ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ত্রান মেলেনি, কপালে জুটেছে চেয়ারম্যানের পিটুনি!

pic syeednur chairman pekua 18-06-16পেকুয়া প্রতিনিধি :::

দরিদ্র উপকারভোগির ঝুলিতে মেলেনি সরকার প্রদত্ত ভিজিএফ এর চাল। তবে কপালে জুটেছে চেয়ারম্যানের নিষ্টুর পিটুনি। হায়রে দরিদ্রতা। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। ত্রান নিতে গিয়ে নিষ্টুর চেয়ারম্যানের বেত্রাঘাতের শিকার হলেন উপকারভোগিরা। কোন দোষ ছিলনা। ছিল দু’মুঠো চাল পাওয়ার বাসনা। তবে ত্রান নিতে আসা তাদের জন্য কাল হয়েছে। খোদ ইউপির চেয়ারম্যান উগ্র মেজাজি হয়ে লাইনে এসে কয়েকজন উপকারভোগিকে যেভাবে পিটুনি দিলেন তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না। একজন জনপ্রতিনিধির প্রকাশ্যে এমন আচরন মানুষ মেনে নেয়নি। এরপরেও গরীবরাতো ক্ষমতার পুজাঁরী। বিত্তবান ও ক্ষমতাধররা অন্যায় করলেও শুধু ছেয়ে থাকার চেয়ে আর বেশি কি আছে। ওই দিনের ঘটনায় তাই হয়েছে। গতকাল সোমবার (৭জুলাই) পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে ভিজিএফ ও জিআর চাল বিতরন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ওই ইউনিয়নের উপকারভোগিদের মাঝে খাদ্যশস্য বিলি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওইদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাল বিতরন করা হয়। শতশত উপকারভোগি পরিষদ কার্যালয়ে চাল নিতে লাইনে দাঁড়ান। জানা গেছে ২০কেজি চাল প্রত্যেক উপকারভোগির মাঝে সরকার ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বরাদ্দ দেয়। অভিযোগ উঠেছে ওজনে চাল কম দেয়ায় উপকারভোগিরা প্রতিবাদ মুখর হন। এ সময় কয়েকজন উপকারভোগি চাল কম দেয়া নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করে। এর জের ধরে ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর তিন উপকারভোগিকে লাইন থেকে বের করে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করে আহত করেন। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর চরম উত্তেজিত অবস্থায় ওই তিন জনকে পরিষদ চত্তর থেকে পাশ্ববর্তী লবন মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তিন জনকে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করে। চেয়ারম্যান বেশামাল হয়ে পড়েন। আক্রোশি মেজাজী ওই চেয়ারম্যান তিন দরিদ্র উপকারভোগিকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে লাথি ও কিল ঘুসি মেরে আহত করে। এদের মধ্যে একজন অজ্ঞান হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন। আহতরা হলেন ওই ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা এলাকার রুহুল আমিন ও নুরুল হোসাইন। তবে আহত একজনের নাম পাওয়া যায়নি। রুহুল আমিন ও নুরুল হোসাইন জানায় লাইনে দাড়িয়ে চাল নিচ্ছিলাম। পরিমাপে কম দেয়ার প্রতিবাদ করেছি আমরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। এখন হুমকি দিচ্ছে কাউকে মুখ খোললে মেরে ফেলা হবে।

নাম প্রকাশনা করার শর্তে কয়েক জন উপকারভোগি জানায় চাল বিতরনে রাজাখালীতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। পরিমাপে ২০কেজির স্থলে ১৪-১৫কেজি করে দিয়েছে। চেয়ারম্যানের লোকজন চেহেরা দেখে দেখে চাল দিয়েছে। একজন ৫-৬টি টোকেন নিয়ে চাল নিয়েছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: