ঢাকা,শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

পেকুয়ায় সোনালী বাজার স্লুইচ গেইট যেন মৃত্যুফাঁদ

pekua,,নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::

পেকুয়ায় সোনালী বাজার স্লুইচ গেইট মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। পাউবোর নিয়ন্ত্রনাধিন ৬৫বি/২পোল্ডারের ৫১নং ওই জনগুরুত্বপুর্ন স্লুইচ গেইটের কারনে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বিপুল এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। স্লুইচ গেইটের রক্ষনাবেক্ষন কমিটির নাম ভাঙ্গিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য শিকারি মাছ ধরতে জাল বসায়। স্লুইচ গেইটের দরজা খোলে দিয়ে সাগরের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। নি¤œাঞ্চলের খাল বিল ও মৎস্য ঘের পানিতে একাকার করে কৃত্রিম জলবদ্ধতা তৈরি করে ওই প্রভাবশালী চক্র। সমগ্র এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য সোনালী বাজার স্লুইচ গেইটটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু পাউবোর ওই স্লুইচ গেইটটি বর্তমানে মগনামা ইউনিয়নে মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে মগনামা ইউনিয়নে বিপুল এলাকা জোয়ার ভাটা চলছে। বৃষ্টি কম হলেও মগনামার দক্ষিন ও পুর্ব-মধ্যম অংশ পানিতে ডুবে আছে। এতে করে এ ইউনিয়নের প্রায় ১০-১২হাজার জনগোষ্টি পানিতে বন্দি রয়েছে। সোনালি বাজার স্লুইচ গেইটের প্রবাহমান খালের অধিকাংশ চলাচল পথ বন্ধ করা হয়েছে। মাছ শিকারিরা জাল বসানোর জন্য সোনালি বাজার থেকে মধ্য মগনামা দরদরিঘোনা পর্যন্ত অন্তত ৩০-৪০টি খালের পানি চলাচল মুখ বন্ধ করে নির্মিত হয়েছে বাঁধ। এসব বাঁধগুলিও মরন ফাঁদ হয়েছে। মগনামা ইউনিয়নের অর্ধেক এলাকা বর্তমানে পানিতে নিমজ্জিত। মটকাভাঙ্গা, কুমপাড়া, দরদরিঘোনা, মগঘোনা, কোদাইল্যাদিয়া, চেরাংঘোনা, ধারিয়াখালি এলাকাসহ মগনামা ইউনিয়নের অন্তত ১০-১৫টি গ্রাম পানির নিচে রয়েছে। এসব এলাকাগুলো ডুবে থাকার একমাত্র কারন হচ্ছে কৃত্রিম জলবদ্ধতা। মটকাভাঙ্গা এলাকার ৫-৬জন অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তি এ সবের জন্য একমাত্র দায়ী। নি¤œাঞ্চলের দরদরিঘোনার বিপুল জনগোষ্টি পানিতে ডুবে রয়েছে। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত। জোয়ার ভাটার কারনে মানুষ পানি বন্দি হয়েছে। স্কুল ,মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার বিঘœ ঘটছে। লাগামহীন দুর্ভোগ এর কারনে ওইসব এলাকার জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে এর নীতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন না হওয়ায় তারা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়েছে। নিজেদের লাভের জন্য মগনামার অর্ধেক এলাকা তাদের কারনে পানিতে ডুবে আছে। এদিকে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করায় এসব এলাকায় মানুষ প্রতিবাদ মুখর হয়েছে। এ ব্যাপারে দরদরিঘোনা এলাকার জিল্লাুর করিম, ফজল করিম, দিদারুল ইসলাম, মগঘোনার নুরুল হক, আমিনুল হক, রোকুর দিয়ার নুরুল আজিম জানায় সোনালি বাজার স্লুইচ গেইটের কারনে মগনামায় কৃত্রিম জলবদ্ধতা হয়েছে। তারা পানি ঢুকিয়ে দিয়ে সয়লাব করে জাল বসিয়ে মাছ মারে। আমরা পানি বন্দি হয়েছি। ফসল ও মাছ চাষ বিনষ্ট হচ্ছে। বাড়িঘর পানির নিচে রয়েছে। ছেলে মেয়েরা স্কুল, কলেজে যাওয়া-আসা বন্ধ হয়েছে। মগঘোনা সফদার মাষ্টারের বাড়ি থেকে দরদরিঘোনা হয়ে আমির হামযা বাপের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কি.মি চলাচল সড়ক পানির নিচে আছে। ৫নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মো.আলমগীর জানায় দরদরিঘোনার অবস্থা করুন হয়েছে। মানুষ দিনের পর দিন এভাবে পানি বন্দি থাকলে বেচে থাকাও কঠিন হবে। আমরা এ ধরনের অন্যায় থেকে এলাকাবাসিকে পরিত্রান দিতে চাই। সোনালী বাজার স্লুইচ গেইট এখন মগনামাবাসির জন্য মরন ফাঁদ। ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম জানায় বিষয়টি স্থানীয়রা আমাকে অবহিত করেছে। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথাও বলেছি। তারা আমাকে কথা দিয়েছে পানি নিস্কাশনে দ্রুত পদক্ষেপ নিবে।

পাঠকের মতামত: