ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় রাবার ড্যামের পানি দিয়ে তামাক চাষ

Tamak photo 03কক্সবাজার প্রতিনিধি :: ‍

অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের উখিয়ার সিকদারপাড়া খালে নির্মিত হয় রাবার ড্যাম। এখন ফসলের পরিবর্তে তামাক চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ড্যামের পানি। এ নিয়ে কৃষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে গত শুক্রবার গিয়ে দেখা যায়, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পাগলিরবিলের সিকদারপাড়া খালের দুই পাশে জমিতে বেড়ে উঠছে তামাকগাছ। এসব খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। তামাক খেতে সেচের পানি দেওয়া হচ্ছে ড্যাম থেকে।
কৃষকেরা জানান, সিকদারপাড়া খালের দুই তীরে আগে শীতকালীন শাকসবজির চাষ হতো। এবার সেখানে ফসলি জমিতে চাষ হচ্ছে তামাকের। চাষিরা আন্দোলন করেও তামাকের আগ্রাসন বন্ধ করতে পারছেন না।
সিকদারপাড়া রাবার ড্যামের আওতাধীন ২ নম্বর পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির স্কিম ম্যানেজার আবুুল কালাম বলেন, অতীতে সুষ্ঠু পানি বণ্টনের মাধ্যমে শত শত একর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। ড্যামের আওতায় আটটি স্কিমে প্রায় ৪০০ একর জমিতে ফসলের চাষাবাদ হলেও এবার বিপুল পরিমাণ জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। এতে রবি শস্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে। বেকার হচ্ছেন এলাকার কৃষক।
রাবার ড্যামের পানি ব্যবহার করে তামাক চাষ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ হোসেন বলেন, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজের জমিতে তামাক চাষ করছেন। যে কারণে বাধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ওই প্রভাবশালী কৃষকেরাও সমিতির সদস্য।
স্থানীয় হলদিয়াপালং ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী মো. শাহজাহান বলেন, নানা চেষ্টা করেও ফসলি জমিতে তামাক চাষ বন্ধ করা যাচ্ছে না। রাবার ড্যামের পানি দিয়ে তামাক চাষ হচ্ছে কি না, দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন বলেন, রাবার ড্যামের পানি দিয়ে তামাক খেতে সেচ দেওয়ার ব্যাপারটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রাজাপালং ইউনিয়নের তামাক চাষ বেড়েছে। ইউনিয়নের চাষি মনির আলম ও সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত বছর এই ইউনিয়নে পাঁচ একরের মতো ফসলি জমিতে তামাকের চাষ হয়েছিল। কিন্তু এবার ১০০ একর জমিতে তামাকের চাষ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন তামাক কোম্পানি ও বেসরকারি সংস্থার লোকজন চাষিদের নগদ টাকা, বীজ ও কীটনাশক দিয়ে ফসলের পরিবর্তে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, তামাক চাষে চাষিদের নিরুৎসাহিত করতে এলাকায় সচেতনমূলক নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: