ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওর ২ কেন্দ্রে ভোট পুনঃগণনার দাবী

sssমোঃ রেজাউল করিম, কক্সবাজার সদর ::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের ভোট গণনার পুনঃদাবী উঠেছে। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে আবেদন দেয়া হয়েছে। ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনে মেম্বার পদপ্রার্থী আয়েশা আক্তার আবেদনটি দাখিল করেন। এতে তিনি জানান যে, গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবেদনকারী আয়েশা আক্তার তালগাছ প্রতীকে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। ১নং ওয়ার্ডের আলমাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হলেও ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র তথা আজিজিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসা ও দক্ষিণ মাইজ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ ও গণনাকালে ব্যাপক গোলযোগ, অনিয়ম এবং মারামারি হয়। ভোট শেষে গণনাকালীন সময়ে উক্ত ২ কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের জোর পূর্বক বের করে দেয়া হয়। ভোট গণনার বিপরীতে এজেন্টদের স্বাক্ষরও গ্রহণ করেননি ভোগ গ্রহণে নিয়োজিত উক্ত ২ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ। তিনি আবেদনে দাবী করেন, উক্ত ওয়ার্ড দুটির ভোট কেন্দ্রসমূহে ভোট গণনাকালীন ব্যাপক অনিয়ম হয় বলে তার বিশ্বাস। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তিনি নিশ্চিত জয়ের কথা থাকলেও একই ওয়ার্ডের তার প্রতিদ্বন্ধি নুরজাহানকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এমতাবস্থায় উক্ত দু’কেন্দ্রের মহিলা মেম্বার পদপ্রার্থীদের ভোটসমূহ পূনঃগণনা করা দরকার বলে আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, ১নং ওয়ার্ডের আলমাছিয়া কেন্দ্রের সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল বিবরণী সূত্রে জানা যায়, তালগাছ প্রতীকের আয়েশা আক্তার পেয়েছেন ৭৬২ ভোট, কলম প্রতীকের নুরজাহান পেয়েছেন ৩৫৭ ভোট। মাইক প্রতীকের ছকিনা বেগম পেয়েছেন ৭৫ ভোট, বই প্রতীকের জাহানারা বেগম পেয়েছেন ৭৬ ভোট এবং হেলিকপ্টার প্রতীকের নুর নাহার বেগম পেয়েছেন ৪৫ ভোট। উক্ত কেন্দ্রে উপস্থিত ১৪৬৬ ভোটের মধ্যে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৩১২ এবং অবৈধ/বাতিল ভোটের সংখ্যা ১৫৪। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের পিসাইডিং অফিসার ও কক্সবাজার এবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার ইমরুল কায়েস স্বাক্ষরিত ফলাফল বিবরণী সূত্রে উপরোক্ত তথ্য জানা গেছে।

————————————————–

পূর্ব পোকখালীতে মেম্বার পদের ফলাফল নিয়ে কানাঘুঁষা

মোঃ রেজাউল করিম, কক্সবাজার সদর ::

সদরের পূর্ব পোকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাধারণ আসনের সদস্য পদে ৩ মেম্বার প্রার্থীকে শূন্য ভোট দেখানোকে কেন্দ্র করে উক্ত কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে ব্যাপক কানাঘুঁষা চলছে। ভুক্তভোগী প্রার্থীদের আশঙ্কা যে, তাদের প্রাপ্ত ভোট বিজয়ী ঘোষিত প্রার্থীর অনুকূলে দেখানো হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, ৬ষ্ঠ ও সর্বশেষ ধাপে কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড তথা পূর্ব পোকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট লুকোচুরির অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত প্রার্থীরা। রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা সমবায় অফিসার মো. আবু মকসুদ স্বাক্ষরিত ফলাফল বিবরণী পর্যালোচনা করে জানা যায়, উক্ত ওয়ার্ডে সাধারণ আসনের সদস্য পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। উক্ত কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ১৭২৫ জন। কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ১২৫৭ জন। শতকরা হারে যা ৭২.৮৯ শতাংশ হয়। ফলাফল ফরমে মোরগ মার্কার ছৈয়দনুরকে ৬৫৬ ভোটে নির্বাচিত দেখানো হয়। ২য় স্থান অর্জন করেছে ফুটবল প্রতীকের আজিজুল হক রুবেল (৪৪৩ ভোট)। ৩য় স্থান অর্জন করেছে আপেল প্রতীকের মুসলেহ উদ্দীন (১১৪ ভোট)। এ ওয়ার্ডে অন্য ৩ প্রার্থী যথাক্রমে বৈদ্যুতিক পাখার মো. আয়ুব হেলালী, তালা প্রতীকের ফরিদুল আলম এবং টিউবওয়েল প্রতীকের সাইফুল্লাহর বিপরীতে শূন্য ভোট দেখানো হয়। শূন্য ভোট প্রাপ্ত ৩ মেম্বার প্রার্থী ঘোষিত ফলাফল কোনমতে মেনে নিতে পারছেন না। তাদের প্রশ্ন, তারা কি নিজ এবং নিজের স্ত্রীর ভোটটিও পাননি? এসব প্রার্থীদের আশঙ্কা তাদের প্রাপ্ত ভোট বিজয় প্রার্থীর অনুকূলে গণনা করা হয়েছে। না হলে এমন ফলাফল কখনো বিশ্বাসযোগ্য নয়। ভুক্তভোগী প্রার্থীরা যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেন নির্বাচনের কয়েকদিন আগে উক্ত ওয়ার্ডে টাকার ছড়াছড়ি চলেছে। মোটা অংকের বিনিময়ে জনৈক প্রার্থী ভোট কিনেছেন। তিনি শুধু ভোট কিনে ক্ষান্ত হননি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অন্য প্রার্থীর ভোটও নিজের অনুকূলে নিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তড়িত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে অন্যতম ৩ প্রার্থীর শূন্য ভোট প্রাপ্তি নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রতিক্রিয়া ও ব্যাপক রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

————————————————–

পোকখালীর ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন

মোঃ রেজাউল করিম, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে ৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এ ইউনিয়নে মোট ১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। সংশ্লিষ্ট ইউপির রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা সমবায় অফিসার মো. আবু মকছুদ স্বাক্ষরিত ফলাফল বিবরণী পর্যালোচনার মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। ঘোষিত রেজাল্ট মতে উক্ত ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিক আহমদ ঢোল প্রতীকে ৩৫৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ দলীয় নৌকা প্রার্থী মোহাম্মদ মহিদুল্লাহ পেয়েছেন ২৯৫২ ভোট। ৩য় স্থান রয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন। তিনি পেয়েছেন ১৮২৭ ভোট। উক্ত ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২৯৯৮ জন। এর মধ্যে বৈধ অবৈধ কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ১০৬১১টি। এ ইউনিয়নে একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন এম. আবদুল্লাহ খাঁন (২৭৫ ভোট), কুতুব উদ্দীন চৌধুরী (৭ ভোট), বেলাল উদ্দীন (১৪৯ ভোট), মো. ওবাইদুল্লাহ খাঁন (৬৪ ভোট), মো. সাইফুদ্দীন (৪ ভোট) এবং সাখাওয়াত হোসেন সোহেল (২৮ ভোট)। উল্লেখ্য, এ ইউনিয়নে মোট ১০টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।

পাঠকের মতামত: