ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সীমান্তের তুমব্র“ গহীন অরণ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিং টেকনাফের আনসার কমান্ডার হত্যাকারীসহ লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::ukia n
টেকনাফের নয়াপাড়া আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার হত্যা ও অস্ত্র, গোলাবারুদ লুটের মুলহোতা দূর্ধষ রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলমকে র‌্যাব-৭ এর একটি দল গত মঙ্গলবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি এলাকা থেকে আটক করেছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী র‌্যাব সদস্যরা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমকুল গহীন অরণ্যে আজ ১ মার্চ, বুধবার ভোর রাত পর্যন্ত রাতভর তল্লাসী অভিযান চালিয়ে আনসারের লুণ্ঠিত ৬টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তৎমধ্যে ৭.৬২ রাইফেলস ৪টি, বিডি ০৮ রাইফেলস ০১টি ও ০১টি সাব মেশিনগান।

আজ বুধবার দুপুর আড়াইটায় ঘটনাস্থল তুমব্রু পশ্চিমকুল গহীন অরণ্যে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে যে আনসার ক্যাম্পটি রয়েছে সে ক্যাম্পের দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার পিসি আলী হোসেনকে হত্যা করে সেখানে যে অস্ত্র ছিল সে অস্ত্রগুলি লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যারা এসব অস্ত্র গুলি লুট করে নিয়ে গিয়েছিল তাদেরসহ মোট ১১টি অস্ত্র আমাদের র‌্যাব বাহিনী দীর্ঘ কয়েক মাস প্রচেষ্টার পরে সমস্ত অস্ত্র গুলি দু’ধাপে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং এঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী যে ছিল সে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুরুল আলমকে আমাদের র‌্যাব সদস্যরা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
ukia
যে আনসার পিসিকে হত্যা করেছিল তাকেও আটক করেছে। এর আগেও একজন পরিকল্পনাকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। আমি মনে করি আমাদের যে নিরাপত্তা বাহিনী র‌্যাব, পুলিশ, আনসার তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এসব লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার ও পরিকল্পনাকারীদের আটক করতে দীর্ঘ সময়কাল ধরে কষ্ট করতে হয়েছে। আজকে র‌্যাব-৭ এর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযান প্রশংসনীয় যা আপনারা দেখছেন। আমার পাশে আছে র‌্যাব প্রধান বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার, আনসারের মহা-পরিচালক, কক্সবাজারের এসপি, আজকে র‌্যাবের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে সফলকাম হওয়া অভিযানে যারা নেতৃত্বে ছিলেন আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অস্ত্র উদ্ধার ও পরিকল্পনাকারীদের আটক অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

রোহিঙ্গা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গারাও মানুষ, তারা এখানে থাকবে, মিয়ানমারের পরিবেশ অনুকূলে আসলে তারা চলে যাবে। ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভাল মানুষ, তাই তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের একটি পরিবেশ সম্মত জায়গায় নিয়ে যেতে চায়। সেখানে তারা ভাল ভাবে বসবাস করতে পারবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছে রোহিঙ্গাদের যাতে দ্রুত প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়।

চলমান পরিবহন ধর্মঘট সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকেরা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে অযৌক্তিক ধর্মঘট করে মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে গাড়ী ভাংচুর করছে, বাস পুড়িয়ে দিয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ছিলেন, র‌্যাবে’র মহাপরিচালক বেনজির আহমদ, আনসারের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, কক্সবাজার বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার মোঃ রকিবুল হক, কক্সবাজার পুলিশ সুপার ড. মোঃ ইকবাল হোসেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুরুদ্দিন মোহাম্মদ শিবলী নোমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) ছাউলাউ মারমা।

পাঠকের মতামত: