ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

শহরে তীব্র যানজট, চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ

aaaaaaএম.এ আজিজ রাসেল ::

পবিত্র রমজানেও তীব্র যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শহরবাসী। বিশেষ করে ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে যানজট পরিস্থিতি করুণ হয়ে উঠে। এতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে রোজাদাররা। অনেকেই শুধু পানি ও শুকনো খেজুর খেয়ে পথে ইফতার সারছে। দিন দিন শহরের যানজট অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি হলেও মাথা ব্যথা নেই ট্রাফিক পুলিশের। কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর মোঃ বজলুর রহমান ও টিআই দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে চলছে চাঁদাবাজি। এ দু’জনের সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে সময়-অসময়ে বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযানে চালিয়ে হয়রানী করছে সাধারণ চালকদের। অভিযানে বৈধ সিএনজি, টমটম ও মোটর সাইকেল ধরা প্রতিনিয়িত। পরে জব্দকৃত গাড়ির মালিক ও চালকদের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। আর টাকা না দিলে আইনের মারপ্যাচে দেখিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করা হয়। সিএনজি চালক রমজান আলী জানান, আমার গাড়ির সব কাগজপত্র বৈধ। তারপরও গাড়িটি ধরে আনা হয়। ফটোকপি কাগজ দেখানোর পর মূল কাগজ চায় তারা। পরে মূল কাগজ আনলেও গাড়ি ছেড়ে দেয়নি। কিন্তু ৫ হাজার টাকা নিয়ে বজলুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন গাড়ির চাবি দেয়। টাকা নেয়ার সময় কোন সিøপও দেয়নি। একই অভিব্যক্তি জানালেন টমটম চালল ইয়াছিন। সে জানায়, গাড়ির কাগজ দেখিয়েও ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে তার গাড়ি ছেড়ে দেয় বজলুর রহমান। এমন অভিযোগ অহরহ রয়েছে।

রমজানের শুরুতেই যানজটের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। যানজটের জন্য অনেকেই দায়ী করছেন বৈধ-অবৈধ সব টমটম আর রিক্সাকে। পাশাপাশি শহরে ধারণ ক্ষমতার বাইরে পৌর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক টমটমের লাইসেন্স প্রদানও যানজটের অন্যতম একটি কারণ হিসেবে চিহিৃত করেছেন শহরবাসী। শুধু টমটম আর রিক্সা নয় প্রতিনিয়ত যেখানে সেখানে পার্কিং করে মাহিন্দ্র, সিএনজি ও রামু লাইনের যানবাহন যাত্রী উঠা-নামা করার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শহরের ভিতর চলাচল করায় যানজট আবারো বেড়ে গিয়েছে। ফলে যানজটে নাকাল শহরবাসীকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। যা আসন্ন রমজানে বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকের আশংকা। সরেজমিনে দেখা যায়-বিশেষ করে বার্মিজ মার্কেট, বাজারঘাটা, লালদিঘীর পাড়, ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প, হাসপাতাল সড়ক, পান বাজার, এন্ডারসন রোড, বড় বাজার এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। এতে করে যেমন করে মানুষ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে নষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে মানুষের নিত্য নৈমত্তিক কর্মকান্ডেও। শহরের লালদিঘীর পাড় থেকে বার্মিজ মাকের্ট পর্যন্ত সামান্য পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট যা অনেক সময় ৪০ মিনিটের কাছাকাছিও চলে যায়। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মাবু জানান, শহরের রাস্তা অত্যন্ত সরু। সে অনুপাতে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। তাই প্রতিনিয়ত যানজট লেগে রয়েছে। যানজট কমাতে শীঘ্রই অভিযান পরিচালিত করবে পৌরসভা।

পাঠকের মতামত: