ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় বাড়ছে ইয়াবার মজুদ, আটক-২

atok,পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় বাড়ছে ইয়াবার মজুদ। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ইয়াবাসহ আটক হয়েছে অন্তত তিনজন। ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ২ হাজারেরও অধিক। পেকুয়ায় একাধিক মোকাম ইয়াবা পাচারের ট্রানজিটে পরিনত হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতাও চোখে পড়ার মত। তবে থেমে নেই ইয়াবা পাচার। পেকুয়ায় বাড়ছে ইয়াবা মজুদ। উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে ইয়াবার অপতৎপরতা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী ওই ইউনিয়নে ইয়াবার আগ্রাসন সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। একাধিক মোকাম দিয়ে পাচার হচ্ছে ইয়াবা। জেলে,ক্ষেত মজুর, লবণ চাষী, পরিবহন শ্রমিক থেকে শুরু করে সব পেশার মানুষ ইয়াবার সাথে যুক্ত হয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এ ইউনিয়ন মাদক পাচারের স্বর্গরাজ্য। হঠাৎ কোটিপতি হওয়ার বাসনায় রাজাখালীতে শত শত মানুষ ইয়াবা পাচারের দিকে ঝুকছে। এদের মধ্যে অনেকেই কোটিপতি ইয়াবা বিক্রি করে। আবার কেউ কেউ লাখপতি হয়েছে। প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করছে। আটকের ঘটনাও দৃশ্যমান। তবে ছুনোপুটিরা ধরা পড়েছেন। মুল হোতারা অধরা। তারা ইশারা ইঙ্গিতে ব্যবসা পরিচালনা করেন। মুলধন প্রভাবশালীদের। আরা যারা ধরা পড়ছেন এরা ইয়াবা বহন করে। সম্প্রতি ইয়াবার মজুদ বেড়েছে পেকুয়ায়। গত ২৭ আগষ্ট ইয়াবাসহ দুই যুবক চট্রগ্রামের পশ্চিম পটিয়া মইজ্জারটেক নামক স্থানে আটক হন। তারা রাজাখালী থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে চট্রগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশী চালান। এ সময় ২০০০ ইয়াবাসহ এ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন মুহাম্মদ এনাম(৩২) ও আবদুল মাবুদ প্রকাশ কালু(২৭)। তারা দুইজন রাজাখালী ইউনিয়নের দিলজানপাড়া ও উলুদিয়া পাড়ার বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানায়, এনাম ও কালু দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচারে লিপ্ত। একটি প্রভাবশালী চক্র এ দুইজনসহ আরো অন্তত ২০/৫০ জন উঠতি বয়সের যুবককে দিয়ে ইয়াবা পাচার করছিলেন। মাতবরপাড়া, সুন্দরীপাড়া, বদিউদ্দিনপাড়া, উলুদিয়াপাড়ায় ওই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে এ সব যুবকরা ইয়াবা পাচারে ব্যস্ত। তারা ইয়াবা পরিবহনের কন্টাক নেন ওই সিন্ডিকেটের কাছ থেকে। মগানামা ইউনিয়নেও ইয়াবার মজুদ বাড়ছে। উপকুলবর্তী এ ইউনিয়নে ইয়াবা পাচার চলছে। মগনামা জেটিঘাট ইয়াবা পাচারে অন্যতম মাধ্যম। কুতুবদিয়া চ্যানেলে এ জেটিঘাট ইয়াবার ঘাট হয়েছে। ঘাটের ইজারাদার টোল আদায়কারী ও লেবার ইয়াবা পাচারে জড়িত। অনেকেই এ ঘাট দিয়ে ইয়াবা পাচার করে এখন কোটিপতি। যারা শ্রমিকের কাজ করছে এদের অনেকেই রাতারাতি লাখপতি থেকে কোটিপতি। কার্গোবোট,ফিশিং বোট, স্প্রিড বোটের মালিক হয়েছেন অনেকে। উজানটিয়া ইউনিয়নের করিমদাদমিয়া ঘাট দিয়েও পাচার হচ্ছে ইয়াবা। ঘাট সংশ্লিস্ট এলাকার কয়েকজন ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত। যারা এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তারা হয় হয়রানির শিকার।

পাঠকের মতামত: