ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মাতামুহুরী অঞ্চলে আওয়ামীলীগের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি

elecএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্টিতব্য কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে মাতামুহুরী অঞ্চলের সাহারবিল, পুর্ববড় ভেওলা, পশ্চিম বড়ভেওলা, কোনাখালী, বদরখালী ও ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। এব্যাপারে ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা বিষয়টি ভেবে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মাতামুহুরী অঞ্চলের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিকলীগসহ সহযোগি সংগঠনের তৃনমুলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে দেশরত্ম শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় থেকে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত রয়েছে অনেক ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। কিন্তু অনুষ্টিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে মাতামুহুরী অঞ্চল থেকে সদস্য পদে কাকাঁড়া ব্যবসায়ী আবু তৈয়বকে দলীয় প্রার্থী ঘোষনা দেয়ার মাধ্যমে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদেরকে অবহেলা করা হয়েছে। এ কারনে অদুর ভবিষ্যতে মাতামুহুরী অঞ্চলে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে চরম ধস নামবে।

তৃনমুলের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, সদস্য প্রার্থী আবু তৈয়ব কোনদিন আওয়ামীলীগের মিটিং মিছিলে ছিলনা। কোন একটি মিটিংয়ে বা দলীয় কর্মসুচীতে অংশ নিয়ে উপস্থিত ছিল এমন প্রমাণ দেখাতেও পারবেনা। তিনি শুধু কাকাঁড়া ও চিংড়ি ব্যবসা করেছেন। তার ভাই আজম একজন বিএনপির বড়মাপের নেতা। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের ঘটনা প্রচার আছে। তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু অদৃশ্য কারনে রাতারাতি কমিটিকে নাম অর্ন্তভুক্ত করে আবু তৈয়বকে আওয়ামীলীগ নেতা বানানো হয়েছে। সুবিধা নিয়ে তাকে দলীয় মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছে।

ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলের জন্য কাজ করেছে এমন একজন সাধারণ কর্মীকে মুল্যায়ন করা হলে কোন ধরণের আক্ষেপ ছিলনা। কিন্তু যারা কোনদিন আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করেনি, বরং বিএনপি সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নিপীড়ন করেছে কিভাবে তাঁরা তাল গাছ হাতিয়ে নেয় তা এখন প্রশ্নের বিষয়। ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা বিষয়টি ভেবে দেখে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে মাতামুহুরী অঞ্চলের সদস্য প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। #

পাঠকের মতামত: