ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় ছাত্রদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ

obrপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ভাড়া না দেয়া নিয়ে পেকুয়া জিএমসি স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে পেটালেন সিএনজি চালক। এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পেকুয়া জিএমসি’র শিক্ষার্থীরা পরদিন চৌমুহনী মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। পেকুয়া-মগনামা-বানিয়ারছড়া সড়কের সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনী চৌ-রাস্তায় শতশত শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় প্রায় এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পেকুয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে লাঠিচার্জ করে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। বড় ধরনের সংঘাতের দিকে যায়নি পরিস্থিতি। পুলিশ সদস্যরা উত্তেজনা প্রশমিত করতে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করেছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে গত শনিবার দুপুরে সাজ্জাদুল ইসলাম নামের জিএমসি স্কুলের নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। টইটং হাজিবাজারে ভাড়া নিয়ে সিএনজি চালকের সাথে শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলামের বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় সিএনজি চালক তাকে শারীরিক লাঞ্চিত করে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে জিএমসি’র প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীসহ অপর অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে চৌমুহনী কলেজ গেইট সিএনজি লাইন ম্যানের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে এসেছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হন। তারা চৌমুহনী মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ওই স্থানে এসে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদের সরানোর চেষ্টা করে। ছাত্ররা পুলিশের উপস্থিতিতে আরো অধিক ক্ষিপ্ত হন। এ সময় পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে ছাত্রদের হঠিয়ে দেন। পেকুয়া জিএমসি’র প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম জানায় আমাদের স্কুলের একজন ছাত্র কম ভাড়া দেয়ায় সিএনজি চালক তাকে মারধর করে। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রশাসন ও সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা আমাদের সাথে বৈঠক করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। স্কুল পরিচালনা কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করেছি। সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারী মো.বারেক জানায় খবর পেয়ে দ্রুত আমি ঘটনাস্থলে আসি। স্কুল ছাত্রকে লাঞ্চিত করা খুবই দুঃখ জনক। ছাত্র ও শিক্ষকদের কাছে আমি গিয়েছি। শিক্ষক ও ছাত্রদের আশ^স্থ করেছি বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে। পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার জানায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। ছাত্রের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: