ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ -উখিয়া এমপি বদি

ddওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া 

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সিআইপি বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষকে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। দল গুছানোর নামে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এ অবস্থায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ঘরে বসে থাকলে হবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছে। সব সময় চেষ্টা করেছেন, অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকার, তাদের সহযোগীতা করার। ২ মেয়াদে এমপি থাকার সুবাধে উখিয়া-টেকনাফে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। অথচ সঠিক ভাবে প্রচার প্রচারণা হয়না বলে মানুষ এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জানেনা। বারে বারে তথ্য সন্ত্রাসের শিকার হয়েছি। গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ মিলনায়তনে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের এক বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও হলদিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুল আলম মাবু, ফরিদুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, আওযামীলীগ নেতা মাষ্টার ছৈয়দ আলম, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজল করিম সিকদার, রতœাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর, রাজাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরু, পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজল কাদের চৌধুরী ভুট্টো, জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন চৌধুরী রাসেল, উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মুজিবুল হক আজাদ, সাধারন সম্পাদক ইমাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মিথুন। পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার দায়িত্বপালন করেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

##################

উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী খোরশেদের ক্ষমতার জোর কোথায়!

উখিয়া প্রতিনিধি

 উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেই চাকুরী করে যাচ্ছে খোরশেদ আলম নামক এক কর্মচারী। শুধু তাই নয় কেবল মাসের শেষে উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর করে মাসের বেতনও উত্তোলন করছে তিনি। ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যবহার করে তিনি চাকুরী বিধি লঙ্গন ও এহেন কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে ইতি মধ্যে চাকুরী বিধি লঙ্গন ও দাপট দেখিয়ে অসৌজন্য আচরণ করার অভিযোগে উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মচারী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। খোজখবর নিয়ে জানা গেছে, কর্মচারী খোরশেদ আলমকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বদলী করার হয়েছিল। নানা তকবীর করে সেখান থেকে বদলী হয়ে উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগদান করে। উখিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জানান, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী খোরশেদ আলমের দায়িত্ব হচ্ছে রাত্রিকালীন অফিস পাহারা দেওয়া। বেশ কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, দারোয়ান পদে চাকুরী হলেও খোরশেদের দাপট দেখে মনে হয় অনেক বড় মানের অফিসার। চাকুরীস্থল উখিয়া হলেও তিনি থাকেন কক্সবাজারে। এমনকি কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে তার আসা-যাওয়া। অতি সম্প্রীতি দারোয়ান পদের কর্মচারী খোরশেদ আলমের হাতে নাজেহাল হন ঠিকাদার। এই নিয়ে ঠিকাদারদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তুষ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সকল ঠিকাদার কর্মচারী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ করে। এদিকে নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থাকে কি না এ সম্পর্কে খোজখবর নিতে গিয়ে জানা যায়, এ কর্মচারী মাঝে মধ্যে অফিসে আসলেও মাসের বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী জানান, তিনি। অফিসে না আসলেও তার পরিবর্তে নজরুল নামক এক কর্মচারীর ভাইকে দিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, কোন অবস্থাতেই বহিরাগত লোক দিয়ে সরকারী চাকুরীরত কর্মস্থলে দায়িত্বপালন করানো যায় না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্মচারী খোরশেদ আলম অনুপস্থিতির কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার পিতার অসুস্থতার কারণে তিনি ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। তবে অনেকের অভিযোগ তিনি মাসের পর মাস অনিয়মিত অনুপস্থিত থেকে চাকুরী করার খুঁটির জোর কোথায়। উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, কর্মচারী খোরশেদ মাঝে মধ্যে ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত থাকে। সুশীল সমাজের মতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিুস্তরের কর্মচারী হয়েও তার হুংকার ও ধমকি দেখে মনে হয় তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নন। তার বড় গলার জোর কোথায় তা খতিয়ে দেখার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছেন।

  ############

ভূমিহীনদের পূর্ণবাসনে উখিয়ায় হচ্ছে গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া

উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের অবেহিলত এলাকা উত্তর বড় বিল গ্রামের গুচ্ছ গ্রাম বা আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলার পরিকল্পনা নিয়েছেন সরকার। ছিন্নমূল ও ভূমিহীন লোকদের পুর্ণবাসন করার লক্ষ্যে জাতীয় আবসন প্রকল্প এ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। উক্ত গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অবেহিলত এলাকায় আমুল পরিবর্তন সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সবচেয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত ও অবেহিলত এলাকার নাম হচ্ছে দক্ষিন বড় বিল গ্রাম। এ গ্রামের হাজার হাজার লোক স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। নেই কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা। এমন একটি দুর্গম জনপদে গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, আশ্রয় প্রকল্প বর্তমান সরকারের অন্যতম একটি জনহিতকর উদ্যোগ। ওই এলাকায় গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ছিন্নমূল মানুষের আবাস স্থানের সুযোগের পাশা-পাশি অবেহিলত উত্তর বড়বিল গ্রামে উন্নয়নে আলোর পথ খুঁজে পাবে। এ এলাকায় গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প হচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীর মাঝে আনন্দের উচ্ছাস ভয়ে চলছে। তারা মনে করে এ আবাসান প্রকল্পে শত শত ভূমিহীন গরীব লোকজনের পূর্ণবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ও ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, উত্তর বড়বিল গ্রামটি যুগযুগ ধরে অবেহিলত ও উন্নয়বঞ্চিত। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ন্যাশনাল গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প কার্যালয় কাজ শুরু করেছেন। গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষক মোঃ শফিকুর রহমান জানান, উত্তর বড় বিল গ্রামটি দীর্ঘ বছর ধরে অবহেলায় জর্জরিত। গ্রামটি কৃষি প্রধান হলেও বেশি ভাগ মানুষ শ্রমজীবি, ভূমিহীন ও গৃহহীন। বাড়ী ঘর না থাকায় খুব কষ্ট হবে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনযাপন করছে দরিদ্র পরিবার গুলো। তিনি বলেন, পাগলির বিল মৌজা সরকার নামীয় খাস জায়গায় গুচ্ছ গ্রাম গড়ে উঠলে হতদরিদ্র পরিবারের পুর্ণবাসনের পাশা-পাশি এলাকারও অভুতপূর্ব উন্নয়ন হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, ভূমি অফিসের তহশীলদার আব্দুল করিম, সার্ভেয়ার, কাননগোসহ একটি প্রতিনিধি দল পৃথক পৃথক উত্তর বড়বিল চিতাখলা নামক স্থানে প্রস্তাবিত গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, উত্তর বড়বিল চিতাখলা নামক স্থানে গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্প গ্রহণে সম্ভাব্য যাচাই ও পরিদর্শন করা হয়েছে। ছিন্ন মূল ও ভূমিহীন মানুষের আবাসস্থল নিশ্চিত করতে ১০ একর জায়গায় আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলার জন্য লিখিত সুপারিশ সহ প্রস্তাব উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় জনগণের লিখিত আবেদন ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সুপারিশক্রমে উপজেলা প্রশাসন জাতীয় গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পে প্রেরন করা হয়। স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ দ্রুত সময়ে সরকারী বনবিভাগের পরিত্যক্ত জায়গায় গুচ্ছ গ্রাম গড়ে তুলে ভূমিহীন মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: