ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মহেশখালী ভূমি অফিসের ঝাড়ুদার মীর কাসেমের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ

বার্তা পরিবেশক :

মহেশখালী ভূমি অফিসের ঝাড়–দার পেশার সাথে নিয়োজিত স্থানীয় বাসিন্দা মীর কাসেমের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবসহ অফিসের ভেতরে থেকে সরকারি অফিসের গোপনীয়তা ফাঁস করা, অবৈধ সুযোগ নিয়ে সরকারি নথি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একই ভাবে নামজারিসহ বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন দালালির কারণে এই কাসেম মহেশখালীতে ব্যাপক আলোচিত। এসব অভিযোগে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে স্বয়ং সংশ্লিষ্ট অফিসের সহকারি কমিশনার(ভূমি) পর্যন্ত বিভিন্ন সময় থানায় জিডি করেছে। একই ভাবে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং-এ তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা ও শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত এসেছে। বর্তমানে দীর্ঘ দিন থেকে সে ভূমি অফিস হতে পলাতক রয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ। সূত্রের অভিযোগ থেকে জানাযায়, মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের জনৈক মৃত মিয়া হোসেনের পুত্র মীর কাসেম গত ২৮ বছর ধরে মহেশখালী ভূমি অফিসে ঝাঁড়–দারের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এই অফিসে সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে আনুষাঙ্গিক খাত হতে নির্ধারিত মাসিক দুইশত টাকা হারে বেতনে দীর্ঘ সময়জুড়ে একই চাকরি করে আসলেও এই ভূমি অফিসকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। বিপুল পরিমান সরকারি জমি দখলসহ গড়ে তুলেছে বিলাসবহুল বাড়ি। শুধু নিজের নামে নয়, এই সুযোগে নিজের স্ত্রী-সন্তানসহ আত্মিয়-স্বজনের নামেও বিভিন্ন সরকারি জমি দখল করেছে। দখল করেছে নামে-বেনামে আরও বহু ভূমি। অভিযোগ রয়েছে এই কাসেম এক প্রকারের আধ্যত্মিক শক্তির উপর বিশ্বাস করে বিভিন্ন সময় সরকারি কর্মকর্তাদের জাদু-টোনা করে নিজের বসে নিয়ে আসে। পরে আবার কর্মকর্তারা তা ঠের পেয়ে এই কাসেমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলেও সূত্রে প্রকাশ। জানাগেছে এই কাসেমের বাড়িতে বার্মার এর তান্ত্রিক বৈদ্দ রয়েছে। রোহিঙ্গা গাফ্ফার নামের ওই বৈদ্যকে দিয়ে জাদুটোনা করেই মূলত অফিসে কোনো নতুন কর্মকর্তা যোগদান করলে তাকে নিজের বসে নিয়ে আসে। এই কাসেম বিগত সময় সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি গয়েবে করে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে তা পাবলিকের কাছে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি ঠের পেয়ে গত ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল মহেশখালীর তৎকালীন সহকারি কমিশনার(ভূমি) খালেদ মাহমুদ তার বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় জিডি পর্যন্ত করেন। এর পর সে অফিস থেকে পলাতক হয়ে যায়। একই ভাবে আরও বিভিন্ন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে জিডি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করেছে বলে সূত্রে প্রকাশ। বর্তমান সহকারি কমিশনার (ভূমি) যোগদান করার পর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে অদ্যবদি সে অফিস থেকে পলাতক রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি সহকারি কমশিনার (ভূমি) প্রমোশন নিয়ে অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ার আদেশ আসার পর নতুন ভাবে নড়েচড়ে বসেছে এই দুনীর্তিবাজ কাসেম। আবারও এই অফিসে ঢুকে নিজের অনৈতিক কর্মযজ্ঞ শুরু করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে বলেও সূত্রের অভিযোগ। এমন অবস্থায় অফিসটির সাধারণ কর্মকর্তা, কর্মচারিদের মধ্যে বেশ অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। আতংকিত হয়ে পড়েছে সাধারণ ফরিয়াদি লোকজন। এ অবস্থায় বহু বির্তকিত এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক স্থায়ী ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত: