ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্রধারীদের তালিকা হয়নি, বৈধ অস্ত্র জমায় ধীরগতি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এখনো শুরু হয়নি অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান। এদিকে নির্বাচন কমিশন বৈধ অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের তালিকা করে অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারীদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার রাষ্ট্রপতির আদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে।

বিশেষ করে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা, বুড়িপুকুর, চরণদ্বীপ, সাহারবিল ইউনিয়ন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী, উলুবনিয়া, রংমহল, কোনখালী ইউনিয়ন, বিএমচর ইউনিয়ন, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। রাত নামলে এসব এলাকায় সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্র হাতে মহড়া দেয় বলে স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাও ইতিপূর্বে ঘটেছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা ভয়ে থাকবে।

এদিকে, নির্বাচন কমিশন ভোটারের উপস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে চায়। সহিংসতাবিহীন নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে স্থানীয় সুশীল সমাজ মনে করেন।

থানা সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৮ ইউনিয়নের লাইসেন্সধারী বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ২১২টি। এর মধ্যে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে ১৭৬টি। বাকি অস্ত্র এখনো জমা না দেওয়ায়, এসব অস্ত্র সহিংসকাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার ব্যপারে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে। কেউ যথাসময়ে বৈধ অস্ত্র জমাদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা অবৈধ হিসেবে পরিগণিত হবে এবং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে পুলিশের জিরো টলারেন্স। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।

পাঠকের মতামত: