ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় আ’লীগ নেতাসহ গুলিবিদ্ধ-৩, বাড়ি ভাংচুর

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় আ’লীগ নেতা ও মহিলাসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৩ জন। এ সময় ২ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা এদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ৩ জনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১.৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের জুমপাড়া মালঘারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পেকুয়া থানা পুলিশ দু’দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ওই দিন রাতে ও পরদিন শুক্রবার সকালে পুলিশ জুমপাড়া পরিদর্শন করেন। ঘটনার জের ধরে এলাকায় টান টান উত্তেজনা ও ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। টইটং ইউনিয়ন আ’লীগের ১ নং ওয়ার্ড শাখার সহসভাপতি আবদুল হামিদকে প্রাননাশ করতে ১৫ থেকে ২০ জনের স্বশস্ত্র অস্ত্রধারী তার বাড়িতে রাতে হানা দেয়। এ সময় তাকে প্রাননাশ ঘটাতে বাড়িতে প্রবেশ করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে দুবৃর্ত্তরা টিনের চাল কেটে ফেলানো হয়। টিনের ঘেরা মোড়ানো বাড়িতে তান্ডব চালানো হয়। টিনের বেড়া ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে কেটে বাড়িতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এ সময় বাড়ির লোকজন বাঁচতে স্বজোরে আর্ত চিৎকার করে।

খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা ব্যাপকভাবে জড়ো হয়। এ সময় লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে অন্তত ৪০/৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। জুমপাড়ার গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অস্ত্রধারীরা সরাসরি লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় লোকজন আতংকে ভীত সন্ত্রস্ত হন। এ সময় ওই এলাকার মৃত নুরুল কাদেরের ছেলে আবদুল হামিদ(৩৫), সেলিম উদ্দিনের স্ত্রী নুর আয়েশা বেগম(২৬), ওমর আলীর পুত্র ইউনুছ(২০)কে গুলিবিদ্ধ করে তারা। ২০থেকে ৩০ মিনিট ব্যাপক তান্ডব চালায় দুবৃর্ত্তরা। লোকজন ব্যাপক জড়ো হচ্ছে এ দৃশ্য দেখতে পান তারা। এ সময় সটকে পড়ে। যাওয়ার সময় মৃত বদরুজ্জামানের ছেলে জাবের(২৫) ও আবদুল হামিদের মা আমেনা খাতুন(৫৫) কে কুপিয়ে জখম করে। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী গ্রাম পুলিশসহ রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আবদুল হামিদের ভাই আবদু রহিম,স্ত্রী হামিদা বেগম, আবদু রহিমের স্ত্রী পারভীন আক্তার জানায়, ওই দিন রাতে তারা ঘুমিয়ে পড়ছিলেন। এ সময় ৫/৬ রাউন্ড গুলি ছোড়ে বাড়ি আক্রমন করা হয়। আবদুল হামিদকে তোলে নিতে তারা বাড়ির চালের টিন ও বেড়া কেটে ফেলে। প্রায় ১৫/২০ জন মুখোশ পরা ছিল।

ফরায়েজী হত্যা মামলার আসামী নাপিতখালীর জাকের আহমদের ছেলে শাহাদাত হোসেন মেম্বার, খুইন্নাভিটার মৃত বাদশার ছেলে খোকন, মৃত বদিউল আলমের ছেলে হেলাল, উকিল আহমদের ছেলে ফরায়েজী হত্যা মামলার আসামী আবদুল জলিল, আবু তালেব, দানু মিয়ার ছেলে খানে আলমসহ দুবৃর্ত্তরা এ হামলাসহ তান্ডব চালায়। আবদুল গফুরের স্ত্রী জোবাইদা বেগম জানায়, তারা বাড়িতে ঢুকে আমার ৩ বছরের ছেলে আবদুল্লাহ নুর ফয়সালকে ধারালো দা দিয়ে খুন করতে চেয়েছিল। আমি পায়ে ধরে ছেলেকে রক্ষা করেছি। রফিক আহমদ, আক্তার, আনিছ সওদাগর, মোশারফ আলীসহ মালগারার লোকজন জানায়, যে ভাবে তারা গুলি ছোড়ে সেখানে পৌছার কারো সাধ্য ছিল না। ষ্টেশনে এসেও ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। দোকান বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়।

ইউপি সদস্য আবুল কাসেম জানায়, আমরা শত শত মানুষ ছুটে গিয়েছিলাম। পাথরী খিলা পাহাড়ে আবদুল হামিদের বাড়ি। তারা পাহাড়ী পথ ধরে রাতে এ হামলা করে। বেশী গুলির আওয়াজ ছিল। আমি মাইকে গিয়ে প্রচার করার চেষ্টা করি। মসজিদ তালাবদ্ধ ছিল। আসলে এ ধরনের গুলির আওয়াজে আমরা চরম শংকিত হয়। টইটং ইউনিয়ন আ’লীগের ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি আবু মিকার ও সাধারন সম্পাদক মনজুর আলম জানায়, আবদুল হামিদকে খুন করতে এ ঘটনা। তিনি আমাদের ওয়ার্ড কমিটির সহসভাপতি। এর আগেও শাহাদাতসহ ফরায়েজী হত্যা মামলার আসামীরা জুমপাড়ায় আ’লীগের অফিস পুড়িয়ে দেয়। তারা মারাত্মক অন্যায় করেছে। পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত মনজুর কাদের মজুমদার জানায়, আমি নিজেও গিয়েছিলাম। পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে অবশ্যই সর্বোচ্চ আইনী সহায়তা করবে পুলিশ।

#############

পেকুয়ায় যুবলীগ নেতাকে মুঠোফোনে হুমকি

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় উপজেলা যুবলীগ সহসভাপতি আব্বাছ উদ্দিন(৪৪)কে প্রাননাশ হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মুঠোফোনে তাকে এ হুমকি দেয় বলে নিশ্চিত করেছেন ওই যুবলীগ নেতা। এ দিকে মুঠোফোনে হুমকিতে হতবিহবল হন যুবলীগের উপজেলা পর্যায়ের এ নেতা। তিনি নিজের জানমালের নিরাপত্তা ও সার্বিক আইনী সহায়তা নিশ্চিত করতে আদালতে শরনাপন্ন হন। রাষ্ট্রের প্রশাসনযন্ত্র নাগরিকের আইনী সহায়তা দিতে সম্মত। তিনি আদালতে একটি আর্জি উপস্থাপন করেন। আদালত সেটি আমলে নিয়েছেন। সাধারন ডায়েরী লিপিবদ্ধ করতে নালিশি অভিযোগ আদালতে দিয়েছে। এ দিকে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আব্বাছ উদ্দিনকে প্রাননাশ চেষ্টাসহ মুঠোফোনে হুমকির এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক এ সম্পর্কিত বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখা। এক প্রতিক্রিয়ায় যুবলীগ নেতৃবৃন্দরা জানায়, এ ধরনের হুমকি মেনে নেওয়া যায় না। আব্বাছ একা নন। তিনি রাজনীতিক কর্মী। অন্যায় করলে আমরা এর ন্যায় সংগত সমাধান দেয়ার সক্ষমতা রাখি। তবে কোন পক্ষ রাজনীতিক কর্মীদের অন্যায়ভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা মেনে নেবে না যুবলীগ। আব্বাছ উদ্দিন জানায়, ১৩ মার্চ রাতে একটি মুঠোফোন থেকে আমাকে প্রাননাশ হুমকি দেয়। হুমকিদাতা সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনা থেকে বলছিল বলে অপর প্রান্ত থেকে জানায়। ০১৮৪৩০৯৪৩০৯ নম্বর থেকে এ হুমকি দেয়।

################

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতির মাতার মৃত্যুতে দোয়া মাহফিল

পেকুয়া প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল এসোসিয়েশন পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ডা: মুহাম্মদ আশেক উল্লাহ এর মাতা মোছাম্মৎ মছুদা বেগম(৭৫) এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। পেকুয়া বাজারস্থ ১৬ মার্চ বিকাল ৩ টায় জার্মান হোমিও ক্লিনিক কার্যালয়ে এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ডা: এইচ. এম. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ডা: মুহাম্মদ জিয়াউল হক শফিকী এর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি অধ্যাপক ডা: ইদ্রিস, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: ইদ্রিস মোবারক, অর্থ সম্পাদক ডা: মকছুদ আহমদ প্রমুখ। এ দিকে মরহুমার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন সহ সভাপতি যথাক্রমে ডা: নির্মল কান্তি সুশীল, ডা: এইচ এম আবদুর রহমান, অধ্যাপক ডা: ইদ্রিস, সাধারন সম্পাদক ডা: জিয়াউল হক শফিকী, চকরিয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা: মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: ইদ্রিস মোবারক, অর্থ সম্পাদক ডা: মকছুদ আহমদ। তিনি ২ ছেলে ১ ছেলে রেখে যান।

পাঠকের মতামত: