নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একদিন বিশ্বের সেরা সেনাবাহিনী হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। আজ ৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রামু সেনানিবাসে কক্সবাজার এরিয়ায় সেনানিবাসে নব প্রতিষ্ঠিত ৭ ইউনিটের পতাকা উত্তোলনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান অন্ষ্ঠুানস্থলে পৌঁছলে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্যারেড কমান্ডার মেজর এরশাদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সেনাপ্রধান আরো বলেন, সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃংখল, দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। এই জন্য নিজেদের সদা প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই সাথে পেশাদারিত্বের কাঙ্খিত মান অর্জনের মাধ্যমে আভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় ১০ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সার্বিক সামাজিক উন্নয়নের যে আকাঙ্খা সুচিত হয়েছে, তার সফল বাস্তবায়নে ১০ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিটি সদস্য এগিয়ে আসবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা উর্দ্ধতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃংখলা বজায় রেখে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে যাবেন।’ ১০ পদাতিক ডিভিশনের আরো কিছু নবগঠিত ইউনিটের যাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিীর উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক উন্মোচিত হলো বলে অভিমত প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান।
অনুুষ্ঠানের পর সেনাবাহিনী প্রধান রামু সেনানিবাসের নির্মাণাধীন “শেকড়” নামে দশ দিগন্ত যাদুঘরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকলেপর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার রামুতে দুই বছর পূর্বে ১০ পদাতিক ডিভিশন গঠিত হয়। নবপ্রতিষ্ঠিত রামু সেনানিবাসকে পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল নতুন এ ৭টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।
পাঠকের মতামত: