ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সীমান্তে কুলি থেকে কোটিপতি হওয়া এক ব্যক্তির অজানা গল্প

ukhiya-pic-imam-hossainবিশেষ প্রতিনিধি::

কক্সবাজারের উখিয়ার পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী খিজড়ী ঘোনা নামক এলাকার মমতাজ উদ্দিন প্রকাশ লেইংগ্যা মমতাজের ছেলে ইমাম হোসেন প্রকাশ ইয়াবা ইমাম হোসনের লাগাম কে থামাবে । এক সময়ের কুলি ইমাম হোসেন, যার নুন আন্তে পান্তা লাগত সে আজ ছাত্র ও যুব সমাজ ধ্বংসকারী মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিনত হয়েছে। ক্রয় করেছেন নামে বেনামে অঢল সম্পদ। ইয়াবার কালো টাকার পাহাড় দিয়ে নির্মান করে যাচ্ছে আলিশান বাড়ী। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নষ্ট করে যাচ্ছে একাধিক নারীর ইজ্জত।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইয়াবা ইমাম হোসনের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেক সুন্দরী যুবতীরা বর্তমানে এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে পাঁড়ি জমিয়েছে। তার উক্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের ফলে একাধিক স্কুল ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রীরা স্কুল ও মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে বলেও জানা যায়। কিন্তু দেখার কেউ নেই। সম্প্রতি সে যুবলীগ নেতা পরিচয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংযুক্ত করে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে গণহারে প্রচার করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা বাবা-মায়ের আত্মীয় স্বজন মিয়ানমারে থাকায় তাদের সহযোগিতায় তরল মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসায় সাথে লাগাম দেয় সে। সীমান্ত সংলগ্ন তার বাড়ি হওয়ার সুবাদে চোরাই মালামাল ও ইয়াবা পাচারে সহজলভ্য হয়। সে লাখ লাখ পিচ ইয়াবার বিশাল চালান পাচার করে প্রশাসনের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের ইয়াবা মহাজনদের বিশ্বস্থতা অর্জন করে। এ সুবাধে মিয়ানমারের ইয়াবা মহাজনরা কাড়ি কাড়ি ইয়াবার চালান ইমাম হোসেনের মাধ্যমে এ দেশে পাচার করে এনে শতাধিক পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করছে। মিয়ানমারের তার বিশ্বস্থ ইয়াবা মহাজন মন্ডু থানার ঢেকিবনিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বাজার পাড়ার জনৈক নাজির হোসেন প্রঃ কুলি নাজিরের পুত্র জামাল হোসেনের ইয়াবার চালান পাচার করে মাসে অন্তত কয়েক কোটি টাকা মিয়ানমারে পাচার করছে। তার সহযোগী হিসাবে আছে কুতুপালংরে প্রবীন বড়ুয়া পুত্র সুশীল বড়ুয়া ও সুমন্ত ড্রাইভার।    উক্ত জামালের কোটি কোটি টাকা ইমাম হোসেনের হাতে রক্ষিত রয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের উক্ত মহাজন জামাল মিয়ানমার সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। জামালের টাকায় ক্রয় করা অন্তত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার কু-মানসে প্রশাসনের কতিপয় সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় কিছু সুবিধাভোগী দালাল চক্রকে টাকার বিনিময়ে পক্ষ নিয়ে রাতারাতি যুবলীগ নেতাও বনে গিয়েছিল সে। উক্ত ইয়াবা মহাজন ইমাম হোসেনের অবৈধ ভাবে অর্জিত সম্পদের উৎস্য সম্পর্কে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সচেতন মহল জোর দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন জানান, ইমাম হোসেন পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী তার সম্পর্কে প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, আমার ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দেবনা। সেই যত বড় ক্ষমতাশালী নেতা হউক না কেন। তার বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারী প্রয়োজন।
ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ইনচার্জ মোঃ এরশাদ উল্লাহ জানান, ইমাম হোসেনকে ইতিপূর্বে আটক করেছিলাম। তাৎক্ষনিক কোন ইয়াবা না পাওয়াতে ছেড়ে দিয়েছি। তার বিষয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে মাদক ও ইয়াবা পাচারের অহরহ অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে, অচিরেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ইমাম হোসেন বলেন, আমি মরণ ণেশা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত নয়।

 

পাঠকের মতামত: