ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় সদর ইউপিতে ভিজিডি কার্ডের মুল্য ৩হাজার টাকা!

পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় ভিজিডি তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপকারভোগি নির্ধারনে টাকা আদায়ের মহোৎসবের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে। এদিকে ভিজিডির প্রস্তুতকৃত তালিকা বাতিল ও পুনরায় উপকারভোগি নির্বাচিত করতে এবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন খোদ একজন সংবাদকর্মী।
ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি তালিকা বাতিল চেয়ে পেকুয়া উপকুলীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু বাদি হয়ে গতকাল বুধবার পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইউএনও মাহবুব উল আলম বিষয়টি আমলে নিয়েছেন।
এবিষয়ে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পেকুয়াকে দায়িত্বভার অর্পন করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে চলতি ২০১৭-১৮অর্থ বছরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নে জন্য ভিজিডি কার্ডের অনুকুলে খাদ্য শস্য বরাদ্দের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। ৩০২জন উপকারভোগি নির্বাচনের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে নিদের্শনা দেন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। জানা গেছে এসব তালিকা চুড়ান্ত করে সদর ইউনিয়ন পরিষদ ওই তালিকা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরন করে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে সামাজিক ঝুকি হ্রাস করন ও দরিদ্র জনগোষ্টির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভিজিডির অনুকুলে সারা দেশে বিনামুল্যে খাদ্য শস্য সরবরাহ দেয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়। কিন্তু পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সদ্য প্রস্তুতকৃত তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম, আতœীয়করন, দলীয়করন ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।
বিশেষ করে ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ায় তালিকা তৈরিতে তার দলের অনুগতদের তালিকাভুক্তি করেছেন। দলীয়করন অধিক হওয়ায় আ’লীগসহ অন্যকোন রাজনৈতিক কর্মীকে তালিকা ভুক্ত থেকে বঞ্চিত করেছে। হতদরিদ্রদের বিপরীত তালিকা ভুক্ত হয়েছে বিত্তশালী ও প্রবাসির স্ত্রীরা। তালিকা তৈরিতে জনপ্রতি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ৩-৪ হাজার টাকা। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে তালিকাতে দেয়া হয়নি স্থান। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পেকুয়া উপকুলীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হিরু ওই অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। উপজেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দ ও সদর আ’লীগ প্রনীত তালিকা পুনরায় প্রস্তুতির লিখিত সুপারিশ করেছেন। সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম হিরু জানায় তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে জনপ্রতিনিধিরা। প্রত্যেক কার্ডের অনুকুলে ৩-৪হাজার টাকা নিয়েছে।বঞ্চিত করা হয়েছে আসল উপকারভোগিদের। দলীয় করন করেছেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

পাঠকের মতামত: