ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বদরখালী সমিতির নির্বাচন স্থগিত

bc6a93ce-a8e2-41cc-adfe-acb803fc066f-768x446নিজস্ব প্রতিনিধি ::

প্রথমবারের মত পেছাল বহুল আলোচিত চকরিয়া উপজেলার এশিয়ার বৃহত্তম ৫০ হাজার জনগোষ্টির জন্য সমবায় পরিচালিত বদরখালী সমবায় ও কৃষি উপনিবেশ সমিতির নির্বাচন। আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারী রবিবার ছিল নির্বাচনের নির্ধারিত দিন । নির্ধারিত দিনে নির্বাচন না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ ভোটার’রা। নির্বাচন না হওয়ায় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা। জানা গেছে, চলতি মাসের ১ ফেব্রুয়ারী বদরখালীর বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি বাংলাদেশ হাইকোর্টে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য একটি রিট প্রেটিশন দাখিল করেন। উক্ত প্রেটিশন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট উক্ত সমিতির নির্বাচন স্থগিত করার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দেশ দিলে ও একটি কূচক্র মহল নির্দেশের কপি গোপন রাখায় প্রার্থীরা না জেনে নিঝুম প্রচারনা চালিয়ে গেলে ও হঠাৎ গতকাল বিকালের দিকে প্রার্থীরা নির্বাচন স্থগিত করার খবর শুনে থমকে যান।
বদরখালী বাজার, গ্রামের অলিগলি তোরন ব্যানার পেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছিল। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের কাছে ও প্রচারণায় তুমুল প্রচারণা চালিয়েছিল। চারিপাশে প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মত করে বিভিন্ন আশা প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে পোষ্টার ব্যানারের মাধ্যমে নিজ নিজ পরিচর ফুটিয়ে তোলতে ব্যাস্ত ছিল। শুধু এখানে সীমাবদ্ধ ছিল না। তৈরা করা হয়েছিল বাজারের মোড়ে মোড়ে সহ মহেশখালী সেতুর পূর্বপাড়-বদরখালী ফেরীঘাট সংলগ্ন এলাকায় প্রার্থীদের তুরং, লাগানো হয়েছে বিলবোর্ড। বদরখালী জুড়ে এক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হলে ও হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবরে মাইকে প্রচার করা প্রার্থীদের শে¬øাগান মূখর ধবনি বন্ধ হয়ে য়ায়। খুলে ফেলে হচ্ছে প্রার্থীদের লাগানো তোরণ, বিলবোর্ড। চারদিকের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। প্রাপ্ত তথ্যমতে সমিতির সভাপতি পদে ৩ জন, সহ-সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন, সদস্য পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করে শেষ মুহুর্তের প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যখানে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবরে তাদের প্রচারণা থমকে গেছে গতকাল বিকালের দিকে। নির্বাচন উপলক্ষে যেমন উৎসব মূখর পরিবেশ ছিল তেমনি এখন চারদিকে বিরাজ করছে চুনচান নিরবতা।
সমিতির বর্তমান সভাপতি ও সভাপতি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল আমিন সিকদার ক্ষোভের সাথে বলেন, ভোটের’রা ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করতে চান। কিন্তু ভোটে নিজেদের পছন্দের প্রার্থী পরাজিত হওয়ার ভয়ে নির্বাচন না করার জন্য প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজন নেতা ষড়যন্ত্র করছেন। সহ-সভাপতি প্রার্থী আলী আজম বাহাদুর বলেন, আমিসহ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার ভয়ে নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তাই আগামীতে যদি নির্বাচন স্থগিত করায় হয় বৃহত্তর বদরখালী বাসীকে নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। সদস্য প্রার্থী মুছা কলিম উল্লাহ বলেন, নির্বাচন স্থগিত করলেও জনপ্রিয়তা দমিয়ে রাখা যায় না, ভোটেরসহ বদরখালীবাসী আমাকে তাদের মনি কোটায় স্থান করে নিয়েছেন, আগামীতে তারা ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে জানিয়েদেব বদরখালীবাসী।
সচেতন লোকজনের মধ্যে জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক স্থানিয় ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, যারা নির্বাচন স্থগিত করেছেন তারা সমাজের ঘৃণিত ব্যাক্তি। ভবিষ্যত যাতে নিবার্চন স্থগিত করতে না পারে সমিতির বিধিমালায় আইন করা দরকার। বদরখালী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান বলেন, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় অনেক প্রার্থীর অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যা বদরখালীবাসীর জন্য সুফল ভয়ে আনবেনা।

পাঠকের মতামত: