ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় ভিক্ষুকের টাকা আ’লীগ নেতার পকেটে!

IMG_20160620_160737পেকুয়া প্রতিনিধি ::

নাম নুর আহমদ। বয়স আনুমানিক ৫৬বছর। উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের চড়িপাড়া এলাকার মৃত.আলী মিয়ার ছেলে। সবাই তাকে পা কাটা নুর আহমদ বলে চেনে। দু’স্ত্রীর সংসার তার। বিগত ২৪বছর আগে ১ম স্ত্রী জাকেরা বেগম মারা যান। ওই সংসারে তার দু’ছেলে দু’মেয়ে রয়েছে। ৫বছর আগে নুর আহমদ ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। ওই রোগে তিন বছর আগে তার ডান পা হাঁটু সমান কেটে পেলে চিকিৎসকরা। তিনি এখন এক পা’র উপর ভর করে স্ট্রেচার দিয়ে চলাফেরা করেন।

 তিনি এখন অসুস্থ। তার দেখাভাল’র জন্য দেড় বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া মধুখালী এলাকার ইজ্জত আলীর মেয়ে নুনিছা বেগম তার দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু বেশি দিন কাটেনি। বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মাথায় নুনিছা বেগম ডিভোর্স দিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়।

  মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাষ্টার আজমগীর চৌধুরীর বাস ভবনে দেখা হয় নুর আহমদের সাথে। নুর আহমদ এসেছিলেন মাষ্টার আজমগীর চৌধুরীকে বিচার দিতে। কোন এক পাবলিক দেখিয়ে দেয় সাংবাদিকদের।

 তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন এক ছেলে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকে। আরেক সন্তান বাড়িতে থাকেনা। দু’ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। ছোট মেয়ে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করে। তিনি অসুস্থ। বাড়িতে কেউ নেই। দেখাভাল করার জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দেন মোহর ৫০ হাজার টাকা। নগদ ২৫হাজার আর বাকি ২৫হাজার টাকা। গত এক বছর আগে নুনিছা বেগম তাকে ত্যাগ করে চলে যায়। নুনিছা বেগম তার প্রাপ্য দেন মোহরের টাকা আদায়ের জন্য রাজাখালী ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য (এর আগেরবার সদস্য) খালেদা বেগমকে বিচার দেয়।

 নুর আহমদ জানায় এক বছর আগে আমি ২৫হাজার টাকা ইউপি সদস্যের স্বামী মাষ্টার নুর মোহাম্মদকে দিই। কিন্তু ওই টাকা ইউপি সদস্য ও তার স্বামী নুনিছা বেগমকে না দিয়ে নিজেরাই আতœসাৎ করেন। তবে তিনি তার ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য কিছু টাকা সঞ্চয় করেন। ওই টাকা দিয়ে কিছু লবন কিনে মজুদ করেন বাঁশখালীতে। বাঁশখালী ছনুয়া ইউপির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ওই লবন আটকিয়ে ২৫হাজার টাকা উদ্দার করে নুনিছার হােেত তুলে দেন।

 নুর আহমদ আরো জানায় তিনি এখন ভিক্ষা করে দিন কাটান। বড় কষ্টে চলে তার জীবন। মাষ্টার নুর মোহাম্মদ রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি। অনেকবার তার কাছে টাকা ফেরত চেয়েছি। কিন্তু ওই আ’লীগ নেতা আমি অসহায় বলে টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো মারধর করে। এদিকে আ’লীগ নেতা কর্তৃক একজন ভিক্ষুকের টাকা আতœসাৎ করায় ফুসে উঠেছে স্থানীয়রা।

 এ ব্যাপারে রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি মাষ্টার নুর মোহাম্মদ এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: