ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

প্রতীক পেয়ে মাঠে প্রার্থীরা

কক্সবাজার-১, চকরিয়া-পেকুয়া আসনে পিতা-পুত্রের লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে বর্তমান সাংসদ জাফর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তার পুত্র তানবির আহমদ সিদ্দিকী তুহিন। শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন পিতা-পুত্র। তারা প্রতীকও পেয়েছেন।

১৮ ডিসেম্বর সোমবার কক্সবাজার রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। জাফর আলম পেয়েছেন ট্রাক গাড়ি। তার পুত্র তুহিন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।

এবারের নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন জাফর আলম। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি ভোটের না থাকায় অনেকটা সহজে বিজয় হওয়ার আশায় ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম। কিন্তু এই আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম ভোটের মাঠে থাকায় জাফর আলম অনেকটায় বেকায়দায় রয়েছেন। নিবার্চনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভক্তি হয়ে পড়েছেন। অনেকের আশা, শেষ মুহুর্তে হলেও নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ তার মনোনয়নটি ফিরে পাবেন।

এদিকে কক্সবাজার-১ আসনে আরও ৬জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তারা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মো : ইব্রাহিম পেয়েছেন (হাতঘড়ি), ওর্য়াকার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হাজী বশিরুল আলম (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (লাঙ্গল), ইসলামী ফ্রন্টের বেলাল উদ্দিন (মোমবাতি) ও মিরাঙ্কেল তারকা কমরুদ্দিন আরমান পেয়েছেন (কলার ছরি)।

জাফর আলমের সমর্থকরা জানান, ভোটের মাঠে পিতা-পুত্র থাকলেও মুল লড়াই করবেন জাফর আলম। তিনি আমাদের প্রার্থী। তবে পুত্র তুহিন ভোটের মাঠে থাকবেন।

ভোটাররা জানান, গত পাঁচ বছর বর্তমান সাংসদ জাফর আলম নানা বির্তকিত কর্মকান্ডে আলোচিত সমালোচিত হন। গড়ে তুলেন তার নিজস্ব বাহিনী। শতাধিক ক্যাডার নিয়ে তার ভাতিজা জিয়াবুল হক ও ভাগিনা মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অপরাধ জগতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা শুধু চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় জমি দখল, চিংড়ি ঘের দখল ও চাঁদাবাজি করেছেন। তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রেহায় পাননি আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। অমানষিক নির্যাতন ও হয়রানী করেছেন। এই বাহিনীর অস্ত্রধারীরা হুমকি ধমকি দিচ্ছেন নেতাকর্মীদের।

বর্তমান সাংসদ জাফর আলম এসব অপরাধের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনামও হয়েছেন একাধিকবার।
ক্ষমতার দাম্বিকতায় গণমাধ্যমে শিরোনাম হলেও পাত্তা দেননি তারা।

গত বছর থেকে সরকার ও বিভিন্ন গোয়েন্দো সংস্থা জরিপ চালায় কক্সবাজার-১ আসনে। জরিপে উঠে আসে সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির নাম। গত ২৭ নভেম্বর দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সালাহউদ্দিন আহমদের ঘোষণা করেন। কিন্তু নানা বির্তকিত কর্মকান্ডের কারণে দলীয় সভানেত্রী মনোনয়ন দেননি জাফর আলমকে। সালাহউদ্দিন আহমদ চতুর্থবাবের মতো মনোনয়ন পেলেও ঋণখেলাপীর অভিযোগে মনোনয়নটি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে আইনী জটিলতায় আটকে যায় তার মনোনয়নটি। এই আসনে নৌকা প্রতীক ছাড়াই নির্বাচনে নেমে পড়েন অন্যান্য প্রার্থীরা।

গতকাল ১৮ ডিসেম্বর রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থেকে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তারা প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মাঠে ময়দানে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। কিন্তু সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি মনোনয়ন বৈধতা পায়নি। তিনি আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

পাঠকের মতামত: