ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় ইউপি সদস্যকে প্রাননাশ চেষ্টা

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় ইউপির সাবেক সদস্যকে প্রাননাশ চেষ্টা চালায় দুবৃর্ত্তরা। ঘটনার জের ধরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। গত কয়েক মাস আগে ইউপির সাবেক এ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য পেকুয়া থানায় মামলা রুজু করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ১ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ইউপি সদস্যের ছেলে বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করে। যার নং ১০৫/১৭। এ দিকে ফের ওই ইউপি সদস্যকে প্রাননাশ চেষ্টা চালায়। ওই ইউপি সদস্যের নাম হাজী মোহাম্মদ তৈয়ব(৫৫)। তিনি মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার। সুত্র জানায়, গত ৩০ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হাজী মোহাম্মদ তৈয়ব জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাচ্ছিলেন। নিজ বাড়ি হারুনমাতবরপাড়া থেকে বহদ্দারবাড়ীর পুরাতন মসজিদে যাওয়ার পথে হুমায়ুন চৌধুরীর বাড়ির পশ্চিম অংশে ফুলতলা হারুনমাতবরপাড়া সড়কে তাকে প্রাননাশ চেষ্টা চালানো হয়। ইউপি সদস্য হাজী তৈয়ব জানায়, মামলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ১০৫ নং মামলার ৪ নং আসামী হারুনমাতবরপাড়া এলাকার উলামিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন আমাকে প্রাননাশ চেষ্টা চালায়। ধারালো কিরিচ নিয়ে আমাকে আক্রমন করে। এ সময় আমি দ্রুত সটকে পড়ি। এর আগেও মামলা উঠিয়ে নিতে হাকাবকা ও প্রাননাশ হুমকি দেয়। আমি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি।

############

পেকুয়ায় পাহাড়ে স্থাপনা গুড়িয়ে দিল বনবিভাগ

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিল বনবিভাগ। রিজার্ভ ভূমি জবর দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছিল একটি চক্র। খবর পেয়ে বনবিভাগের বারবাকিয়া বনবিট কার্যালয় সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের আবাদিঘোনা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই এলাকার রহিমদাদের রান্নাঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চট্রগ্রাম দক্ষিন ও কক্সবাজারের উত্তর বনবিভাগ সুত্র জানায়, আবাদিঘোনায় রহিমদাদ নামের এক ব্যক্তি সরকারী রিজার্ভ জায়গা জবর দখলে নেয়। ওই স্থানে সম্প্রতি একটি পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ কাজ করছিল। বনবিভাগ ওই স্থানে ওই দিন সকালে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এমনকি স্থাপনা অর্ধেক নির্মিত হয়েছিল। সেটি বনবিভাগের লোকজন অভিযানে গুড়িয়ে দেয়। এ দিকে চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন টইটং ও বারবাকিয়া বনবিটের মালিকানাধীন বিপুল পরিমান জায়গায় জবরদখলে গেছে। রিজার্ভ ভূমি ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিপুল জায়গায় বসতি স্থাপন কাজ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সুত্র জানায়, রহিমদাদ আবাদিঘোনা এলাকায় বিপুল জায়গায় নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করে। প্রায় ৩ একর ফসলী জমি সহ ৬ একর বনভূমি তার কবলে গ্রাস হয়। ওই স্থানে এ ব্যক্তি বাড়িঘর নির্মান করে। স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার সময় বনবিভাগ তুমুল বাধাগ্রস্ত হয়। বারবাকিয়া বনবিটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উচ্ছেদ অভিযানে যায়। এ সময় রহিমদাদ গং চরম চড়াও ও আক্রোশী হন। এর সুত্র ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। উচ্ছেদ অভিযান বাধাগ্রস্ত করতে মহিলা লেলিয়ে দেয় জবর দখলকারী চক্র। এ সময় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বনবিভাগ স্থানীয়দের সহযোগিতা চায়। এ সময় পাহাড়ের আশপাশের লোকজন দ্রুত ওই স্থানে ছুটে যান। তারা উত্তেজনা প্রশমিত করে। বারবাকিয়া বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে বনবিভাগ ওই দিন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেয় বলে বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্র নিশ্চিত করে। জানতে চাইলে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানায়, পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা জোরদার করা হচ্ছে। জবরদখল কারীদের ছাড় দেয়া যাবে না। সরকারী সম্পদ বেহাত থেকে অবশ্যই উদ্ধারের কাজ দ্রুত অগ্রসর মান। এ দিকে উচ্ছেদ অভিযানে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। রহিমদাদ জানায়, এ জায়গা তার ৩০ বছরের দখলে। সে দিন উচ্ছেদের নামে মাস্তান ও ভাড়াটে লোকজন তার বসতবাড়িতে হানা দেয়। তারা তান্ডবসহ ভাংচুর চালায়। মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানায়, বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। লোকজন সহ আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করি।

############

পেকুয়ায় বৈঠকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন মাদ্রাসা সুপার

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় গোপনে কমিটি গঠন নিয়ে টইটং ইউনিয়নের বটতলী শফিকিয়া মাদ্রাসায় অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে এ মাদ্রাসায়। এতে করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শংকা দেখা দেয়। পরিচালনা কমিটিকে অবিহিত না করে গোপনে শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়োগের পায়তারা চুড়ান্ত করে অধ্যক্ষ। এ নিয়ে বিরোধের মুল কারন। এ দিকে ওই ঘটনায় টালমাটাল হয়েছে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনসহ টইটং ইউনিয়নের উত্তরের পাহাড়ী জনপদ বটতলীতে। অধ্যক্ষের এহেন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়েছে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকসহ সচেতন মহল। প্রকাশ্যে ও ¯œায়ু বিরোধের জের ধরে বটতলী শফিকিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাঙ্গনে এর নীতিবাচক প্রভাব তৈরী হয়েছে। সম্প্রতি বিরোধ আরও প্রকট আকার ধারন করে। অভিভাবক ও সচেতন মহল এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য অধ্যক্ষ ছাবের আহমদকে দায়ী করেছেন। অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবীসহ গোপনে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন বাতিলসহ এ সৃষ্ট গোলযোগ পরিস্থিতি অবসানে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট করা হয়েছে। এ দিকে শফিকিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরিচালনা কমিটি এ অভিযোগ দেয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এর দায়িত্বভার ন্যস্ত করে। সম্প্রতি শফিকিয়া মাদ্রাসায় পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনীত নিয়ে বিরোধের মুল সুত্রপাত। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে অবহিত না করে অধ্যক্ষ অনেকটা নিরব ও নিস্ক্রিয়তার মাঝে দু’জন শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরী হয়। গত বুধবার ৪ এপ্রিল অভিভাবকগন মাদ্রাসার গোলযোগ পরিস্থিতি নিরসনের উদ্যোগ নেয়। ওই দিন দুপুরে অর্ধশতাধিক অভিভাবক মাদ্রাসায় জড়ো হয়। তারা স্বচ্ছ ও গনতান্ত্রিক উপায়ে শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়োগের জন্য অনুরোধ জানায় অধ্যক্ষকে। এ সম্পর্কিত বিষয়ে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বৈঠক হয়। বৈঠকে কমিটি নিয়ে আলোচনা চলছিল। এ সময় অধ্যক্ষ ছাবের আহমদ অভিভাবকদের উপস্থিতিতে বিরক্তিভাব প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে তিনি তেলে বেগুনে জ¦লে উঠে। বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে প্রশ্ন উত্তাপনকারী একজন অভিভাবককে উদ্দেশ্য করে বকাঝকা করে। এ সময় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বলেন আমাকে কেউ কিছু করতে পারবেন না। আমি কারও এ সব তোয়াক্কা করিনা। বটতলীর লোকজন প্রতিবাদ করলে আমার কি আসে যায়। এমন কান্ড জ্ঞানহীন অধ্যক্ষের এ বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন ও দেমাগ আচরনে অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা হতাশ ও হতভম্ব হন। এ সময় এ আচরনে তারা প্রতিবাদী হন। বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করা হয়েছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে অভিভাবকগন ব্যাপকহারে মাদ্রাসায় জড়ো হয়। শ্রেনীকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হয়। শিক্ষকরা দ্রুত ছুটে যান অধ্যক্ষের কক্ষে। এ সময় প্রকাশ্যে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর আচরনে অভিভাবকরা প্রতিবাদী হয়েছেন এ পরিস্থিতি দেখতে পান তারা। শিক্ষকরা উত্তেজনা প্রশমিত করে। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষের পক্ষে তারা ক্ষমা চান। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আবদু রহিম জানায়, ছাবের আহমদ গোপনে কমিটি গঠনের কাজে হাত দিয়েছে। আমরা সরকারের অনুসৃত নীতিমালার পক্ষে। ১৯৮০ সালে এ মাদ্রাসা প্রতিষ্টিত হয়। প্রতিষ্টালগ্নে মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। তার এ অর্জন বিলুপ্তির অবসান ঘটাতে চাই এ অধ্যক্ষ। তাকে বাদ দিয়ে এ স্থলে আরেকজনকে সম্পৃক্ত করার কাজ চলছে। আমরা এ সবের বিরোধী। অভিভাবক জানায়, ছাবের আহমদ একজন অদক্ষ ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। মাদ্রাসায় তার ভ্রান্ত নীতির বহি:প্রকাশ ঘটেছে। কোন কোন শিক্ষক দিনের পর দিন অনুপস্থিত থেকে থাকেন। ১২ টা ও ১টার দিকে ক্লাসে আসে অনেক শিক্ষক। এরা অধ্যক্ষকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে। সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের দেশ ও রাজনৈতিক দল আ’লীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে ব্যস্ত। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপকহারে টাকা পয়সা নেয়া হয়। সরকারের দোষ দিয়ে এ সব টাকা নানা অজুহাতে হাতিয়ে নেয়। মাদ্রাসায় কোন ধরনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতাও নেই। সরকারের বিনামুল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরনেও টাকা হাতিয়ে নেয়। ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানায়, সে দিন আমিও ছিলাম। একজন দায়িত্বশীল মানুষ এমন আচরন করবে সেটি বিশ^াস ছিল না। আসলে তার মধ্যে নৈতিকতা ও ভদ্রতা থাকার প্রশ্ন অবান্তর। এ ধরনের প্রধানের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে। অভিভাবক আবুল কালাম, জসিম উদ্দিন, আবু মিকার জানায়, সে একজন অসভ্য লোক। আমরা বেতন দিই। জানার অধিকার অবশ্যই আমাদের আছে। কিভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করল। জ্ঞান ও ভদ্রতা কি তার মাঝে নেই। আসলে অসভ্য ও দুর্নীতিবাজরা এ ধরনের আচরন করতে পারে। আমরা তার পদক্ষেপ চাই। ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্টান বড়। আমরা চাইনা একজন বিতর্কিত মানুষের দ্বারা আলোর দর্পন শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষা ব্যবস্থায় অধ:পতন ঘটুক। এ সবের তদন্তের প্রয়োজন। জানতে চাইলে বটতলি শফিকিয় মাদ্রাসার সুপার ছাবের আহমদ জানায়, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমরা কমিটি গঠন করিনি। তবে নীতিমালায় টিআর নিয়োগে অধ্যক্ষের ক্ষমতা আছে। আমরা পিকনিক আয়োজন করেছিলাম। শিক্ষকরা এ আয়োজন করেছিল। আমি একটু রাগী মানুষ। তাই বড় গলায় কথা বলেছি। এ সবের জন্য আপনাদের কাছ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।

পাঠকের মতামত: