ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় থানা পুলিশের মাঠ ভরাটের নামে ভূঁয়া বরাদ্দ দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::pek
কক্সবাজারের পেকুয়া থানা কম্পাউন্ডের ভিতরের মাঠ ভরাটের নামে ভুঁয়া প্রকল্প দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। খোদ থানা পুলিশের মাঠ ভরাটের নামে সরকারী টাকা লোপাটের ঘটনাটি এলাকায় চাউর হয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাধারন বরাদ্দ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ১ম পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের অধীনে ৫০হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আর উপজেলা পরিষদ থেকে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল টইটং ইউপির মহিলা মেম্বার রোজিনা আকতারকে। আর প্রকল্পের সদস্য সচিব করা হয় মহিলা মেম্বারের ভাই শ্রমিকদল নেতা আবুল কাসেমকে মেম্বারকে। আবার তারা দুই জনই আপন ভাইবোন। জানা গেছে,  পেকুয়া পিআইও অফিস থেকে ডিওর মাধ্যমে গত ১০/০৩/১৭ ইং তারিখে ২৫ হাজার টাকা চকিরয়া সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছিলন মহিলা মেম্বার রোজিনা আক্তার। ১ম কিস্তি উত্তোলন করে তিনি কোন কাজ করেনি। এরপর গত ১১/০৫/১৭ ইং তারিখ পেকুয়া পিআইও অফিস থেকে ডিও নিয়ে বাকী ২৫ হাজার টাকাও সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিয়েছেন ওই মহিলা মেম্বার। ১ম পর্যায়ের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু পেকুয়া থানা কম্পাউন্ডের ভিতরের মাঠে  আজ ১৯ জুলাই পর্যন্ত কোন ধরনের মাঠ ভরাটের কাজ করা হয়নি। মহিলা মেম্বার জানান, প্রতিবরাই ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের পর তার কাছ থেকে পেকুয়া পিআইও অফিসের অফিস সহায়ক মো: হাসান বরাদ্দের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তিনি কোন কাজ করতে পারেনি। তাকে মাত্র ৫ হাজার টাকা হাত খরচের জন্য দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কি দুষ উপজেলা পরিষদের প্রভাবশালী এক কর্তার নির্দেশেইতো টাকাগুলো নেওয়া হয়েছিল। অবশ্য পরে ওই কর্তাকে টাকাগুলো আমি দিয়ে দিয়েছি।
পেকুয়ার পিআইও সৌভ্রাত দাশ জানান, ওই মহিলা মেম্বারকে টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য বলা হবে। আর তিনি তদন্ত করে সেটি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মহিলা মেম্বারের সাথে আতাত করে পিআইও নিজেও এখান থেকে টাকার ভাগ নিয়েছেন।

স্থানীয় কয়েকজন সচেতন লোক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলন, এই যদি হয় অবস্থা। সরকারী টাকা এভাবে লুটপাট হলে দেশ কোন দিকে যাবে? আর পেকুয়া থানা পুলিশের মাঠ ভরাটের নামে বরাদ্দ নিয়ে কাজ না করেই সরকারী টাকা আত্মসাৎ করা হলো! কোন দেশে আছি আমরা। খোদ থানা পুলিশের সাথেও বাটপারী।

পাঠকের মতামত: