ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

অবৈধ জবরদখলকারীদের দখলে ইনানী সী-বীচ

hhফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

বিশ্বের অন্যতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত ইনানী সী-বীচ এখন অবৈধ জবর দখলকারীদের কবলে। বীচ ম্যানেজ ম্যন্ট কমিটি ও উপজেলা প্রশাসকের দায়িত্বহীনতার সুযোগে প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ দখলকারীরা সী-বীচের প্রবেশ মূখে দোকান ঘর তৈরি করে পসারা সাজিয়েছে। ফলে ভ্রমন পিপাসু দেশী-বিদেশী পর্যটকদের চরম দুর্ভোগের স্বীকার হতে হচ্ছে।

কক্সবাজারের সাগর কন্যা হিসাবে খ্যাত ইনানী বীচ পর্যটকদের কাছে বেশ পরিচিত। পাহাড়, পাথর ও সবুজ অরন্যে বেষ্টিত ইনানী বীচের নীল জলরাসি দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের সমাগন ঘটে। বিশেষ করে মেরিণ ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ হওয়ায় ইনানী বীচের আরও কদর বেড়ে গেছে।

সচেতন মহলের অভিযোগ পর্যটন মন্ত্রণালয় ও পর্যটন কর্পোরেশন ইনানী বীচের প্রতি এতই অবিচার ও অবহেলা করেছে তা বলার মত নয়। দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় ধরে এ বীচে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেনি। এমনকি বীচ ম্যানেজ ম্যান্ট কমিটিও করছে বিবামতাসুলভ আচরণ।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, ইনানী সী-বীচের প্রবেশ পথে অসংখ্য ঝুঁপড়ি দোকান তৈরি করেছে অবৈধ জবরদখলকারীরা। বিভিন্ন পসারা সাজিয়ে বীচের প্রবেশ পথ দখল করে ঝুঁপড়ি দোকান তৈরি করায় পর্যটকদের যাতায়তে প্রতিবন্ধিকতা সহ সৈকতের সৌন্দর্য্য ও বিনিষ্ট হচ্ছে। সুশীল সমাজের অভিমত বীচ ম্যানেজ ম্যান্ট কমিটির দায়িত্বহীনতার কারণে দিন দিন সী-বীচটি অবৈধ জবরদখলকারীর হাতে চলে যাচ্ছে। এমনকি ইনানী বীচের গাড়ীর পাকিং জবরদখল করে রাখায় পর্যটকরা পার্কিং করতে বিড়ম্বনা শিকার হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেন।

উখিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাঈন উদ্দিন একাধিক বার অভিযান চালিয়ে অবৈধ ঝুঁপড়ি দোকান উচ্ছেদ করলেও পরবর্তীতে দখলদারকারীরা পুন:রায় জবরদখল করে তারা।

সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের অভিমত পর্যটক কর্পোরেশন ও জেলা বীচ ম্যানেজ ম্যান্ট কমিটি দ্রুত সরজমিন পরিদর্শন করে অবৈধ স্থাপনা ও ঝুঁপড়ির দোকান উচ্ছেদ করে ইনানী বীচের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনা। এতে সরকার পর্যটক খাত থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে।

#################

উখিয়ায় সম্প্রদায়-সম্প্রতি অক্ষুন্ন থাকায় উৎসব মূখর পরিবেশে ধর্মীয় উৎসব পালন হচ্ছে

ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥

উখিয়ার কোটবাজারস্থ পশ্চিম রতœা শাসনতীর্থ সুদর্শন বৌদ্ধ বিহারে মহাসমারোহে দানোত্তম কঠিন চীরব দান ও বৌদ্ধ সম্মেলন অনুষ্ঠান গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ ও রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ সত্যপ্রিয় মহাথের।

প্রধান অতিথির ভাষনে চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এতেই প্রমাণ করে সম্প্রদায় সম্প্রীতির মডেল হচ্ছে বাংলাদেশ। মুসলমান, বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য সকল ধর্মের স্ব-স্ব ধর্মীয় উৎসব আনন্দর মূখর পরিবেশে উৎযাপন করার সবচেয়ে নিরাপদ স্থান বাংলাদেশ। বিশেষ করে উখিয়ার হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যে কোন বেদাবেদ এবং পার্থক্য নেই। কেবল পার্থক্য ধর্মীয় পরিচয়। মানবজাতী হিসাবে আমরা একে অপরের ভাই। তিনি গৌতম বৌদ্ধের সেই অহিংসা পরম ধর্ম এই বিরল বাণী অনুসরণ করার জন্য বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কে আহ্বান জানান। কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান জ্ঞাতী ছিলেন, ধর্মদেশনা প্রদান করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লোকজিৎ থের, শ্রমন প্রশিক্ষণ ও সাধনা কেন্দ্রের প্রধান পরিচালক ভদন্ত কুশলায়ন মহাথের। আর্শীবাদক ছিলেন যথাক্রমে উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি ভদন্ত এস.ধর্মপাল, উখিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভদন্ত জ্যোতি প্রিয় থের, ইন্দ্রবংশ মহাথের, বিমল জ্যোতি মহাথের, প্রজ্ঞাবোধি থের, জ্যোতি শান্ত থের, জ্যোতি সুমন ভিক্ষু, প্রজ্ঞা সত্য ভিক্ষু, বিজয় রক্ষিত মহাথের, জ্যোতিসেন থের, জ্যোতি লংকান থের, জ্যোতি লায়ন থের, বৌদ্ধ সম্মেলন উদ্ভোধন করে পশ্চিম রতœা সুদর্শন বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ শাসন প্রিয় মহাথের, স্বাগতম বক্তব্য রাখেন, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুভাষ বড়–য়া, ধর্মীয় সভাটি যৌথ ভাবে পরিচালনা করেন, পরিতোষ বড়–য়া ও বা¹া বড়–য়া। প্রধান অতিথি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বৌদ্ধ বিহারের উন্নয়নে ১০ হাজার ইট ও একটি গভীর নলকূপের আশ্বাস প্রদান করেন।

পাঠকের মতামত: