ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়া মাহামুদুল হক চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নিমার্ণে ব্যাপক অনিয়ম দূর্ণীতি

ghনিজস্ব সংবাদদাতা. পেকুয়া:

পেকুয়ার হরিণাফাঁড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নিমার্ণে ব্যাপক অনিয়ম দূর্ণীতি করে যাচ্ছে। উক্ত কাজে অসন্তোষ্ট হয়ে এলাকার লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। উক্ত কাজের অনিয়ম দূর্ণীতি বন্ধে মানববন্ধন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তরুন সংঘ নামের একটি সংগঠন। জানা যায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার লক্ষ্য বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় একটি করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টার ঘোষনা দেয় বর্তমান সরকার। এ লক্ষ্যে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন হরিণাফাঁড়ি এলাকায় শূণ্য ক্যাটাগরীতে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন। সেই আলোকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ওই এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাবনা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন করেন। পরে মরহুম মাহামুদুল হক চৌধুরীর ওয়ারিশগণ তাদের পিতার নামে স্কুল প্রতিষ্টা করার জন্য জায়গা দান করেন। ওই জায়গায় বিদ্যালয় নিমার্ণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হয়। ওই টেন্ডারে চকরিয়ার ফেন্ডস ট্রের্ডাস নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টানটি ওই বিদ্যালয়ের নিমার্ণ কাজ পায়। যার ব্যয় মূল্য ৯৫ লক্ষ টাকা। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক নুরুল হক বক্স। আর এ জায়গায় নির্মিত হচ্ছে হরিণাফাড়িঁ মাহামুদুল হক চৌধূরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্টান নির্মাণ কাজ শুরু করার সাথে সাথে অনিয়ম ও দূর্ণীতির আশ্রয় নেয়। পাইলিং করার জন্য মাটি যুক্ত বালু এবং লবণাক্ত পানি দিয়ে পিলার তৈরি করে। যা নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে লোকদেখানো বান করে এল জি ডির উপজেলা প্রকৌশলী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এবং ওয়ারকারকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ১ নং বালু এনে পাশে স্তুব করে রেখে ২ নং বালু দিয়ে পুনরায় পিলার তৈরি কাজ শেষ করে। সিডিউল অনুযায়ী ওই পিলারে লোহার রড ব্যবহার করার কথা ছিল ৫ সুতা এতে দেওয়া হয়েছে ৩ সুতা পিলারের সাইজ ১০ ইঞ্চি বাই ১০ ইঞ্চি হওয়ার কথা থাকলেও তারা দিচ্ছে ৬ ইঞ্চি বাই ৬ ইঞ্চি। এদিকে পাইলিং করার সময় পিলার গুলো নিয়ে যাওয়ার সময় অর্ধেক ভেঙ্গে চুরমার হয়ে মাটি হয়ে যায়। এ সব দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা আরো বিক্ষুদ্ধ হয়ে যায়। যা নিয়ে ঠিকাদারের লোকজনের সাথে স্থাণীয়দের মধ্যে যেকোন মহুর্তে সংঘর্ষ হওয়া আশংস্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গত কাল নিমার্ণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে এসব দৃশ্য দেখা যায়। ঠিকাদারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নাছির উদ্দিন নামের ব্যক্তির সাথে কথা হয়। সে জানান আমি যথাযথ নিয়মে কাজ করে যাচ্ছি। কোন ধরণের অনিয়ম করা হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত এল জি ডির প্রকৌশলী ও ওয়ারকার ফারুক থাকে। কিন্তু এখন আছে কি জানতে চাইলে সে জানায় আছে কোথায় তাকে খোজলে আর পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা এল জি ডি অফিসে আসার পথে উপজেলা গেইটে একটি চায়ের দোকানে আড্ডারত অবস্থা দেখা যায় ওই ফারুককে। স্থানীয়রা জানান ওয়ারকারকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে সরিয়ে দিয়ে তারা কাজ চালায়। এল জি ডি অফিস সূত্রে আরো জানা যায় ওই কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী হারু কুমার পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ওই কাজে আমার লোক আছে তারপরও বিষয়টি দেখছি। ওই কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে না হয় বরাদ্দ চলে যাবে। তাই আপনি অফিসে এসে যোগাযোগ করে যান।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধূরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খোজঁখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং দূর্ণীতি হলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: