ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় প্রধান সড়কে সাঁকোই, জনদূর্ভোগ চরমে

20160724_094132-1নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::

পেকুয়ায় সাঁকোই প্রধান সড়কের একমাত্র ভরসা। গ্রামীন সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন থাকায় যাতায়াতের জন্য স্থানীয় উদ্যেগে নির্মিত হয়েছে বাঁশের তৈরি সাঁকো। বর্তমানে ওই সাঁকোটি সড়কটির প্রাণভোমরায় পরিনত হয়েছে। এদিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্যস্ততম পূর্ব গোঁয়াখালী টু বাংলাপাড়া সড়কের প্রধান অংশে বিভক্তি হয়ে পড়েছে। গত ২ মাস আগে গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনের জন্য ওই সড়কটি কর্তন করা হয়। সড়কের প্রশ্বস্ত পয়েন্টে প্রায় ৩০ ফুট কেটে ড্রেন তৈরি করা হয়। পাইপ লাইন সঞ্চালনের জন্য জিটিসিএল সদর ইউনিয়নের বিপুল অংশে ড্রেন তৈরি করে। বর্তমানে জিটিসিএল মাটির নিচে পাইপ সঞ্চালন কাজ শেষ করেছে। গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনের জন্য তারা যে অংশ কর্তন করেছে এসব অংশের মধ্যে প্রধান সড়কের একাধিক পয়েন্ট রয়েছে। এদিকে সদর ইউনিয়নের মইয়াদিয়া-পুর্ব বিলাহসুরা সড়কটিও জিটিসিএল পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য কর্তন করে। চলতি বর্ষা মৌসুমে কর্তনকৃত অংশগুলো খালে পরিনত হয়েছে। সদর ইউনিয়নের পুর্বগোয়াখালী-বাংলাপাড়া সড়কের চলাচল পয়েন্ট আবুল কালামের বাড়ির নিকট সড়কের মাঝখানে খননকৃত অংশটি খালে পরিনত হয়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয় অস্থায়ী বাশের তৈরি সাকো। বর্তমানে ওই সাকোটি যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। সড়কটি খাদে পরিনত হওয়ায় গত ২মাস ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। এদিকে জিটিসিএল জনস্বার্থ চলাচল সড়কে খননকৃত অংশ সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ দিয়েছে। পেকুয়া উপজেলায় গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপনে অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে সদর ইউনিয়নের অতি জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের খনন অংশ এখনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। ফলে সদর ইউনিয়নের বিপুল জনগোষ্টি চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। প্রধান সড়ক অকেজো হওয়ায় এসব এলাকার সাথে উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ থেমে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করছে কোমলমতি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিশুরা। গোঁয়াখালী সড়কের ওই অংশটি গভীর খাদে পরিনত হয়েছে। প্রায় ৩ থেকে ৪ ফুট পানি থাকছে ওই অংশে। সাঁকো পারাপারের সময় ইতিপুর্বে অনেক দূর্ঘটনা হয়েছে। গত কিছুদিন আগে পারাপারের সময় বাশের সাকো থেকে পা পিছলে এক শিশু পানিতে পড়ে যায়। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় বেঁচে যায়। প্রধান সড়কের ওই স্থানটি বর্তমানে মৃত্যু উপত্যকায় পরিনত হয়েছে। ঝুঁকি চরম হওয়ায় স্থানীয়রা কঠিন অবস্থায় সাকো পারাপার করে দৈনন্দিন কাজ সারছেন। সদর ইউনিয়ন অত্যান্ত জনবহুল এলাকা গোয়াখালী। ওই সড়কের সাথে এ ইউনিয়নের বিপুল জনগোষ্টির সম্পর্ক। পূর্ব গোয়াখালী, টেকপাড়া, বাংলাপাড়া, বাইম্ম্যাখালী, পূর্ববিলাহসুরা, মইয়াদিয়া, সিকদারপাড়া, নন্দীরপাড়াসহ সদর ইউনিয়নে অন্তত ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা গ্রামীন প্রধান এ সড়কটি। সড়কটির কারনে অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রামীন বিপুল জনগোষ্টি।

এব্যাপারে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ বলেন, জনদূর্ভোগ লাঘব করতে সদর ইউনিয়নের পুর্বগোয়াখালী-বাংলাপাড়া সড়ক ও মইয়াদিয়া-পুর্ববিলাহসুরা সড়কের সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের জন্য উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। একটি সংস্কারের জন্য বরাদ্ধ দিয়েছে এলজিইডি। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধ থেকে পূর্ব গোয়াখালী-বাংলাপাড়া সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করা হবে। বৃষ্টি থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি কমলে কাজ জোরেশোরে আরম্ভ করা হবে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মারুফুর রশিদ খান বলেন, সড়ক ২টির সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ে আরম্ভ করা হবে। এগুলোর জন্য বাজেট এসেছে।

পাঠকের মতামত: