ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাঁশখালীর ক্লোন চা ও একটি বাগান

tree garকল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা, বাঁশখালী ।।

বাঁশখালীর পুকুরিয়ায় অবস্থিত চাঁনপুর বৈলগাঁও চাবাগান সবুজের সমারোহে ভরে গেছে। বৃষ্টিতে নতুন পাতা গঁজিয়ে ওঠায় চাবাগানের কচি পাতার দৃশ্য সবার মন কাড়ছে।

বাঁশখালীতে অবস্থিত প্রায় ৪ হাজার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চাবাগানটি বর্তমানে সিটি গ্রুপের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। প্রতিদিন ৭ শতাধিক শ্রমিক এ বাগানে নতুন পাতা উৎপাদন, ট্রেসিং থেকে শুরু করে চাবাগানের সামগ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মানের দিক দিয়ে বাঁশখালীর ক্লোন চা সারা দেশে ২য় স্থানে অবস্থান করলেও চট্টগ্রামে প্রথম স্থানে রয়েছে বলে এ চাবাগান কর্তৃপক্ষের দাবি। প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ হাজার কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা বাগান কর্তৃপ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাছাড়া ১০ল াধিক চারা ও লাগানো হচ্ছে চলতি বছরে। প্রতি বছর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে পাতা তোলা না হলেও অপরাপর সময়ে শ্রমিকরা তাদের কর্মঘণ্টা অনুসারে পাতা তুলে থাকেন। চা বাগানের অভ্যন্তরে শ্রমিককর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা সহ অন্যান্য সার্বিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাগান কর্তৃপ । দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি বাঁশখালীর এ চাবাগানকে আধুনিক পর্যটন স্পটেও পরিণত করা হয়েছে। প্রতিদিন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ এখানে আসছেন। চা উৎপাদনের বিক্রিকৃত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট পাচ্ছে বলে জানান এ বাগানের ম্যানেজার আবুল বাশার। তিনি আরো জানান, সারাদেশে বাঁশখালীর চা পাতার সুখ্যাতি রয়েছে। মানের দিক দিয়ে এ বাগানের পাতা সারা দেশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং চট্টগ্রামে প্রথম স্থানে রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এ মান ধরে রাখার পাশাপাশি দেশের শীর্ষ স্থানটি দখলে আনতে বাগানে কর্মরতরা প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তিনি চলতি বছরে এ বাগানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে তিন লাখ কেজি বলে জানান। চা বাগানের চার পাশে ঘেরা বেড়া না থাকায় প্রায়ই হাতির পালের আক্রমণের কথাও বলেন তিনি। এতে করে শ্রমিককর্মচারীরা হাতি আতঙ্কে ভুগেন বলে জানান।

পুকুরিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, বাঁশখালীতে অবস্থিত বিশাল আকৃতির এই চাবাগানটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি একটি পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। চাবাগানটি থাকায় পুকুরিয়ায় প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ঘুরতে আসে। তবে চা বাগানে যাতায়াতের রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা জানান।

 

পাঠকের মতামত: