ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় চায়ের দোকানে জুয়ার আসর

পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় চায়ের দোকান কাম মুদির দোকানে চলছে জুয়ার আসর। জুয়া, মাদক ও নেশাজাত দ্রব্যের ছড়াছড়িতে অস্থিরতা দেখা দেয় সমাজ ব্যবস্থায়। এতে করে বিরুপ প্রভাব দেখা দিয়েছে গ্রামীন এলাকায়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী বকসুচৌকিদার পাড়ায় চায়ের দোকানে চলছে জুয়ার আসর। স্থানীয়রা জানায়, বকসুচৌকিদার পাড়ায় কামাল হোসেনের ছেলে মামুনুর রশিদ লোকালয়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্টানের স্বত্তাধিকারী। গোঁয়াখালী রবার ড্যাম ও জালিয়াখালী সড়কের বকসুচৌকিদারপাড়া মাঝপয়েন্টে মামুন সওদাগরের চায়ের দোকান ও মুদির দোকান আছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ওই দোকানে প্রতিদিন বসছে জুয়ার আসর। উঠতি যুবক ও মধ্যবয়সী বিভিন্ন লোকজন এ দোকানে বসে তাস খেলে। একইভাবে এ দোকানে কেরাম খেলাও চলে। এ সব খেলায় টাকার ছড়াছড়ি হয়। জুয়ার আসরে মেতেছে ছেলে ও কচিকাঁচার শিশুরাও। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এ দোকানে বসে জুয়া খেলার দিকে ঝুঁকছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামবাসী জানায়, দোকানটিতে প্রায় সময় জুয়া ও মদের আসরসহ অসামাজিক কাজ চলমান আছে। জালিয়াখালী ও রাবারড্যাম সড়কের ব্যস্ততম স্থান বকসুচৌকিদারপাড়া। দোকানের পাশর্^বর্তী স্থানে মসজিদ আছে। এ ছাড়া এ দোকানটি পাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড সমাজ ব্যবস্থায় বিরুপ প্রভাব দেখা দেয়। প্রায় সময় জুয়ার আসর চলছে এ দোকানে। প্রশাসনকে স্থানীয়রা বিষয়টি অবহিত করছিলেন। তবে তারা জানায়, এখনও থেমে যায়নি এ সব অসামাজিক কার্যকলাপ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদর ইউপির ২ জন জনপ্রতিনিধি জানায়, গ্রামবাসী অনেকবার আমাদেরকে দোকানটির বিষয়ে নালিশ দেয়। আসলে আমরা অনেক কিছু করতে চাইলেও পারিনা। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা সহযোগিতা না করলে দায়ী হব। এ সব বন্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরী।

############

পেকুয়ায় মুরগীর খামারসহ ঘেরা বেড়া ভাংচুর

পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় মুরগীর খামারসহ ঘেরা বেড়া ভাংচুর করল দুবৃর্ত্তরা। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ধারালো অস্ত্রসহ দুবৃর্ত্তরা মুরগী উৎপাদনকারীর খামারে হানা দেয়। এ সময় খামার ভাংচুরসহ ব্যাপক লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উত্তেজনা প্রশমিত করতে ওই স্থানে গ্রাম পুলিশ পৌছায়। সোমবার ১৯ মার্চ বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা মাঝেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৮ শতক জায়গা নিয়ে ওই এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও মৃত ইদ্রিসের ছেলে কলিম উল্লাহর বিরোধ দেখা দেয়। জায়গা বনবিভাগের। কলিম উল্লাহ জাহাঙ্গীরের চাচাত ভগ্নিপতি। চাচাত বোন শাহানাকে আপাতত জায়গা দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে ওই জায়গা জাহাঙ্গীর গংদের দখলে। গত ২ মাস আগে জাহাঙ্গীর গং ওই জায়গার বিষয়ে টইটং ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দেয়। গ্রাম আদালত ২৮ শতক জায়গার মধ্যে ২১ শতক জায়গা কলিম উল্লাহ গংদের অনুকুলে বুঝিয়ে দেয়। ৭ শতক জায়গা জাহাঙ্গীর গংদের অনুকুলে বুঝিয়ে দেয়। গ্রাম পুলিশ ও সালিশি প্রতিনিধিরা জায়গার পরিধি নির্ধারন করে। এমনকি ওই স্থানে পিলার পুঁতে দেয়। জাহাঙ্গীর আলম ওই জায়গায় পোল্ট্রি ফার্ম তৈরী করে। ব্রয়লার মুরগী উৎপাদন করছিলেন। ঘটনার দিন বিকেলে চাচাত বোনের জামাই কলিম উল্লাহ তার স্ত্রী শাহানা বেগম, মেয়ে আখি ও মুন্নী মিলে পোল্ট্রি খামারে হানা দেয়। এ সময় খামার ও কাটা তারের ঘেরা বেড়া ভাংচুর করে। এ সময় প্রায় ২০ টি আরসিসি পিলার লুট করে তারা। প্রত্যক্ষদর্শী বাহার উদ্দিন, মমতাজ বেগম, সাবেকুন্নাহার, হাসান জানায়, তারা উত্তেজিত ছিল। ধারালো দা নিয়ে কলিম উল্লাহসহ মহিলারা ফার্মে আক্রমন করে। আমরা শান্ত থাকতে বলেছিলাম। তারা চরম আক্রোশী ও মেজাজী ছিল। ভাংচুর করা হয়েছে। দফাদার নুরুচ্ছবি জানায়, জায়গা পরিমাপ হয়েছে। জাহাঙ্গীর শান্ত স্বভাবের। দোষ কলিম উল্লাহ করেছে। চেয়ারম্যান শান্তি শৃংখলা রক্ষা করতে আমাদের ওই স্থানে পাঠায়। জাহাঙ্গীর জানায়, তারা এর আগেও একবার ভাংচুর করে। এটি দ্বিতীয় ভাংচুর। মুরগীর বাচ্চা নষ্ট করিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে।

 

 

পাঠকের মতামত: