ঢাকা,বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় মুলসীমা রেখার সাথে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে বারবাকিয়া ইউনিয়ন

pekua-dc-newনাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় মুল ভু-খন্ডের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে বারবাকিয়া ইউনিয়নকে। জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টানের জন্য বারবাকিয়া ইউনিয়নকে পেকুয়া উপজেলা সীমারেখা থেকে কর্তন করা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত এক শুনানি অনুষ্টিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কক্সবাজার এর স্থানীয় সরকার শাখার সীমানা নির্ধারন কর্মকর্তা কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন বারবাকিয়া ইউনিয়নকে পেকুয়া উপজেলার সাথে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার এ রায় দেন। গত ১৮ সেপ্টম্বর বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সীমানা নির্ধারন শুনানি কক্সবাজার জেলায় অনুষ্টিত হয়েছে। সুত্র জানায় আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টানের লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলাকে ১৫টি সাধারন ওয়ার্ড়ে বিভক্তি করা হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য পেকুয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে একটি নির্বাচনী ওয়ার্ড় গঠিত হয়েছে। বারবাকিয়া ও শীলখালী ইউনিয়নকে পেকুয়া থেকে কর্তন করে চকরিয়া উপজেলার সাথে সম্পৃক্ত করে। মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী, টইটং ও পেকুয়া সদর ইউনিয়কে সীমা নির্ধারনীতে ৪নং ওয়ার্ড়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে ৫নং ওর্য়াড়ে যুক্ত করা হয়েছে পেকুয়া উপজেলার দু’টি ইউনিয়ন শীলখালী ও বারবাকিয়া। ওই ওয়ার্ড়ের আওতাভুক্ত ইউনিয়ন হচ্ছে চকরিয়া উপজেলার। বরইতলি, হারবাং, কৈয়ারবিল ও পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ও বারবাকিয়া ইউনিয়ন। এদিকে উপজেলার সীমা রেখা থেকে বারবাকিয়া ইউনিয়নকে কর্তন করে চকরিয়ার সাথে অর্ন্তভুক্ত করায় এনিয়ে বারবাকিয়া ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এর আপত্তি উথ¥াপন করা হয়। গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জি.এম আবুল কাসেম বাদি হয়ে জেলা প্রশাসক ও সীমানা নির্ধারন কর্মকর্তা জেলা পরিষদ বরাবর একটি লিখিত আপত্তি দায়ের করেন। গত ৫ সেপ্টম্বর জি.এম কাসেম এলাকাবাসির পক্ষে এ আবেদনটি উথ¥াপন করেছেন। এনিয়ে গত ১৮ সেপ্টম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শুনানিতে অংশ নেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ সীমানা নির্ধারন কর্মকর্তা মো.আলী হোসেন। ওই শুনানিতে সীমানা গঠন ও সংযুক্তিতে বারবাকিয়া ইউনিয়নকে পেকুয়া উপজেলার সীমা রেখার সাথে সংযুক্ত করার রায় প্রদান করেছেন। জানা গেছে পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম বৃহত ভু-খন্ড হচ্ছে বারবাকিয়া ইউনিয়ন। উপজেলার মধ্যভাগে এ ইউনিয়নের অবস্থান। বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলার সময় বারবাকিয়া ইউনিয়নের আয়তন ছিল সর্ববৃহত। প্রাচীনতম এ ইউনিয়নের পরিধি কক্সবাজার জেলার মধ্যেও অন্যতম ছিল। বারবাকিয়া মুল ভু-খন্ডকে বিভক্তি করে পেকুয়ায় আরো দু’টি ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। শীলখালী ও টইটং ইউনিয়ন অবিভক্ত বারবাকিয়ার দু’টি ওয়ার্ড়। বৃটিশ আমল থেকে এ ইউনিয়নের ঐতিহ্য সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছিল। একদিকে সমতল ভুমি অন্যদিকে বিশাল উচ্চ পাহাড়ি ভুমি নিয়ে এ বারবাকিয়া ইউনিয়ন। চকরিয়া উপজেলার সাথে বারবাকিয়ার কোন সীমানা সংযুক্তির মধ্যে পড়েনি। জি.এম কাসেম এলাকাবাসির অধিকার, নিজস্ব স্বকিয়তা ও অখন্ডতা রক্ষা করতে চালিয়ে যান প্রচেষ্টা। গনশুনানিতে তার ইউনিয়নের সীমারেখার যুক্তিক বিষয়টি উপস্থাপন করতে সক্ষম হন। এতে বারবাকিয়া ইউনিয়নকে মুল উপজেলা পেকুয়ার সাথে অর্ন্তভুক্ত করার আদেশ দেন সীমানা নির্ধারন কর্মকর্তা। এদিকে বারবাকিয়া ইউনিয়ন পেকুয়ার সাথে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন ও পেকুয়া উপজেলাবাসিদের মধ্যে উচ্ছাস ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসিরা খুশির খবরে বিলি করেছেন মিষ্টি।

পাঠকের মতামত: