ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ কোটবাজারে তীব্র যানজটে নাকাল পর্যটক যাত্রীরা

ফারুক আহমদ :
উখিয়ার ব্যস্ততম বাণিজ্যিক স্টেশন কোটবাজার চৌমুহনীতে তীব্র যানজটের কারণে নাগরিক সমাজ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা যানবাহন আটকা পড়ার কারণে যাত্রী সহ পর্যটকদের মারাত্বক বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক চাঁদাবাণিজ্য ও ডিউটি পালন না করায় স্টেশনে যানজটের প্রধান কারণ বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক।
উপজেলার কোটবাজার স্টেশনে প্রতিনিয়ত দুই সহ¯্রাধিক সিএনজি, টমটম, অটোরিক্সা, অটো বাইক, পিক-আপ, ট্রাক, নাছিমন, করিমন, ভটবটিসহ বিভিন্ন গাড়ী প্রায় সময় পার্কিংয়ে অবস্থান করে। কিন্তু এসব যানবাহন পার্কিংয়ের কোন নির্ধারিত স্থান নেই। ব্যবসায়ীদের অভিমত রাস্তায় বিভিন্ন প্রকার গাড়ী পার্কিং রাখার কারণে দূরপাল্লার যানবাহন কোটবাজার স্টেশনে এসেই আটকা পড়ে যায়।
এদিকে রাস্তা যানজট নিরসন করার লক্ষ্যে উখিয়া আবু সাঈদ নামক একজন টিএসআই ও চন্দন দাশ নামক একজন ট্রাফিক পুলিশ কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, ট্রাফিক পুলিশ চন্দন দাশ নিয়মিত দায়িত্বপালন না করে বিভিন্ন যানবাহন হতে ব্যাপক চাঁদাবাজী আদায়ে ব্যস্ত সময় পার করে। যার কারণে কোটবাজার স্টেশন সবসময় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কোটবাজার স্টেশন হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন যানবাহন কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন পান্তে যাতায়ত করে। বিশেষ করে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও ইনানীতে প্রচুর সংখ্যক দেশী-বিদেশী পর্যটক বাহি যানবাহন রয়েছে। কিন্তু যানজটের কবলে পড়ে পর্যটকরা চরম বিড়ম্বনায় পড়ে।
সচেতন নাগরিক জলিল চৌধুরী বলেন, কোটবাজার চৌমুহনী দিয়ে উখিয়া-টেকনাফ, কক্সবাজার, সোনারপাড়া, ভালুকিয়া ইত্যাদি এলাকার যানবাহন যাতায়ত করে। শুধু তাই নয়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনীসহ উত্তর বঙ্গের দূরপাল্লার যানবাহনও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। তবে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালি পনার কারণে যানজট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ট্রাফিক পুলিশ চন্দন দাশ যানজট নিরসনের চেয়ে তিনি যানবাহন থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা আদায়ে ব্যস্ত থাকে।
সচেতন নাগরিক সমাজ, কোটবাজার চৌমুহনীতে যানজট নিরসন সহ অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের জোরদাবী জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: