ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় মোবাইল কোর্টের নামে পুলিশের চাঁদাবাজী

নিজস্ব প্রতিবেদক.

পেকুয়ায় মোবাইল কোর্টের নামে পুলিশের চাঁদাবাজী চলছে। জানা যায় গত ১৩ জুলাই বিকাল ৪ টায় পেকুয়া থানার এ এস আই সুমনের নেতৃত্বে কনষ্টেবল পারভেজ (বি প্লাস)সহ সঙ্গী নিয়ে বরইতলী মগনামা সড়কের পেকুয়া চৌমুহনী পয়েন্টে মোটর সাইকেলের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় চৌমুহনী চৌ রাস্তা মোড়ে এ এস আই সুমন একটি চায়ের দোকানের ভিতরে বসে কনষ্টেবল দিয়ে আটক করে। পারভেজ (বি প্লাস) নামের কনষ্টেবল কাগজপত্র যাচাইবাচাই করে। যাচাই বাচাই করার নামে মোটরসাইকেল মালিককে এক পাশে নিয়ে গিয়ে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা নিয়ে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেলের লাইসেন্স সহ প্রয়োজনী ডকুমেন্ট না থাকা স্বর্তে ছেড়ে দেয়। এতে স্থানীয়রা মোবাইলে ছবি তুলতে চাইলে কনষ্টেবল পারভেজসহ অন্যান্যরা স্থানীয়দের কে লাঠিচার্জ করে। খবর পেয়ে এক সংবাদকর্মী ছবি তুললে ঐ কনষ্টেবল পারভেজ সংবাদকর্মীকে এ এস আই সুমনের কাছে নিয়ে যায়। ঐ সংবাদকর্মী জানায় এ এস আই সুমন একটি চায়ের দোকানে ভিতরে বসে এ ধরণের মোবাইল কোর্টের ছবি না তুলার নিষেধ করে এবং ক্যামরা থেকে ঐ ছবি গুলো কেটে দেয়। ঘটনার পর বিকাল ৫ টায় চকরিয়ার পারভেজ নামে এক যুবক সেসহ ৩ জন যুবক নিয়ে পেকুয়া বাজার থেকে এফার সি ব্র্যান্ডের একটি মোটর সাইকেল যোগে চকরিয়া যাওয়ার পথে চৌমুহনীতে আসলে কনস্টেবল পারভেজ (বি প্লাস) আটক করে। আটক করার পর তাদের থেকে মোবাইল ও পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে ঐ কনস্টেবল পারভেজ তাদের কে মোটর সাইকেলের কাগজের নামে তাদের টানা হেচড়া শুরু করে। তারা মোটর সাইকেলের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দেখার পর ক্ষান্ত হয়নি। এক পর্যায়ে তাদের গলায় ধাক্কা দেয়। পরে এ এস আই সুমন ঐ চায়ের দোকান থেকে বের হয়ে এসে মোটর সাইকেলটি থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের গেইটের দক্ষিনে গিয়ে টাকা নিয়ে তরকাতরকি শুরু হয়। অনেকক্ষন পর ঐ কনস্টেবল পারভেজ হাতিয়ে নেওয়া ৩ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার টাকা রেখে দিয়ে আর ২ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে তিন জন নেওয়ার কারণে মামলা দিয়ে মোটর সাইকেলটি ছেড়ে দেয়। এসময় পারভেজ এ প্রতিনিধি জানিয়েছেন সে প্রয়োজনী কাগজ পত্র দেখার পরও ১ হাজার নিয়েছে এ এস আই সুমন। সে আরো জানায় টাকা নেওয়ার পরও মোটর সাইকেলে ৩ জন নেওয়ার অপরাধে মামলা দেয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় চৌমুহনীর স্থানীয় এক ব্যক্তি এ এস আই সুমনের পেন্টের পকেটে ডুকিয়ে দেয় এ সময় স্থানীয়রা দেখলে ঐ লোককে বকাসকা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন এভাবে প্রতিদিন মোবাইল কোর্টের নামে পুলিশ চাদাঁ আদায় করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে এ এস আই সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এক সংবাদকর্মী ছবি তুলছে যা আমি তাকে চিনেনি এবং টাকা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ধরণের অভিযোগ কেউ আমাকে দেয়নি। ভোক্তভোগী কেউ অভিযোগ দিলে ঐ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চকরিয়া পেকুয়া) কাজী মতিউল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ধরণের যদি পুলিশ মোবাইল কোর্টের নামে টাকা আদায় করে মোটর সাইকেল ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে বিষয়টি খোজখবর নিয়ে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: