ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মহাসড়কের ডুলাহাজারা বাড়ছে দুর্ঘটনা, বালু বহনকারী গাড়ি কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণ

মোঃ নিজাম উদ্দিন, ডুলাহাজারা :
চকরিয়া উপজেলাধীন ডুলাহাজারা ও খুটাখালী ইউনিয়নে বালু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে বালু বহনকারী গাড়ি প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণ আর মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা।
গত ৮ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ইউনিয়নের মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মহাসড়কে বালির গাড়ি চাপায় ঘটনাস্থলে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। নিহত মাহিন্দ্র গাড়ির হেলফার মোঃ ইমন (১৬) ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পূর্ব ডুমখালী গ্রামের আশরাফুল ইসলামের পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাইওয়ে পুলিশ জানায় ওই সময় ডুলাহাজারা বাজার থেকে চিরিংগা অভিমুখী একটি চার চাকাযান যাত্রীবাহী মাহিন্দ্র যাত্রী উঠানামা করতে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়ায়। অপরদিকে একই দিক থেকে উচ্চ গতিতে ছেড়ে আসা বালিভর্তি একটি মিনি ট্রাক (চট্টমেট্টো-য-১১৩) বিপরিত দিকের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (ঢাকা মেট্টো-উ ১৪-২৩৫৫) এর মুখোমুখি হলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে মাহিন্দ্রটির পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থালে মাহিন্দ্র হেলফার মোঃ ইমন নিহত হয়। দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি ৩টি হাইওয়ে পুলিশ জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
পরে আদালতের অনুমতিতে লাশ দাপনের ব্যবস্থা করেন নিহতের স্বজনরা। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন আশিকুর রহমান বলেন ‘দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি তিনটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে এবং পুলিশ বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে।’
এদিকে ডুলাহাজারা ও খুটাখালীতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে হাইওয়ে পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দায়ী করেন স্থানীয়রা। এসব এলাকায় মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত উভয় পাশে ১০-১২টি স্থানে রয়েছে বিশালাকৃতির বালুর স্তুপ। বালু আনা নেওয়া করতে মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও লাইসেন্স বিহীন চালক দ্বারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মাথাব্যাথা নেই স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশেরও। গেল দুই বছরে বেপরোয়া বালির গাড়ির কারণে ডুলাহাজারা ও খুটাখালীতে প্রায় ডজন খানেক প্রাণহানি ঘটেছে। মহাসড়কের উভয় পাশে বালুর স্তুপ ও বেপরোয়া বালির গাড়িকে আর কত প্রাণ দিতে হবে আর কত প্রাণ গেলেই হাইওয়ে পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের টনক নড়বে এই প্রশ্ন সাধারণ জনগণের! মহাসড়কের পাশে বলুর স্তুপ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদুল ইসলাম বলেন ‘আমরা মোবাইল কোর্ট চালিয়ে যাচ্ছি এবং যে কোন সময় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে’

পাঠকের মতামত: