ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় মসজিদের সংস্কার কাজ নিয়ে দুই কমিটির মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি, চরম উত্তেজনা

cncএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে একটি মসজিদের সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন নিয়ে দুই কমিটির মধ্যে চরম বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। আগের কমিটি মসজিদটিকে একই অবস্থায় রেখে মূলভবনকে দুতলা করতে চায়, কিন্তু বর্তমান কমিটি শতবর্ষের ঝুকিপূর্ন পুরানো মসজিদটিকে ভেঙ্গে নতুন করে বহুতল ভবন নির্মাণের পক্ষে রয়েছে। দুই কমিটির বিরোধের কারনে বর্তমানে মসজিদে নামাজ চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র বর্তমানে দুইপক্ষের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের কৈয়ারবিল মুহুরী পাড়া গ্রামে ষাট দশক আগে এক একর জমির মসজিদটি নির্মান করেছিলেন এলাকার জনগন। বর্তমানে মসজিদের জমির উপর ৮টি দোকানঘর এবং একটি পুকুর রয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান হানু’র নেতৃত্বাধীন কমিটি বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে দায়িত্বে রয়েছেন। মসজিদের দোকান ভাড়া দিয়ে ও পুকুর লাগিয়ত করা ও চাঁদার আয়ের টাকা থেকে খরচের পর জমা টাকা গত ১৫ বছরেও হিসাব দেননি বর্তমান পরিচালনা কমিটি এমন অভিযোগ প্রতিপক্ষের। স্থানীয়দের দাবি, মান্দাতা আমলে নির্মিত মসজিদটি নিচু স্থান বর্তমানে ঝুকিঁপূর্ন হয়ে উঠেছে। মসজিদটি যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়তে পারে। এমন অবস্থায় ভয়ের কারনে গত রমজানে কোন মুসল্লী মসজিদে এতেকাপ থাকেনি।

এলাকাবাসীর দাবী, সরকারী বেসরকারী সহযোগীতায় মসজিদটি ভেঙ্গে নতনি করে বহুতল ভবন করার। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা হানুর নেতৃত্বাধীন কমিটি মসজিদে প্রচুর সম্পদ ও দাতা থাকা সত্বে ও কারো পরামর্শ না করে ঝুকিপূর্ন মসজিদটির উন্নয়নের নামে ইতোমধ্য দুতলার সংস্কার কাজ আরম্ভ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এতে প্রতিবাদী হয়ে উঠেন এলাকাবাসী।

কয়েকদিন আগে বিক্ষুদ্ধ জনগন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আবুল হাসেমকে সভাপতি, আরেক আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ শাহাদত হোসেনকে সেক্রেটারী করে নতুন আরেকটি উন্নয়ন কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন এলাকাবাসী।

এরপর এলাকার লোকজন ও মুসল্লীরা বিগত জুন মাসে হানুর নেতৃত্বাধীন কমিটিকে নতুন কমিটির কাছে দ্বায়ীত্ব বুঝিয়ে দিতে বলেন। কিন্ত কমিটি গঠনের দুইমাস অতিক্রম হলেও নতুন কমিটির হাতে দ্বায়ীত্ব বুঝিয়ে দেয়নি আগের কমিটি। এলাকাবাসী জানায়, নতুন কমিটির হাতে দ্বায়ীত্ব বুঝিয়ে দেয়ার ভয়ে প্রায় সময় এলাকা থেকে বাইরে থাকছেন সভাপতি হানু। এ অবস্থার কারনে বর্তমানে নির্মানাধীন মসজিদটি অর্ধ-নির্মিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে চরমভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে মসজিদের নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে। এ ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। #

পাঠকের মতামত: