ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় ক্যান্সার আক্রান্ত আ’লীগ নেতাকে ঢাকায় স্থানান্তর

নাজিম উদ্দিন, farid(1)পেকুয়া ::

পেকুয়ায় লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলমকে রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। জটিল দুরারোগ্য ব্যাধি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন আ’লীগের এ নেতা। গত ১৫দিন আগে থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার মারাত্বক অবনতি হলে গত ২২জানুয়ারী আ’লীগ ফরিদুল আলমকে রাজধানী ঢাকার আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উপজেলা আ’লীগের এ নেতার আশু রোগ মুক্তি কামনা করেছেন পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ। জানা গেছে সেখানে গত ৪ফেব্রুয়ারী তার অপারেশন হয়েছে। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে তার অস্ত্রোপাচার সফল হয়েছে। চিকিৎসক ও লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মুবিন খান ও ডা.ছরওয়ারের তত্ত্বাবধানে আছেন আ’লীগের এ নেতা। উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু ও সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম জানিয়েছেন আমাদের সহযোদ্ধা ফরিদুল আলম লিভার ক্যান্সারে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। গত এক বছর আগে এ রোগে তার চিকিৎসা হয়েছিল। বর্তমানে তার অবস্থা অত্যন্ত কঠিন। আমরা তার জন্য সবার দোয়া কামনা করছি। ফরিদুল আলম আ’লীগের নিবেদীত ও ত্যাগি নেতা। জীবন ও যৌবন উজাড় করেছেন দলের জন্য। কখনো স্বার্থের জন্য রাজনীতি করেননি। দলের দুঃসময়ের কান্ডারী জোট সরকারের সময় নির্যাতিত হয়েছিলেন। অহরহ মামলার দিয়ে নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে। দীর্ঘ বছর কারাগারের অন্ধ প্রকৌষ্টে দিন কেটেছে তার। এসব আ’লীগ করে বলে হয়েছে। বর্তমানে চরম অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে তার পরিবারে। চিকিৎসা ব্যয় বহুল। এ ব্যয়বহুল চিকিৎসার একক সক্ষমতা নেই তার। এ মুর্হুতে বাঁচাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। না হয় একটি প্রতিবাদি কন্ঠস্বর এ পেকুয়ায় চিরতরে নিঃশেষ হয়ে যাবে। যা দল ও রাজনীতির জন্য অপুরনীয় ক্ষতি। জানা গেছে ফরিদুল আলম উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার মৃত.আহমদ হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি। এর আগে তিনি যুবলীগ চকরিয়া-পেকুয়ার ক অঞ্চলের আহবায়ক ছিলেন। যুবলীগ পেকুয়া সদর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সদর আ’লীগ ছিলেন। এর আগের উপজেলা আ’লীগের কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ছিলেন। পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যও ছিলেন এ নেতা। পেকুয়ার সর্বজন প্রশংসনীয় ও পছন্দনীয় ব্যক্তিত্ব ফরিদুল আলম। জোট সরকারের সময় একটি ফাঁসানো হত্যা মামলায় তার যাবত জীবন সাজা হয়। তার বিরুদ্ধে ডজন খানেক মামলা হয় জোট সরকারের আমলে। আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক বিবেচনায় সাজা মওকুপ ও সব মামলা প্রত্যাহার হয়েছে।

পাঠকের মতামত: