ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ছাত্রীসহ আহত-৮

songarsপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় স্কুল ছাত্রীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিন মগনামা কোদাইল্যাদিয়া গ্রামে। আহতরা হলেন ওই এলাকার কামাল হোসেন (৫০), মেয়ে মগনামা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী হালিমা বেগম (১১) তার ছেলে একই স্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র মো.সোয়াইব (১২), আজিজ (২২), ভাতিজা উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর এলাকার জহির আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (২৩), কোদাইল্যাদিয়া এলাকার শামসুল আলমের ছেলে ওমান প্রবাসি জাহেদুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী মুন্নি আকতার (২২) ও ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৩২)। পারিবারিক কলহের জের ধরে চাচা ও ভাইয়ের ছেলেদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের মধ্যে সোয়াইব ও জাহেদকে চমেকে রেফার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে লবন মাঠের পলিথিন নিয়ে জাহেদুল ইসলামের সাথে চাচা কামাল হোসেনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ নিয়ে গত রবিবার বিকেলে মগনামা কাজি বাজারে কামালের ছেলে আজিজ ও জাহেদের ভাই জাহাঙ্গীরের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে সোমবার দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ হয়েছে। কোদাইল্যাদিয়ার লোকজন জানায় জহির আলমের ছেলে মহিউদ্দিনকে ওমান নিতে ভিসা দেয় জাহেদ। পরে বনিবনা চলছিল তাদের মধ্যে। কামালকে লাঞ্চিত করার এ খবর তারা জানতে পান। ওইদিন সন্ধ্যায় তারাও চাচা কামালের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কোদাইল্যাদিয়া সমাজ পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আজু মাঝি জানায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। তার ভাই রিয়াজুল করিম চৌধুরী এসে দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেছেন। পারিবারিক বিরোধ আশা করছি আমরা সেটি সমধান করে দিতে পারব।

পাঠকের মতামত: