ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করল পেকুয়ায় বাস্তহারা পরিবার

policeপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় এবার পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অসহায় একটি বাস্তহারা পরিবার। মাতা গুজার একমাত্র ঠাইটুকু থেকে উচ্ছেদ করতে ভুমিদস্যুদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বাড়ি থেকে চলে না গেলে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুইয়া। এরপর থেকে অসহায় ওই পরিবার পুলিশের হয়রানি মামলা মোকাদ্দমার ভয়ে চরম শংকিত হয়েছে। আইনি সর্বোচ্চ সহায়তা পেকুয়া থানার পুলিশের হুংকার ও মামলা থেকে বাচতে দরিদ্র পরিবারটি এবার সংবাদ সম্মেলন আহবান করেছে। গতকাল দুপুরে আমির হোসেনের নিজ বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা চরপাড়া এলাকায় সংবাদ ব্রিফিং অনুষ্টিত হয়েছে। এ সময় পেকুয়ার কর্মরত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ওই এলাকার আমির হোসেন এর পুত্রবধু ফাতেমা বেগম এক লিখিত সংবাদ ব্রিফিং তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। এ সময় তিনি জানিয়েছেন বিগত ২৫বছর আগে আমরা ভোলাইয়াঘোনা এলাকায় সংখ্যালঘু জগবন্ধু শীলের কাছ থেকে ৩০শতক জায়গা ষ্ট্যাম্পমুলে ক্রয় করেন। জায়গা সরকারী খাস। জগবন্ধু নাপিতের কাজ করতেন পেকুয়া বাজারে। তিনি বসবাসের জন্য জায়গাটি সংস্কার করেন। ভোলা খালের নদীর জেগে উঠা চর আমরা খরিদ করার পর আরো অধিক সংস্কার করে বসবাস উপযোগি করি। বর্তমানে আমার পরিবারের সকল সদস্যের মাথা গুজার একমাত্র ঠাই এ জায়গাটি। আমির হোসেন জানায় মগনামায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলাম। ১৯৯১সালে ঘুর্নিঝড় ও জ্বলোচ্ছাসের সময় সমুদ্রের করাল গ্রাসে আমার বসতভিটা সাগর গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। আমি স্ত্রী সন্তান নিয়ে পেকুয়ায় সরকারি জায়গায় বসবাস করছি। কিন্তু কাল হয়েছে আমার জায়গাটি পেকুয়া বাজারের নিকট হওয়ায়। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এতে কুদৃষ্টি পড়েছে ভোলাইয়া ঘোনা এলাকার নওশা মিয়া গংদের। ওইব্যক্তি বিত্তশালী। টাকার জোরে সে আমার মাথাগুজার ঠাইটুকু কেড়ে নিতে তৎপর হয়েছে। সম্প্রতি জায়গা জবর-দখলে নিতে ভাড়াটে লোকজন সংঘটিত করেছে। তারা বেশ কয়েক দফা আমার বসতবাড়িতে ভাংচুর করেছে। উল্টো পুলিশকে দিয়ে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওসিকে মোটা টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছে যাতে আমাকে উচ্ছেদ করে দেয়া হয়। পুলিশ জায়গা জমির বিচার ও সিদ্ধান্ত দিতে পারেনা। এরপরেও ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া বারবার এসে হাকাবকা করছে। বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ওসি। না গেলে চাঁদাবাজি মামলা নেয়ার হুমকি দিয়ে গেছে। অহেতুক আমাকে থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে। আমার ছেলে আলমগীরকে একাধিকবার ধরে নিয়ে গেছে থানায়। এখন আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীন। একদিকে নওশা মিয়ার ভাড়াটে লোকজন আমার বাড়িতে প্রতিনিয়ত হানা দিচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ মামলা মোকাদ্দমার হাকাবকা করছে। আমি পুলিশি হয়রানি থেকে পরিত্রান চাই। ন্যায় বিচার চাই। জায়গার বিরোধ থাকলে এর ন্যায় সমাধান চাই। বসবাসের ঠাইটুকু জবর-দখল থেকে রক্ষা পেতে দেশের আইনের ন্যায় সঙ্গত অধিকার দাবি করছি।

পাঠকের মতামত: