ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় কোরবানির পশুর হাট জমজমাট: দেশী গরুর দাম বেশী

AAওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সারা দেশে ন্যায় উখিয়ায়ও জমে উঠেছে গরুর বাজার। তবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা চাহিদামত গরু কিনতে পারছেনা। গত ২ বছর ধরে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার ও ভারত থেকে গবাদী পশু আমদানি না হওয়ার কারণে স্থানীয় কৃষক ও খামারীরা গবাদি পশু পালনে উৎসাহী হয়ে উঠেছে। তারা মনে করছে কষ্ট করে পশু লালন পালন করলে কোরবানির হাটে ভাল দাম পাওয়া যাবে। তাই কোরবানির হাটে দেশী গরুর ভীড় লক্ষনীয়। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানির পশুর হাটে দালাল ফড়িয়াদের অসহনীয় উৎপাতের কারণে গত বছরের তুলনায় গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে দ্বিগুন। গতকাল মঙ্গলবার উখিয়া গরুর বাজারে ৪ মন ওজনের একটি গরু বিক্রি হয়েছে এক লক্ষ টাকায়। অথচ একই ধরনের গরু গত কোরবানির বাজারে বিক্রি হয়েছে ৭০ হাজার টাকায়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উখিয়া সদর, মরিচ্যা বাজারসহ ২টি বাজার গবাদি পশুর হাট হিসাবে নির্ধারিত থাকলেও জনস্বার্থে পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী, কুতুপালং, রুমখাঁবাজার ও সোনারপাড়াবাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পশুর বাজার বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার উখিয়া সদর গরুর বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতা সাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে মিয়ানমারের গরু আসেনি। উখিয়া পশু সম্পদ কর্মকর্তা তথ্য মতে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভাবে ১৪৪টি খামারে পশু লালন পালন হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রায় ১০ হাজার গবাদি পশু এবার কোরবানির হাটে বাজার জাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়াও প্রতিটি কৃষকের বাড়ীতে ২/৩টি করে পশু পালন হচ্ছে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য। যে কারণে এখানে পশুর কোন ঘাটতি হবে না।

গতকাল মঙ্গলবার ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার ব্যস্ততম পশুরহাট উখিয়া গরু বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ২ হাজারেও অধিক গরু, মহিষ, ছাগল বাজারে এসেছে। তবে গরু মহিষের অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে ক্রেতারা পশুর দরদাম করে না কিনে ফিরে যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, সামনের বাজারে দাম আরও একটু কমতে পারে। বাজারে গরু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসেম জানায়, মিয়ানমার থেকে গরু না আসার কারণে দেশী গরুর দাম বেড়েছে। ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ দালাল ফড়িয়াদের অনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে বাজারে গরুর দাম করছে না। এখানে আড়াই মন ওজনের একটি গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৬৫/৭০ হাজার টাকা। তবে মাঝারি সাইজের গরুর দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকার কারণে ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে বেশি। বাজার ইজারাদার নাজির হোসেন জানান, স্থানীয় ভাবে লালিত পালিত দেশী গরুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে আগের তুলনায় এ বছর গরু মহিষের দাম বেড়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে গরু আসলে দাম একটু কমতে পারে।

টেকনাফ কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জুলাই থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে ২৪৬টি গরু, মহিষ, ছাগল আমদানি হয়েছে। আর গত মঙ্গলবার এসেছে ৫৮টি মহিষ। যা চাহিদার তুলনায় নগন্য। টেকনাফের গরু ব্যবসায়ী আবু ছৈয়দ জানান, করিডোর দিয়ে আসা প্রতিটি গরুর দাম পড়েছে ৬০ হাজার টাকা। উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সাহাব উদ্দিন জানান, স্থানীয় ভাবে লালিত পালিত প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা গরু দিয়ে এবার কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি ওষুধের দোকানে গরু মোটা তাজা করণের ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ খামারীদের প্রতিনিয়ত তদারকি করার কারণে এবার বিকল্প উপায়ে গরু মোটাতাজা করা অনেকেরই সম্ভব হয়নি বিধায় খড় কুড়া দিয়ে পালিত রিষ্ট পুষ্ট গরু বাজারে পাওয়া যাবে।

###############

বালুখালীর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির অভিযানে ৭২ ক্যান বিয়ার জব্দ

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

উখিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা বালুখালী বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭২ ক্যান বার্মিজ বিয়ার জব্দ করেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা কাউকে আটক করতে পারেনি। জব্দকৃত বিয়ারের আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার টাকা বলে বিজিবি জানিয়েছেন। বালুখালী বিজিবির হাবিলদার সোলতান আহমদ এর নেতৃত্বে একদল বিজিবি জোয়ানরা সোমবার রাতে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত বিয়ার গুলো জব্দ করে। ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 ####################

ঘুমধুমে বিজিবির সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

উখিয়ার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে বিজিবির উদ্যোগে সচেতনতামূলক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে দক্ষিণ ঘুমধুম মিসকাতুন্নবী (সঃ) দাখিল মাদরাসার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার সুপার মাওঃ সেলিম উদ্দিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঘুমধুম বিওপির কমান্ডার সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরুল ইসলাম, মোঃ আবুল কাশেম, প্রাক্তন ছাত্র মোঃ রিদুয়ানুর রহমান। অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, আনসার ভিডিপি কমন্ডার আব্দুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক হুসাইন মোঃ আনোয়ার, সালা উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ছোটন প্রমুখ। সভায় সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত হত্যা বন্ধে অবৈধভাবে সীমান্তে বিচরণ প্রতিরোধ, মিয়ানমার নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত শরণার্থীদের অবৈধ প্রত্যাগমন প্রচেষ্টা প্রতিহতকরণসহ তাদের আশ্রয়-পশ্রয় দান রোধ, মাদক-অস্ত্র-পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধ প্রভৃতি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। একই সঙ্গে সাম্প্রতিককালের জঙ্গি তৎপরতা রোধে আলোচনা করা হয়।

পাঠকের মতামত: