ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

উখিয়ার মাছের বাজার দালাল সিন্ডিকেটের হাতে ক্রেতারা জিম্মি

mail.google.comওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

রমজানের বাজারকে পুঁজি করে উখিয়া মাছ বাজার কেন্দ্রীক সিন্ডিকেট চক্র এখন পুরোপুরি সক্রিয়। এখানে হাট-বাজারগুলো নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। বিশেষ করে কাঁচা মাছের বাজারে তৎপর এ চক্রটি শুধুমাত্র মাছের দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে তা নয়, ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিক্রয় নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ পর্যন্ত অবাধে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় প্রবাসী আমিন শরীফ জানায়, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পক্ষে মাছ ক্রয় করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। বাজারের এক শ্রেণির দালাল চক্র ইচ্ছামতো দাম আদায় করছে, তাও আবার ওজনে কম। সে জানায়, ছোট সাইজের এক কেজি ইলিশ মাছ ৮শত টাকায় ক্রয় করে অন্য একটি দোকানে ওজন করে দেখা যায় এক কেজি মাছে প্রায় ২শ প্রাম কম।

তিনি আবার ওই মাছ বিক্রেতাকে ওজনে কম দেওয়ার আপত্তি জানালে, মাছ বিক্রেতার জবাব পানি সরে যাওয়ার কারণে ওজনে একটু কম হয়েছে। এভাবে অসংখ্য ক্রেতা সাধারণ বাড়তি মূল্য পরিশোধের পাশাপাশি ওজন প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ১২০ টাকা মূল্যের তেলাপিয়া বিক্রি করা হচ্ছে ২শত টাকা দরে। লইট্যা ২শ টাকা, মাঝারি সাইজের ইলিশ ১৪শত টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শত টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতারা জানায়, একমাত্র তেলাপিয়া ছাড়া কোন মাছ ৪/৫শত টাকার নিচে কম বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। হঠাৎ করে মাছের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে মাছ বিক্রেতা সুবধন বড়–য়া জানায়, রোজার মাঝে প্রচুর মাছের চাহিদা থাকলেও সামুদ্রিক মাছ বাজারে না আসার কারণে খাল, নদী ও পুকুরের মাছের দাম বেড়ে যায়।

সরেজমিন উখিয়া সদর ও কোর্টবাজার ঘুরে দেখা যায়, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বিক্রয় নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি করছে। প্রত্যক্ষদর্শী পশ্চিম ডিগলিয়াপালং এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইল জানায়, হাট-বাজারে পিরানহা মাছ বিক্রি আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ, বাধ্যবাধকতা থাকলেও হাট-বাজার মনিটরিং কমিটির তদারকি বা নজরদারি না থাকায় মাছ বাজার নিয়ন্ত্রক এক শ্রেণির অসাধু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পিরানহা মাছ ওপেন সিক্রেট বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজার কমিটির সভাপতি একরামুল হক জানান, উখিয়ার বৃহত্তম এ বাজারটির উপর সরকারি কোনরূপ নজরদারি না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো দাম আদায় করছে। পাশাপাশি ভেজাল ও নিম্নমানের সেহরী ও ইফতারি পণ্য সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: