ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাল কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ

mail-google-comওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ হরিলুট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কাবিখার শত শত টন চাল কালোবাজারীদের নিকট বিক্রি করে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা কোন কাজ না করেই কালো বাজারীদের হাতে বরাদ্ধকৃত খাদ্যশস্য বিক্রি করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রকল্প অফিসের খাতা পত্রে মনগড়া কাজের বাস্তবায়ন হয়েছে উল্লেখ করলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সরকারের এসব বরাদ্দকৃত অর্থ সংশ্লিষ্টরা অত্যন্ত কৌশলে সবাইকে ম্যানেজ লুট করে নিচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কোন কাজ না করেই কালো বাজারিদের নিকট খাদ্য বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভারি করেছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প গুলো তদন্ত করলে যার কোন দৃশ্যমান অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এছাড়া উন্নয়নের এসব অর্থ হরিলুট হওয়ার ফলে জনসাধারণ কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ৪০ দিনের কর্মসৃজনও প্রকল্পের কোটি কোটি আত্মসাৎ করে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। একই ভাবে টিআর রিলিফ টেস্টের লক্ষ লক্ষ টাকা ভূঁয়া বিল ভাউচার ও কাল্পনিক কাগজ পত্র তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে। যেন এসব দেখার কেউ নেই। একাধিক ইউপি সদস্য উপজেলার সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প কোটি কোটি টাকা একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করে আসছে। এসব তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এসবের নেপথ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, খাদ্য গুদাম কতৃপক্ষ এভাবে বছরের পর বছর উন্নয়ন কাজের অর্থ ও চাল লুট করে নেওয়ায় উন্নয়ন বঞ্চিত জনগণের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে। যদি সরকার সহ এডিবি কর্তৃপক্ষ টিআর কাবিখা, কাবিটা ও কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থের যোগান দিয়ে আসছে তথাপি উন্নয়ননা করে অর্থ আত্মসাতের কারণে ভবিষ্যতে এসব উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে সহযোগীরা। এখানে কাজের নামে কোটি কোটি টাকা ও খাদ্য লুপাট করে কালো বাজারিদের নিকট বিক্রি করে আজ তারা রাতারাতি কোটিপতি। স্থানীয়রা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও খাদ্য বিভাগের যোগসাজসে সংশ্লিষ্টরা এক প্রকার নীরবেই এসব অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এছাড়া ডিলার হিসাবে উখিয়া ছয়তারা রাইচ মিল নামক একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও জড়িত বলে জানা গেছে। এদিকে দূর্ণীতির সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ না করার জন্য উখিয়ার কর্মরত ১০/১২ জন সাংবাদিকদেরকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজের চেষ্টা করার খবর পাওয়া গেছে।

###################

থানায় অভিযোগ দেওয়ায় মাছ ব্যবসায়ীকে হুমকি

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

উখিয়ার এক কতিপয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়ায় মাছ ব্যবসায়ীকে হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উখিয়া দারোগা বাজারে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর কতিপয় সাংবাদিককে চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ মাছ ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর (২৫) উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর রাতে কতিপয় সাংবাদিক কফিল উদ্দিন আনু ও নাজিম উদ্দিন, টুনু, সাহাব উদ্দিন, রুবেল, টিটু তার নিকট থেকে চাঁদা চাইতে গেলে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ১৮ ই অক্টোবর রাত ১১ টার দিকে মাছ বাজারে চাঁদা দাবী করতে চাইলে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় লাঠি, লোহার রড দিয়া এলোপাতাড়ী মারধর করে গুরুত আহত করে। ঐ সময় ভাইকে বাঁচাতে আসলে রাজা উদ্দিন (১৭) কেও মারধর করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করান। মামলার বাদী আলমগীর এ প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাদা না দেওয়ায় আমাকে ও আমার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে মারধর পূর্বক আমার পকেটে থাকা ব্যবসার নগদ ২২ হাজার ৮শ টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মোঃ আলমগীর গত ১৯ অক্টোবর বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাঈন উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

##############

একবার ঘুরে আসুন ইনানী সী-বীচে

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

অপার সম্ভাবনা আর অপরুপ সৌন্দর্যময় পাথুরে বীচ ইনানী ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানী দিয়ে ডাকছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেশের সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজারে অদুরেই অবস্থিত ইনানী বীচ। পূর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাকৃতিক পাহাড়, পশ্চিমে পাথরে আঁচড়ে পড়া নীল সাগরের বিশাল ঢেউ, সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য, লাল কাঁকড়াদের হুড়–হুড়ি, সাগরের পাশাপাশি বড়, ছোট খালে জেলেদের মাছ শিকারের দৃশ্য, সবুজ গ্রামের চিত্র এই যেন প্রকৃতির এক অপরুপ মেলবন্ধন, সৌন্দর্য্যরে বাহার সাজিয়েছে। প্রকৃতির এই রুপ অবলোকন করতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক ছুটে আসে ইনানীতে।

জেলা শহরের কলাতলী হয়ে যাত্রীবাহী বাস, মোটরবাইক, ব্যাটারীচালিত টমটম গাড়ীসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কে হয়ে ইনানী পাথুরে বীচে আসা যায়। এছাড়াও ব্যাটারিচালিত টমটমে করে মেরিন ড্রাইভের সৌন্দর্য দর্শন করা যায়। কক্সবাজার থেকে ইনানী ভ্রমণে আসলে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবেও দরিয়ানগর, হিমছড়ির ঝর্ণা, বিভিন্ন আন্তর্জাতিকমানের রেস্টুরেন্টের গড়ে তোলা নিজস্ব পার্ক, বিশাল বিশাল সুপারি বাগান, প্রাকৃতিক পাহাড়, দৃষ্টিনন্দন সারি সারি ঝাউবাগান, বিদেশি চিংড়ি উৎপাদনকারী হ্যাচারী। এছাড়াও ইনানী বিচের অদুরেই পাটয়ারটেক সী-বীচ। পাটুয়ারটেক সী-বিচের একটু পূর্বে পাহাড়ের নিচে রহস্যময়ী কানা রাজার গুহা। কানা রাজার গুহার পাশেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ফইল্লা চাকমার মাচাং ঘর। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ইনানী বীচে অবকাশ যাপন করতে চাইলেও স্বল্প সংখ্যক আবাসিক হোটেল-মোটেল থাকায় পযর্টকদের ঝামেলা পোহাতে হয় বলে জানান ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি কাসেম চৌধুরী ও সালমা চৌধুরী। তারা বলেন, ইনানী বীচের সৌন্দর্য সম্পর্কে এতোদিন শুনলেও আজ নিজেরা এসে মুগ্ধ আর মোহিত হলাম। এই যেন নিজ দেশেই ক্যারিবিয়ন দ্বীপ। ভ্রমণে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমতিয়াজ খান জানান, ইনানী সী-বীচ তথা কক্সবাজারের মনোরম পরিবেশ দেখে খুব ভালই লেগেছে। এইখানে এসে উপভোগ করলাম সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য। পাথরের ওপর ছোটাছুটির স্মৃতি ক্যামেরাবন্দি করা। স্মৃতির পাতায় আজীবন অক্ষত থাকবে ইনানী ভ্রমণ। ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, ইনানী বীচে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ সবসময় সচেষ্ট আছে। ইনানী বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন ইনানীর পাথুরে বীচের গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, প্রকৃতির অপরূপ সাজে সজ্জিত নয়ানাভিরাম পর্যটন স্পট ইনানী পাথুরে বীচের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে ইনানী বীচের সুযোগ সুবিধার বিষয় বিশ্ববাসীকে জানান দেয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান। এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, একটা বিশেষ পর্যটন নীতি প্রণয়ন করে টুরিস্টদের ভিড় কক্সবাজার শহর কেন্দ্র থেকে উপকণ্ঠে সরিয়ে দিতে হবে। ইনানী বীচ এলাকায় অন্যান্য আকর্ষণ সৃষ্টি করতে হবে।

#################

উখিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ১২ পলাতক আসামী আটক

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১২ জন পলাতক আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে আটককৃতদের কক্সবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথের নির্দেশে উখিয়া থানার চৌকস ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল খায়েরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে এসব আসামীদেরকে আটক করা হয়।

পাঠকের মতামত: