ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আজ পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্টার ১৫ বছর পূর্ণ

pekua,,এম.জুবাইদ. পেকুয়া:

আজ হাটি হাটি পা পা করে ১৫ বছর পূর্ণ হল পেকুয়া উপজেলা পরিষদের। বি এন পি তথা চার দলীয় জোট সরকার আমলের সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সাবেক এমপি সাবেক বি এন পির চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব বর্তমান বি এন পির স্থায়ী কমিটির সদস্য বর্তমান ভারতের সিলং এ অবস্থান রত আলহাজ্ব সালাহ উদ্দিন আহমদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে বিগত ২০০২ সালে ২৭ এপ্রিল আজকের এ দিনে বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা থেকে ৫টি ইউনিয়নকে পৃথক করে বিশাল মেজবানের মাধ্যমে তৎকালিন বি এন পি তথা চার দলীয় জোট সরকার আমলের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পেকুয়া জিয়াউর রহমান কলেজ মাঠে বিশাল জনসমুদ্রে পেকুয়াকে একটি মডেল উপজেলা হিসাবে ঘোষণা দেন। পরে বারবাকিয়া ইউনিয়নকে পৃথক করে শীলখালী ইউনিয়ন নামে আরেকটি নতুন ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে। একই ভাবে মগনামা ইউনিয়নকে পৃথক করে উজানটিয়া নামে আরেকটি ইউনিয়ন গঠন করা হয়। অথাৎ ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ। সে উপজেলার প্রতিষ্টাতা আধুনিক পেকুয়ার রূপকার আলহাজ্ব সালাহ উদ্দিন আহমদ বর্তমানে নানা সমস্যার কারণে ভারতের সিলং এ অবস্থান করছেন। সেই জনসভায় বি এন পি তথা তৎকালিন জোটসরকারের ডজনখানিক মন্ত্রী এমপিসহ সরকারী উচ্চ মহলের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইতিহাস থেকে জানা গেছে পেকুয়া একটি ছোট ইউনিয়ন এ ইউনিয়কে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়েছে। পাহাড় বেষ্টিত ও কাঁদা পরিপূর্ণ এলাকা কে আজ থেকে ১৫ বছর আগে উপজেলায় রূপান্তর সাজিয়েছে বহুরূপে। সুন্দর মনোরম পরিবেশে বেচে নিয়ে উপজেলা পরিষদের জন্য ৪ তলা বিশিষ্ট ৪টি বড় বড় ভবন এবং কর্মকর্তা কর্মচারী থাকার জন্য ২টি ৪ তলা ভবন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থাকার জন্য আলাদা ভবন নিমার্ণ করেছে। এমনকি উপজেলা পরিষদে আসা লোকজনের নামাজের কথা চিন্তা করে উপজেলা পরিষদ ভিতরে জামে মসজিদ প্রতিষ্টা করেছেন। সেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক এবং সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি চকরিয়া কুতুবদিয়া আসনের সাবেক এমপি বি এন পির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুল করিম চৌধূরীর সুযোগ্য সন্তান ও বি এন পির স্থায়ী কমিটির সদস্য উপজেলা প্রতিষ্টাতা সালাহউদ্দিন আহমদের একান্তভাজন শাফায়েত আজিজ রাজু। তিনি একে একে দু বার ক্ষমতাশীন দলের প্রভাবশালী প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। প্রথম বারে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ছাদেকুর রহমান ওয়ারেচীকে পরাজিত এবং পরে তার পুত্র ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচীকে পরাজিত করে। একই ভাবে ২ বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে বি এন পির মনোনীত প্রার্থী লুৎফা হায়দার রনি নির্বাচিত হয়। আজ ১৫ বছর পূর্ন হলেও উপজেলা পরিষদের অনেক দপ্তরে চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। আজকেই দিনে উপজেলা পরিষদ ভারে ভারাক্রান্ত। ১৫ বছর পর সরকার কোন মতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে একজন কর্মকর্তা দিয়েছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ্ওই দপ্তরের কার্যক্রম চলছিল একে বারে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে যা এক প্রকার জিম্মিয়ে পড়ছিল। এখনো নেই পূর্ণরূপে অনেক দপ্তরে কর্মকর্তা। শুধু চলছে জুড়াতালি দিয়ে। আজ আমরা গর্ব করছি পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে। পেকুয়ায় উপজেলা হওয়ায় সবকিছু চকরিয়া থেকে পৃথক হয়ে গেছে। কিন্তু পেকুয়াবাসীর একটি দু;খ থেকে আছে প্রতিষ্টার ১৫ বছর পূর্ণ হলেও পেকুয়ায় কোন সরকারী সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থাপন করা হয়নি। যার ফলে সরকারী কার্য পরিচালনা করতে লেনদেন করতে হলে শুধুর পাশ্ববর্তি চকরিয়া উপজেলায় গিয়ে কাজ সারতে হয়। পেকুয়া উপজেলা প্রতিষ্টা হওযার কারণে পেকুয়ার মগনামায় বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সাবমেরিন নৌখাঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এর কাজ শুরু হয়েছে। এমনকি পেকুয়া উপজেলা ক্ষুধে ফুটবলারা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুণামেন্টে দেশ সেরা চ্যাম্পিয়ন লাভ করে একে একে দু বার দুই প্রতিষ্টান।

পাঠকের মতামত: