ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ইনানী সী-বিচে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ : সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে সমুদ্র সৈকত

000ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::::

স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও কাংখিত উন্নয়ন হয়নি উখিয়ার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ইনানী বীচের। হাতে গুনা কয়েকটি হোটেল মোটেল, গেষ্ট হাউস ছাড়া দৃশ্যমান উল্লেখযোগ্য কোন দর্শনীয় স্থান এখানে নেই। উপরোন্তু বীচ দখল করে যত্রতত্র মুদির দোকান, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা, বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় ঠোকাইদের অবাধ বিচরণসহ নানা প্রকার অনৈতিকতার কারণে পর্যটন পরিবেশকে আরো বিষিয়ে তোলা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী মোঃ জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৩ বছর ধরে ইনানী বীচের মূল পয়েন্টে কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। ফলে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বীচ এলাকা ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়। তিনি বলেন, ৩ বছর আগে প্রাকৃতিক দূযোর্গে মূল পয়েন্টে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে যাওয়ার পর থেকে  বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যার ফলে সন্ধ্যাকালীন সময় থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ঠোকাইদের দৌরাত্ম। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পরিবেশ অক্ষুন্ন রেখে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপকারীদের সর্তক করে দেওয়ার জন্য মনজুর, বেলাল ও নাজিম নামের ৩ জনকে  পরিচ্ছন্নকর্মী হিসাবে সৈকতে নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা যথাযথ দায়িত্ব পালন না করায় যেখানে সেখানে ময়লা আর্বজনার স্তুপ দেখা যাচ্ছে বলে পর্যটকদের নিকট থেকে অভিযোগ উঠেছে। ইনানী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ছৈয়দ হোসেন জানান, ২০১০ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমদ শামীম আল রাজী সৈকতের মূল পয়েন্টে একটি মাশরুম মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিলেও অজ্ঞাত কারণ বশত: তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সৈকতের অধিকাংশ জায়গা চলে গেছে মুদি দোকানীদের দখলে। যা পরিবেশ সম্মত নয় বলে স্থানীয় পরিবেশবাদী সচেতন মহলের অভিযোগ। তিনি বলেন, এলাকার স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী রাতারাতি দোকান নির্মাণ করে দিনের বেলায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অন্যত্রে হস্তান্তর করে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বীচ ঘুরে বেশ কয়েকজন পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে মহিলাদের জন্য চেইঞ্জিং রুম ও বাথরুম নাই। যে কারণে মহিলাদের জন্য একটি পীড়াদায়ক সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বীচ ইজারাদার অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইনানীর মত একটি সম্ভাবনাময়ী পর্যটন এলাকায় বাথরুম ও চেইঞ্জিং রুম না থাকার বিষয়টি খুবই দু:খজনক। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, বাথরুম ও চেইঞ্জিং রুম সহ ইনানী বীচের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে জেলা পরিষদ কর্মকর্তার সাথে আলাপ হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব উন্নয়ন কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
…………………………………………………
উখিয়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারধর

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::::

উখিয়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে ঘরের দরজা বন্ধ করে বেদড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় লোকজন ওই মহিলা কে পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনের কবল থেকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ থানায় মামলা না নেওয়ায় নির্যাতিত মহিলা মোহছেনা আক্তার বাদী হয়ে কক্সবাজার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- সিপি মামলা নং-১২৯৮/১৬ ইং। সে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মোঃ শফিরবিল গ্রামের মোঃ আলমের মেয়ে । এতে মামলায় আসামী করা হয়েছে স্বামী মোঃ সেলিম ও তার ভগ্নিপতি নুরুল আলম কে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং সন্ধায়। আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত মহিলা মোহছেনা আক্তারের স্বামী মোঃ সেলিম ও ভগ্নিপতি নুরুল আলম ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে তারা বাড়ীতে বসে ইয়াবা সেবন করে স্ত্রীর উপর প্রতিনিয়ত চরম অত্যাচার, নির্যাতন ও ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে থাকে। উল্লেখিত তরিখে পাষন্ড স্বামী মোঃ সেলিম একই কায়দায় নির্যাতন করলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাতœক জখম হয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- সিপি মামলা নং- ১২৯৮/১৬ ইং। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক আদালতে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের আদালতের নির্দেশে থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আবুল কালাম কে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নিদের্শ প্রদান করেন। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম মামলার আসামীদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে মামলার প্রতিবেদন আদালতে পাঠাতে কালক্ষেপন করছে। উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আবুল কালামের সাথে যোগাযোগ করিলে, সে বলেন আমার সাথে আসামী পক্ষের লোকজনের সাথে কোন সখ্যতা নেই এবং মামলাটি আপোষ করার জন্য উভয় পক্ষকে বলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: