ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন

teknaf-17-12-16-580x540-580x540হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

১৮ ডিসেম্বর রবিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই) কতৃক ঘোষিত মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ কর্মসুচী বাস্তবায়ন ও সার্বিক সফল করতে টেকনাফে প্রস্ততি সভা এবং তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

জানা যায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচী মতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখা লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সভা শনিবার ১৭ ডিসেম্বর বিকালে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওঃ মোঃ তৈয়ব আরমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাওঃ আবুল হাশেম। উপজেলা সেক্রেটারী আবদুল খালেক নিজামীর পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় বক্তব্য রাখেন লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সচিব মাওঃ ইসমাইল কাসেমী, জয়েন্ট সেক্রেটারী এনামুল হক মনজু, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি টেকনাফ উপজেলা সেক্রেটারী জিয়াউল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জুবাইর, হাজী মোঃ ইসমাইল, ছাত্র নেতা হাফেজ কবির আহমদ, হাফেজ জসিম উদ্দীন,প্রমুখ।

এছাড়া সভায় লংমার্চ সফলে সহযোগি সংগঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি পীর সাহেব চরমোনাই’র ঘোষিত ১৮ ডিসেম্বর রবিবার মিয়ানমার অভিমুখে অনুষ্ঠিতব্য লংমার্চ সফলে ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী আইনজীবী পরিষদ, হকার্স শ্রমিক আন্দোলন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ, জাতীয় তাফসীর পরিষদসহ বিভিন্ন সহযোগি সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। সে লক্ষ্যে স্ব স্ব শাখার জরুরী সভায় এব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভাগুলোতে ১৮ ডিসেম্বর মায়ানমার অভিমুখে লংমার্চ সফলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এদিকে সকাল ১১টায় টেকনাফের হ্নীলায় লংমার্চ তথ্য কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে ১৭ ডিসেম্বর শনিবার মিয়ানমার অভিমুখে ১৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য লংমার্চ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসব্রিফিং করেছেন। প্রেসব্রিফিং এ পীর সাহেব চরমোনাইর আহবানে লংমার্চের প্রস্তুতি ও সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। তিনি বলেন বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করতেই আমাদের লংমার্চ। মিয়ানমারের মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদ করা মানবিক দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা নিরব থাকতে পারি না। মিয়ানমারে সেনা-পুলিশ ও রাখাইন বৌদ্ধদের দ্বারা বর্বরোচিত রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন বন্ধ, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সকল প্রকার নাগরিক ও মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া, আন্তার্জাতিক আদালতে রোহিঙ্গা মুসলামনাদের গণহত্যা ধর্ষণের বিচার, মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে মানবিক বিপর্যয় রোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবীতে ১৮ ডিসেম্বর ‘১৬ মিয়ানমার অভিমুখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আহ্বানে এবং পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক দীর্ঘ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

লংমার্চকে কেন্দ্র করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়ামের অন্যমত সদস্য এবং লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী আজকের প্রেস ব্রিফিংয়ে নিন্মোক্ত তথ্যাবলী পেশ করেন। ১. লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটি ও উপ কমিটি ২. প্রচার মিডিয়া সেল গঠন ৩. জমায়েত: যাত্রাবাড়ী কাজলা ফ্লাইওভারের গোড়ায় ৪. জমায়েত ১৮ ডিসেম্বর’১৬ সকাল ৯ঘটিকা ৫. বাস ও মাইক্রো/হাইয়েজ গাড়ীতে যাত্রা: যাত্রা শুরু সকাল ১০.৩০ মিনিট। তিনি লংমার্চে প্রাথমিক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য জনসভা-পথসভাসমূহও পেশ করেন। ক. কাঁচপুর সকাল ১১টা খ. গৌরীপুর ১১.৩০মিনিটে গ. দাউদকান্দি বেলা ১২টা ঘ. কুমিল্লা বিশ্বরোড দুপুর ২টা ঙ. ফেনী মহিপাল বিকাল ৪টা চ. বারইয়ারহাট ৫টা ছ. চট্রগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে গণজমায়েত রাত ৭টা ও রাত্রিযাপন চট্টগ্রামে জ. চট্রগ্রাম থেকে ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৮ ঘটিকায় চট্টগ্রাম থেকে মিয়ানমার উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু। ঝ. পটিয়া পথসভা : সকাল ১১টা ঞ. কেরানীরহাট সাতকানিয়া পথসভা : ১২টা ত. চকরিয়া কক্সবাজার পথসভা ও জোহরের নামাজ থ. কক্সবাজার লিংক রোড পথসভা বাদ আসর দ. বাদ আসর পথসভার পর মিয়ানমারের উদ্যেশে যাত্রা। প্রেস ব্রিফিংয়ে অসংখ্য সাংবাদিকদের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তবে ১৯ ডিসেম্বর বাদে আছর কক্সবাজারের লিংক রোড থেকে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে যাত্রার কথা বলা হলেও টেকনাফ উখিয়া বা নাইক্ষ্যংছড়ি কোন সীমান্ত পয়েন্টের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

পাঠকের মতামত: