ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

লামায় ২২৩৫ জন শিশুর জন্য আসেনি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

eeমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা প্রতিনিধি ঃ

সারাদেশের ২ কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বান্দরবানের লামা উপজেলায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এই কার্যক্রম। লামায় স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র মিলে ১৪৭টি ক্যাম্পে ১৫ হাজার ৭৩৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।

লামা হাসপাতাল ও বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিস হতে লামা উপজেলার জন্য ১৩ হাজার ৫শত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেয়া হয়। উক্ত ওষুদ লামা হাসপাতালের ইপিআই টেকনলোজিষ্ট আব্দুল কাদের বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিসের স্টোর কিপার উদয় চাকমা হতে রিসিভ করেন। ইপিআই টেকনলোজিষ্ট আব্দুল কাদের বলেন, লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২ হাজার ২৩৫টি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল কম দেয়া হলেও পরে অন্য উপজেলা হতে বাকী ক্যাপসুল সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে কোন উপজেলা হতে বাকী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। পার্শ্ববর্তী আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রিজওয়ান জানান, আলীকদম থেকে কোন ওষুদ দেয়া হয়নি। বরং আলীকদমেও বরাদ্দের চেয়ে কিছু ওষুদ কম দেয়া হয়েছে।

লামা হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) সমীরণ বড়–য়া বলেন, এবার লামায় ৯৬% শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ উইলিয়াম লুসাই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো কার্যক্রমের অর্জন ৭২ থেকে ৮০% বলে দাবী করেন।

বান্দরবান সিভিল সার্জন উদয় শংকর চাকমা বলেন, লামায় কম ওষুদ দেয়া হয়েছে বিষয়টা আমাকে কেউ জানায়নি।

প্রসঙ্গত, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) দেয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দুর্গম এলাকায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য পরবর্তী চারদিন (১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর) বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: