ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় উপবৃত্তি প্রদানে অনিয়ম, ২৫শতাংশ টাকা শিক্ষকদের পকেটে

দৃমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি:
চতুর পাশে লামা উপজেলা বেষ্টিত দূর্গম নান্দনিক চকরিয়া উপজেলার ছিটমহল খ্যাত ৪নং বমু বিলছড়ি ইউনিয়নে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তি টাকা প্রদানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০ জুলাই বুধবার বমু সরকারী প্রাঃ বিঃ, বিলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বমু পানিস্যাবিল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৫২০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বিলছড়ি স্কুলে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়। এসময় তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে উপবৃত্তির ২৫শতাংশ টাকা নিয়ে নেয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা।

বমু পানিস্যাবিল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর অভিভাবক সেকু জান্নাত, নাছিমা আক্তার সহ অনেকে বলেন, আমাদের বাচ্চারা কেউ কেউ ১২শত অনেকে ৬শত টাকা উপবৃত্তি পেয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মাঃ কুতুব উদ্দিন ও মাদ্রাসা সভাপতি মাওলানা আঃ শুক্কুর যারা ১২শত টাকা পেয়েছে তাদের থেকে ৩শত এবং যারা ৬শত টাকা পেয়েছে তাদের থেকে ১৫০ টাকা নিয়ে নেয়। মাদ্রাসায় উপবৃত্তি বরাদ্দ করতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি খরচ করেছে৪০ হাজার টাকা  তাদের কাছ থেকে। সরজমিনে গিয়ে টাকা নেয়ার সত্যতা পাওয়া গেলে সহকারী শিক্ষা অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক তৎক্ষণাত কয়েকজনের টাকা ফিরিয়ে দেয় ও সভাপতি পালিয়ে যায়।

বিলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩য় শ্রেণী ছাত্র জুয়েল এর মা কুলসুমা বেগম ও প্রাক শ্রেণীর ছাত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস মা শামসুন্নাহার সহ আরো অনেকে এই প্রতিবেদককে জানান, প্রধান শিক্ষক এ.এন.এম মিনহাজ উদ্দিন তাদের ছেলে মেয়েদের উপবৃত্তি টাকা নিতে ৫০ থেকে ১০০শত টাকা নিয়ে আসতে বলেছে। অন্যথায় তাদের বৃত্তি টাকা দেওয়া হবেনা। বিষয়টি পরিদর্শনে আসা সহকারী শিক্ষা অফিসার বিকাশ ধর ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দু মতলবকে জানান অভিভাবকরা।  একই চিত্র বমু সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ে।বৃত্তি টাকা প্রদানকারী জনতা ব্যাংক চকরিয়া শাখার (এইও) মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা কার্ডে যত টাকা লিখা আছে তা দিয়ে দিচ্ছি। বাহিরে কি হচ্ছে তা আমরা জানিনা। চকরিয়া উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার বিকাশ ধর বলেন, আমি এই বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানাব। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের টাকা নিয়ে নয়ছয় কারীদের ছাড় দেয়া হবেনা। এই বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহেদুল ইসলাম এর মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: