার চাঁচাতো ভাই ছাড় পায়। এস,আই সুব্রত আমাকে গভীর রাতে তুলে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই কামালকে মারধর করে। এমনকি ৫০ হাজার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। বেড়িবাঁধ সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়ে টাকার প্রস্তাব দেয়। টাকা দিয়ে মুক্ত হয়েছি। কামাল হোসেনের স্ত্রী মনছুরা বেগম জানায়, আমার স্বামীকে ঘুম থেকে তুলে গালিগালাজ করে নিয়ে গেছে। তবে ছোট ভাই আবুল শামার স্ত্রী পারভীন আক্তার জানায়, তারা আমাকে বার বার নির্যাতন করছিল। আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার এস,আই সুব্রত রায় জানায়, মহিলাকে মারধর করে মমুর্ষ অবস্থায় মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে পরে তাকে উদ্ধার করে রাত ২.৩০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। টাকা পয়সা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার কথাও মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।

##############

মালেশিয়ায় জাতীয়তাবাদী কক্সবাজার ফোরাম গঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া

মালেশিয়া অবস্থানরত কক্সবাজার প্রবাসীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে মালয়েশিয়াস্থ কক্সবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম। রবিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের স্থানীয় একটি হোটেলে কক্সবাজারের মালয়েশিয়া প্রবাসীদের নিয়ে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ইমন সাইদকে (চকরিয়া) সভাপতি, মোঃ জাহেদকে (টেকনাফ) সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ রুমমান উদ্দীন হৃদয়কে (চকরিয়া) সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সি: সভাপতি মো: কুতুব উদ্দীন (মহেশখালী),সহ- সভাপতি মোস্তফা কামাল সাকিত (কক্সবাজার সদর), সহ- সভাপতি: মো: জাহাঙ্গীর আলম (উখিয়া), সহ-সভাপতি জিয়াউর রহমান (চকরিয়া), যুগ্ম- সা:সম্পাদক: আবু হানিফ রানা (পেকুয়া), সহ- সাধারণ সম্পাদক মো: নোমান (মহেশখালী), সহ-সাধারণ সম্পাদকঃ জিয়াবুল হোসেন (কক্সবাজার সদর),সহ- সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন (চকরিয়া), সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক: রেজাউল করিম মিছবা (রামু), সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাইদুল ইসলাম (চকরিয়া), প্রচার সম্পাদক: মো: বেলাল উদ্দীন (রামু),সহ-প্রচার সম্পাদক আলমাস (চকরিয়া), অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: আব্দুর শুক্কুর (কুতুবদিয়া), সহ- অর্থ বিষয়ক সম্পাদক: হামিদুর রহমান (চকরিয়া), ধর্ম বিষয়ক সম্পদক: মিজানুর রহমান (কক্সবাজার), সহ- ধর্ম বিষয়ক: ইমরুল হাসান (রামু), তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: সাইফুল ইসলাম (চকরিয়া), সহ- তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক: মাহবুব খান (রামু), শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক: সোহেল চৌধুরী (চকরিয়া),সহ- শিক্ষা বিষয়ক: মিজান খান (রামু), সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়কক সম্পাদক মো: জসিম উদ্দীন (কক্সবাজার সদর), সহ সাহিত্য ও প্রকশানা বিষয়ক সম্পাদক: মো: আব্দুল্লাহ (চকরিয়া), আন্তজার্তিক বিষয়কক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জয় (রামু), সহ আন্তজার্তিক বিষয়কক সম্পাদক সাইমুন (চকরিয়া), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক শাহা জামাল (টেকনাফ) সহ- মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক: রিফাত হোসেন (চকরিয়া), প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক মো: শোয়াইব (মহেশখালী),সহ- প্রবাসী বিষয়ক সম্পদক মাইনুল ইসলাম (চকরিয়া),আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মো: ইব্রাহিম (চকরিয়া), সহ- আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক: নুরুল আলম (কক্সবাজার),সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক : সাইফুল ইসলাম হাসান (টেকনাফ), সহ-সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: আবু তালেব (চকরিয়া), ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক: আবুল খায়ের (টেকনাফ), সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম (কক্সবাজার সদর), ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইসরাক লাবিব (চকরিয়া) ও সহ- ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: মো: বেলাল উদ্দীন (কক্সবাজার সদর)।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আতাউর রহমান (চকরিয়া), মো: আবছার (মহেশখালী), আনোয়ার ইসলাম (উখিয়া), ইয়াসিন ফারুক (চকরিয়া), সাইফুল ইসলাম (টেকনাফ), মো: কাইছার উদ্দীন (পেকুয়া), শিমুল (কক্সবাজার সদর) ও মোফাইদুল (চকরিয়া)।

পাঠকের মতামত: