ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী

maফারুক আহমদ, উখিয়া ::

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ও  ইন্দোনেশিয়ার দু’পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। গতকাল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্টমন্ত্রী রেতনু এলপি মারসুদাকে নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসনাত মাহমুদ আলী।

সকাল ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন করে মিয়ানমারের নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। বাংলাদেশ সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটের সময় উখিয়া পৌঁছায়। পরে তারা কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে যান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকও তাদের সঙ্গে ছিলেন।  এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আব্দুর রহমান বদি, ইন্দোনেশিয়ার বাংলাদেশস্থ রাষ্ট্রদুত, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, ক্যাম্প ইনচার্জ শফিক রেদুয়ান আরমান শাকিল, আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা, জাতিসংঘ হাই কমিশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

দুই মন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকে পরিদর্শন করেন। তারা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কথা শোনেন।

উল্লেখ্য রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর নির্যাতন ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসনাত মাহমুদ আলী ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনু এলপি মারসুদা আজ বৈঠক করবেন। রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনের পর তাদের এই বৈঠক হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক করার কথা রয়েছে । রাতেই তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে মিয়ানমার সীমান্ত চৌকিতে আক্রমণে কয়েকজন পুলিশ নিহত হন। এরপর মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এখন পর্যন্ত শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন এবং ৩০ হাজারের বেশি গৃহহারা হয়েছেন। এছাড়া নিজেদের জীবন বাঁচাতে ৩০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে পড়েছেন বলে দাবি করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন।

এদিকে রাখাইন প্রদেশের সহিংস ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা জানানোর জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে সোমবার মিয়ানমারে এক বৈঠকের আয়োজন করেছেন অং সান সু চি। ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাতে বাংলাদেশে আসেন।

এরই মধ্যে মালয়েশিয়া কঠোরভাষায় রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে।

মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না এবং তারা কোনও ধরনের নাগরিক সুবিধাও ভোগ করেন না।

পাঠকের মতামত: