ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক মানের একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে কক্সবাজারে

11ফারুক আহমদ, উখিয়া ::::

সাউথ এশিয়ার সর্ব বৃহৎ আন্তর্জাতিক মানের একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে কক্সবাজারে। বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প খাতকে আরও সমৃদ্ধ ও বিদেশী পর্যটকদের সবধরণের সুবিধা দেওয়ার জন্য বেসরকারী উদ্দ্যেক্তা রিথিংক নামক একটি প্রতিষ্ঠান একুরিয়াম নির্মাণে এ মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বিশ^ পরিমন্ডলে পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে আসবে এমনটা মনে করছেন পর্যটক বিশ্লেষকরা।

দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তুতিমূলক কনফারেন্স সভা গতকাল উখিয়ার ইনানী রয়েল টিউলিপ সী-র্পাল বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন প্রধান অতিথি ছিলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব এস.এম গোলাম ফারুক, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরুপ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজামান খান কবির, সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্ণেল(অব) ফোরকান এবং সিভিল এভিশয়নের কর্মকর্তা।একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও পর্যটকদের সুবিধা সমূহ উপস্থাপন করেন রিথিংক এর উদ্যেক্তা এবং এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান লুলু আল মারজান। এসময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের  কনসান্টেল নিউনিউ বেইন, ঝেং পেইলিং, ও এন্ডু চিউ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পর্যটন মন্ত্রী রাশেদখান মেনন বলেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন সম্ভবনা খাত কে সমৃদ্ধ ও প্রসার করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতি মধ্যে বিশে^র দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও পর্যটন শিল্পকে বিবেচনা করে মেরিন ড্রাইভ নির্মানের পাশাপাশি, কক্সবাজারকে আর্ন্তজাতিক মানের বিমান বন্দর, সাবরাংকে এক্সকু¬সিভ ট্যুরিজোন সহ বিভিন্ন ধরণের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড দ্রুততার সহিত বাস্তবায়িত হচ্ছে। পর্যটন মন্ত্রী আরও বলেন একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হলে পর্যটন শিল্প প্রসারে কক্সবাজার হবে বিশে^র সবচেয়ে আকর্ষণীয়। আন্তর্জাতিক মানের এ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে সকল ধরণের সহযোগিতার আশ^াস দেন তিনি।

রিথিংক এর উদ্যেক্তা এবং এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান লুলু আল মারজান বলেন সাউথ এশিয়ার সর্ববৃহৎ একুরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ হলে পর্যটন খাতের অপার সম্ভবনাময় কক্সবাজার পর্যটন নগরী হিসাবে পূর্ণাঙ্গ রুপ লাভ করবে। দেশি- বিদেশী পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটকখাত থেকে সরকার ৩০ ভাগ রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রায় পৌছাতে পারবে। তিনি আরও জানান বিশাল সমুদ্রের তীরবর্তীতে একুরিয়ামের জলজ প্রাণী,নানা জীববৈচিত্র উপাদানের উপস্থিতি ও আন্তর্জাতিক মানের গেইমপার্ক থাকবে। এছাড়াও পৃথিবীর সকল দেশের নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য ২০ ধরণের ডাইনিং সহ বিনোদন নাইট হোল্ডের সুযোগ রয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে প্রচন্ড আগ্রহ বাড়বে।

পাঠকের মতামত: