ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় দপ্তরী নিয়োগে টাকার ছড়াছড়ি, অধ্যক্ষের সাথে ত্রি-মুখি দ্বন্ধ

oniom_1পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় আনোয়ারুল উলুম ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় দপ্তরী নিয়োগে দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারন করেছে। শুন্য পদে দপ্তরী নিয়োগের জন্য প্রার্থীরা আবেদন জমা দিয়েছেন। পরীক্ষার আগেই মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নুরুল আমিন এক বির্তকিত ব্যক্তিকে ওই পদে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছে গোপনে। এদিকে দপ্তরী নিয়োগ নিয়ে ওই মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের সাথে ত্রি-মুখি বিরোধ দেখা দিয়েছে। শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও অধ্যক্ষের মধ্যে এ বিরোধ প্রকাশ্যে রুপ ধারন করেছে। এ প্রক্রিয়া অব্যহত থাকায় আসন্ন দপ্তরী নিয়োগ পরীক্ষা অমিমাংসিত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। দপ্তরী নিয়োগে অধ্যক্ষ আগে ভাগে দৌড়ঝাপ ও মনোনীত ব্যক্তিকে চাকুরী পাইয়ে দেয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত থেকেছেন। যা নিয়ে পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা অনিশ্চিত হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় অধ্যক্ষের ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় শিক্ষকরা শংকিত হয়েছেন। আগামি ২৪ মার্চ আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসায় দপ্তরী নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্টিত হবে। পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। জানা গেছে দপ্তরী একটি পদের জন্য সাত প্রার্থী আবেদন করেন। এদের মধ্যে পোষ্য কোটায় দু’প্রার্থী আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এরা দু’জনই আপন সহোদর। আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্টালগ্ন দপ্তরী মৌলভী মোকতার আহমদ ২০১৬সালের ৩০ডিসেম্বর মারা যান। তিনি এমপিও ভুক্ত ছিলেন। তার মৃত্যুর পর এ পদটি শুন্য হয়ে যায়। মোকতার আহমদের চাকুরীর মেয়াদ আরো দু’বছর ছিল। তার দু’ছেলে আবুল কাসেম ও আবুল কালাম পিতার শুন্য পদে নিয়োগ পেতে আসন্ন ওই পরীক্ষায় পোষ্য কোটায় প্রার্থী হয়েছেন। তারা পৃথক আবেদনও জমা দেন। অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন এ দু’জনের আবেদন রহস্যজনক ভাবে বাতিল করেছেন। অধ্যক্ষের মনোনীত একজনকে ওই পদে নিয়োগ দিতে সব প্রক্রিয়া শেষ করেছে। নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য মাদ্রাসা কতৃপক্ষ গতকাল রবিবার পুর্ব প্রস্তুতি শেষ করেছেন। প্রার্থীদের প্রেরিত আবেদন যাচাই বাচাই করা হয়েছে। জানা গেছে সাত প্রার্থীর মধ্যে চার জনের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। তিনজনকে নিয়ে প্যানেল চুড়ান্ত করা হয়েছে। ওই তিনজনের মধ্যে পোষ্য কোটায় আবেদনকারী আবুল কাসেম ও আবুল কালাম একজনকেও স্থান দেয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে প্যানেলে তিন জনের মধ্যে একজন জামাত সমর্থিত। অধ্যক্ষের মুল প্রচেষ্টা চাকুরিটি তার অনুগত ওই ব্যক্তিকে পাইয়ে দিতে। দপ্তরী নিয়োগে আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসায় প্রার্থীদের মধ্যে টাকার ছড়াছড়ি দেখা গেছে। অধ্যক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে চাকুরিটি বিশেষ ব্যক্তিকে দিতে মরিয়া। আবুল কাসেম ও আবুল কালাম আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ওই পদে পোষ্য কোটায় দু’ভাইয়ের একজনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিক নিয়োগ দিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি অধ্যক্ষকে লিখিত সুপারিশ করেছেন। কিন্তু অধ্যক্ষ এসব মানতে নারাজ। মাদ্রাসার অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানায় মোকতার আহমদ মাদ্রাসা প্রতিষ্টার পর থেকে জড়িত ছিলেন। অনেক বছর বেতন পাননি। এর পরেও শ্রম দিয়েছেন প্রতিষ্টানের জন্য। এমপিও পরে হয়েছে। তার পরিবারকে এ পদটি দিতে আমরা জোরালো সুপারিশ করছি। তার ছেলেরা বেকার। পিতার উত্তরসুরি হিসেবে অবশ্যই সেটি তাদের হক। পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল আমিন জানায় যথাযত প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্ন হবে। এখানে আমার একক কোন হাত নেই। নিয়োগ কমিটি আবেদনগুলি যাচাই বাছাই করেছে। টাকা নেয়ার প্রশ্ন অবান্তর। এ সর্ম্পকিত কোন অভিযোগ থাকলে ক্ষতিগ্রস্তরা আমার সাথে সাক্ষাত করতে পারে।

পাঠকের মতামত: