ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় সড়কের গাছ কেটে নিল জাপা নেতা!

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় সড়কের গাছ কেটে নিল ইউনিয়ন জাতীয়পার্টি (জাপা) সভাপতির নেতৃত্বে এক গাছ চোর সিন্ডিকেট। উপকুলীয় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় ১৯৯১সালে উপকুলীয় বনবিভাগ মগনামা-বানিয়ারছড়া সড়কে এ গাছগুলো রোপন করে। বর্তমানে সবুজ বেষ্টনীর এসব বৃক্ষ মাদার ট্রিতে গন্য হয়েছে। রবিবার দুপুরে মগনামা-বানিয়ারছড়া সড়কের সাকোঁরপাড় ষ্টেশনের পশ্চিম পাশে^ সড়ক থেকে ৫-৭টি বড় আকারের গামারি গাছ কেটে নেয় দুর্বৃত্তরা। জানা গেছে শিলখালী হাজিরঘোনা এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে ও ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি আলম ফরায়েজী নেতৃত্বে কয়েকজন গাছ চোর সিন্ডিকেট এসব গাছ প্রকাশ্যে সড়ক থেকে কেটে লুট করে নিয়ে যায়। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় মগনামা-বানিয়ারছড়া সড়কের বিপুল অংশে হাজার হাজার বৃক্ষ সৃজিত আছে। স্থানীয়রা জানায় সবুজ বেষ্টনীর আওতায় উপকুলীয় বনবিভাগ এসব বৃক্ষ সৃজন করে। ওইদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আলম ফরায়েজীসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত সড়কের সৃজিত বাগান থেকে ৭টি গামারি গাছ কেটে ফেলেছেন। পাশ^বর্তী নদী থেকে কয়েক জন শ্রমিক গাছ ও ডালপালা সাটাই করে নছিমন যোগে এসব গাছ বিক্রির জন্য পেকুয়া বাজারে নিয়ে যায়। এসব গাছ পেকুয়া বাজারের একটি স’মিলে মজুদ করছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাজিরঘোনা, ছড়াপাড়া ও সাকোঁরপাড় ষ্টেশনের লোকজন জানায় আলম ফরায়েজীর নেতৃত্বে একটি গাছ চোর সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শতশত গাছ নিধনযজ্ঞে মেতেছে। জাতীয়পার্টির নাম ভাঙ্গিয়ে ওই চক্র সড়কের গাছ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। গাছ পাচারে ওই চক্র তৎপর। স্থানীয়রা আরো জানায় এ ক্ষেত্রে বনবিভাগের ভুমিকা রহস্যজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ বলে জানা গেছে। তারা জানায় উপকুলীয় বনবিভাগের মগনামার বনবিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে থাকে গাছ চোর সিন্ডিকেটের কাছ থেকে। সড়কের অবাধ গাছ পাচার ও লুটের ঘটনায় ওই কর্মকর্তা প্রায় সময় দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। উপকুলীয় বনবিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানায় বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। তবে আমি যেটুকু জানি ওই প্রকল্পের গাছ সড়কের ওই অংশে নাও থাকতে পারে।

পাঠকের মতামত: